ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রাজ্য পুলিসের সমস্ত থানাই ডব্লুবিএসইডিসিএলের অধীনে পড়ে। শুরু থেকেই তারা থানা বা ফাঁড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি জেলার থানা, ফাঁড়ি বা কমিশনারেটগুলিতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে লফিয়ে লাফিয়ে। বছর কয়েক আগেও দু’-একটি জেলা বাদ দিয়ে সমস্ত জেলাই নির্দিষ্ট সময়েই বিল মিটিয়ে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি সংস্থার নজরে এসেছে অধিকাংশ জেলার বিল সময়মতো জমা পড়ছে না। ডব্লুবিএসইডিসিএলের কর্তারা আশা করেছিলেন, সাময়িক সমস্যা থাকায় হয়তো তা মেটানো যায়নি। কিন্তু বকেয়ার বহর বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্তারা মাঠে নামতে বাধ্য হন।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বকেয়ায় শীর্ষে রয়েছে পুরুলিয়া জেলা। বাড়তে বাড়তে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪৮৮.৯৯ লক্ষ টাকায়। এরপর রয়েছে যথাক্রমে বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর। বকেয়ার অঙ্ক যথাক্রমে ৪৪২.০৭ ও ৩৪৫.৩৬ লক্ষ টাকা। এছাড়া দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট, ডায়মন্ডহারবার ও সুন্দরবন পুলিস জেলা, হাওড়া (গ্রামীণ), হুগলি সহ একাধিক জেলায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিল বাকি পড়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হওয়ার কারণেই লাইন কাটার রাস্তায় হাঁটেননি ডব্লুবিএসইডিসিএলের কর্তারা। রাজ্য পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এত বকেয়া পড়ে থাকার কথা নয় কোনও জেলারই। কারণ, এর জন্য আলাদাভাবে অর্থ অর্থ মঞ্জুর করা হয়। কোন জেলায় কত বিদ্যুতের বিল এসেছে, তার তথ্য পাঠালেই টাকা দিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট জেলাকে।
প্রাথমিকভাবে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বিদ্যুতের বিল নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না জেলা বা কমিশনারেটের থানা এবং ফাঁড়ির অফিসাররা। অনেক ক্ষেত্রেই বিলের কপি পুলিস সুপারের অফিসে পাঠানো হয় না। আবার পাঠানো হলেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। যে কারণে মাসের পর মাস পড়ে থেকেছে বিল। আবার কোনও কোনও জায়গায় বিদ্যুতের বিল মেটানোর জন্য বরাদ্দ টাকা অন্য জায়গায় ফেলা হয়েছে। যে কারণে সমসয়মতো বিল মেটানো যায়নি। বাড়তি অর্থ চেয়ে নবান্নে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থ মঞ্জুর হয়ে না আসায় পড়ে থাকছে বিল। ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্যা না হয়, তারজন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকদের আশা, এরফলে সময়মতো বিল মিটিয়ে দেওয়া যাবে।