ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
দেবব্রতবাবুর হয়ে মামলাটি রুজু করেছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রদীপ রায়। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ছাড়াও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রককে মামলার পার্টি করা হয়েছে। একইভাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্য-সংস্কৃতিসচিবও রয়েছেন এই তালিকায়। রয়েছেন সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান (প্রসূন যোশি) এবং প্রযোজক সংস্থার কর্ণধার হিসেবে শ্রীকান্ত মোহতাও। অন্যতম বিবাদা হিসেবে সৃজিতবাবু এবং নেতাজির ভূমিকায় অভিনয়কারী প্রসেনজিতের নামও রয়েছে। মামলায় বিশেষ পার্টি হিসেবে নেতাজির পরিবারের সদস্য তথা সুভাষচন্দ্রের ভাইপো দ্বারকানাথ বসু এবং মুখার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে।
আইনজীবী রায় জানিয়েছেন, নির্মাতারা বিভিন্ন সময়ে ছবিটির প্রচার করতে গিয়ে নানাবিধ তথ্য জানিয়েছেন। গোড়ায় তাঁরা বলেছিলেন, নেতাজি বিশেষজ্ঞ অনুজ ধরের লেখা বিতর্কিত বই ‘কনেনড্রাম’ অবলম্বনে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে ওই বইতে গুমনামিবাবাকেই নেতাজি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পরবর্তীকালে আবার উদ্যেক্তারা বলছেন, মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ছবি তৈরি করা হয়েছে। যাই হোক না কেন, গুমনামিবাবা নামক বিতর্কিত সেই সাধু যে নেতাজি ছিলেন, তেমন কোনও তথ্য-প্রমাণ দেশের মানুষের সামনে আসেনি। ডিএনএ পরীক্ষা থেকে সহায় কমিশনের রিপোর্ট— কোনও ক্ষেত্রেই সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। এতসবের পরও এই ছবি তৈরি করে উদ্যোক্তারা জনমানসে শুধু বিভ্রান্তি তৈরিই নয়, এর জেরে আইনশৃঙ্খলা সমস্যারও ভিত রচনা করতে চাইছেন বলে আমার মক্কেল মনে করছেন। সর্বোপরি, জনস্বার্থে নেতাজির মতো জননায়ককে নিয়ে কোনওরকম বিতর্ক তৈরির সুযোগ নির্মাতাদের দেওয়া উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না বলেই এই মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মামলার পিটিশনের সঙ্গে অনেক নথি যুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একদা কেন্দ্রের তরফে নেতাজিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে রুজু হওয়া মামলার রায় যেমন রয়েছে, তেমনই মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশও উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বোপরি, বিষয়টি নিয়ে আদালতে বিশেষ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নেতাজির ভাইপো দ্বারকানাথ বসু এবং বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায়কে মামলায় পার্টি করা হয়েছে সরাসরি আদালতে তাঁদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার উদ্দেশ্যে। প্রসঙ্গত, গুমনামি ছবিকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই কিছু বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বসু পরিবারের তরফেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ছবি নিয়ে। বিতর্ক দূর করতে আজ রবিবার ছবির কিছু অংশ দেখিয়ে নেতাজির হাতে তৈরি দল ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসছেন সৃজিত এবং প্রসেনজিৎ।