ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তিনি তাঁর ভাষণে পুরোহিতদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিদাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে বিজেপিকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ওই দলটা ধর্ম নিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। হিন্দুত্বের নাম করে সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, আঞ্চলিক ও ব্লক স্তরে এই দলটি একই কাজ করছে। যা নিয়ে আমাদের প্রত্যেককে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পুরোহিতদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, এর আগেও কলকাতার রানি রাসমণি রোডে পুরোহিতদের বিশাল জমায়েত হয়েছিল। আমরা চাই, আগামী দিনে শহিদ মিনার ময়দানে সমগ্র পুরোহিত সমাজকে নিয়ে বড় ধরনের সমাবেশ করতে। যা ইতিহাস তৈরি করবে।
ওই সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজীববাবু বলেন, পুজোর মরশুম কেটে গেলে নভেম্বর মাসের প্রথমে তিনি রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট্রের কর্তাদের সঙ্গে পুরোহিত সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে আলাপ‑আলোচনায় বসবেন। সেখানেই একটি গাইডলাইন তৈরি করে পুরোহিতদের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকারের বিষয়ে নজর দেবেন। রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে সমগ্র পুরোহিত সমাজের পাশে থাকার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, আগামীদিনে পুরোহিতদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, ভাতার বিষয়গুলি নিয়ে কতখানি কী করা যায়, তা রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। সরকার পুরোহিতদের পাশে রয়েছে। তার জন্য যা যা করণীয়, তা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বিজেপি ধর্ম নিয়ে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে। যা মানুষের কোনও কাজে লাগছে না। বরং মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ছে। এতে পুরোহিত সমাজের কোনও উপকার হবে না।
সনাতন বাহ্মণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা এদিন একগুচ্ছ দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন এই সভায়। সেই তালিকায় আছে, প্রবীণ পুরোহিতদের জন্য মাসিক ভাতা প্রদান, জেলায় জেলায় সংস্কৃত কলেজ নির্মাণ, গৃহহীন পুরোহিতদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, পুরোহিতদের পরিচয়পত্র প্রদান ইত্যাদি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের একাধিক কর্মকর্তা। সকলেই তাঁদের ভাষণে বলেন, আগামীদিনে রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্যান্য পুরোহিত সংগঠনগুলিকেও একত্রিত করে এই কেন্দ্রীয় সংগঠনের ছাতার তলায় নিয়ে আসাই লক্ষ্য।