নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরীক্ষা পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এখন থেকে কমিশন আয়োজিত ‘মাল্টিপল চয়েজ’ বেসড প্রশ্নপত্রের ‘অ্যানসার কি’ অর্থাৎ সঠিক উত্তর দিয়ে দেওয়া হবে। যে কোনও পদে লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সঠিক উত্তর সম্বলিত ‘অ্যানসার কি’ কমিশনের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে কেবল মাল্টিপল চয়েজ বেসড পরীক্ষার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। কমিশনের দেওয়া উত্তর নিয়ে কোনও পরীক্ষার্থীর দ্বিমত থাকলে, তাও সাতদিনের মধ্যে জানানো যেতে পারে। বিষয়টির মীমাংসা করতে বিতর্কিত সেই উত্তরটি পিএসসি’র প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। সেই অনুসারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একই সঙ্গে কমিশনের দ্বারা আয়োজিত বিবিধ পরীক্ষায় অসংখ্য প্রার্থী আবেদন করেন। নানা কারণে সেই দরখাস্ত অনেক সময় বাতিল হয়। এবার থেকে পরীক্ষায় বসতে চেয়ে দরখাস্ত করা ব্যক্তিদের আবেদন বাতিলের কারণ জানাবে পিএসসি। সূত্রের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ একাধিক বিষয় বিজ্ঞাপনে আগে থেকেই স্পষ্ট করা থাকে। কিন্তু অনেক আবেদনকারীই সেই যোগ্যতামান না পেরনো সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদন করেন। স্বভাবতই তাঁদের দরখাস্ত বাতিল হয়। আগে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীরা জানতে পারতেন না, কেন তাঁদের আবেদন বাতিল হল। কমিশনের নয়া সিদ্ধান্তে এবার থেকে সেই কারণও জানতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী। এ প্রসঙ্গে পিএসসি’র চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু বলেন, নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা আমাদের অগ্রাধিকার। সেই সূত্রে পরীক্ষা পদ্ধতি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আগামীদিনে আরও সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান দেবাশিসবাবু। সূত্রের দাবি, গত কয়েকবছরে পিএসসি আয়োজিত একাধিক পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যা কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। নয়া চেয়ারম্যান দায়িত্বে আসার পরই সাংবিধানিক এই নিয়ামক সংস্থাকে আরও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে এই ধরনের একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।