বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
অভিযোগ, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বিজেপি’র তেশিমলা উত্তর মণ্ডলের সভাপতি সফিউল আলম একটি বাইকে চেপে বাড়ির দিকে আসছিলেন। সেসময় পাট ক্ষেতে বেড়া দেওয়ার জন্য একটি বাঁশ নিয়ে হাফিজুল রহমান নামে এক তৃণমূল সমর্থক উল্টো দিক থেকে আসছিলেন। সর্দারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উভয়ে সামনাসামনি হওয়ার পর বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হতেই দু’পক্ষ লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাথা হাত পায়ে জখম নিয়ে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১০ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নয় জনকে ভর্তি নেন। বাকি একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীনদের মধ্যে আব্দুল সাত্তার, সফিউল আলম, আব্দুল কাউম একই পরিবারের সদস্য এবং বিজেপি কর্মী। অপরদিকে করিমুল আলম, হাফুজুল রহামান, জহিরুল ইসলাম, পিপুল হক, জাকেরিয়া হুসেন সহ ছয় জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।
এনিয়ে স্থানীয় যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আরমান আরশাদ বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত আক্রমণ। শহিদ দিবসের সমাবেশ যোগ দিতে আমাদের সিংহভাগ কর্মীই এখন কলকাতায়। এই সুযোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজেপি নেতা সফিউল আলম এবং আরও কয়েকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলে বিজেপি পিছিয়ে ছিল। স্বাভাবিকভাবেই পরিকল্পনা করে হামলা করছে। আমরা পুলিসকে সমস্তটাই জানিয়েছি। অপরদিকে বিজেপি নেতা সফিউল আলম বলেন, আমার ছোট চা বাগান আছে। সেখানে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তার মাঝে হাফিজুল রহমান বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে আমাকে মারধর করে। আমার বাবা ও ভাই ছুটে এলে তাঁদের মারধর করা হয়। হাফিজুল রহমান বলেন, সফিউল আলম আমাকে বাইক দিয়ে ধাক্কা মারে। প্রতিবাদ করায় রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমাকে বাঁচাতে কয়েক জন ছুটে এলে তাঁদের উপরও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয়। এনিয়ে বিজেপি’র মাল বিধানসভা কেন্দ্রের সম্প্রচারক মঙ্গল ওঁরাও বলেন, এটা পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি। মাল থানার ওসি অসীম মজুমদার বলেন, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।