ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
জেলায় জেলায় পাঠানো নির্দেশিকায় খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে, ৯সেপ্টেম্বর থেকে ২৭সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিডিও অফিসে ক্যাম্প করা হবে। শহরের বাসিন্দারা পুরসভায় আবেদন করতে পারবের। কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দারা বোরো অফিসে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। পুরো কাজটি পরিচালনার দায়িত্বে জেলাশাসকরা থাকবেন। কলকাতা পুরসভা এলাকায় আবেদন গ্রহণের কাজ দেখবেন কমিশনার। প্রশিক্ষিত সরকারি কর্মীরা ক্যাম্পে থাকবেন। নোডাল অফিসাররা কর্মীদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করবেন।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অর্ডারে বলা হয়েছে প্রতিটি ক্যাম্পে ফর্ম দেওয়া এবং জমা নেওয়ার জন্য দু’টি কাউন্টার থাকবে। ফর্ম জমা দেওয়ার সময় কর্মীদের তা ভালোভাবে দেখে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ছোট ভুলের জন্য ফর্ম বাতিল না করার জন্য বলা হয়েছে। ফর্মে প্যান নম্বর, আধার নম্বর এবং ই-মেল আইডি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। এর মধ্যে কোনটি না থাকলে নির্দিষ্ট কলমে ‘নট অ্যাভেলেবেল’ বলে উল্লেখ করতে হবে। ক্যাম্পেই ফর্ম চেক করার পর ডেটা এন্ট্রি অপরেটররা তা এনকোয়ারি অফিসারের কাছে পাঠাবেন। ক্যাম্পে ভিড়ের ঠেলায় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না হয় তার জন্য পুলিসও মোতায়েন করা হবে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখনও সারা রাজ্যে কয়েক লক্ষ লোকের ডিজিটাল রেশন কার্ড হয়নি। অনেকে আবার কার্ড হাতে পেলে তাতেও তথ্যে ভুল রয়েছে। তার খেসারত গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। সেকারণে স্পেশাল ক্যাম্প করে আবেদনকারীদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন কার্ড পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের জেলাতেও ক্যাম্প হবে। তার প্রস্তুতি চলছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পেলে অনেকেই নতুন করে খাদ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৯.০৮কোটি মানুষ ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য পাচ্ছেন। ২০১৮-’১৯ খরিফ মরশুমে ১১লক্ষ ৩হাজার ৫৫২জন কৃষকের কাছে থেকে রাজ্য সরকার ধান কিনেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ৪০লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে বলে সরকারের দাবি। সরকারের আরও দাবি, খাদ্য দপ্তর সাফল্যর সঙ্গে কাজ করছে। আগামী দিনে আরও বহু পরিবারকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার টার্গেট নিয়েই স্পেশাল ক্যাম্প করা হচ্ছে। এরফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।