ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এদিন বিধানসভার শুরুতেই বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ডেঙ্গুতে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চান। জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। সেখানে রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। রাজ্যে মোট ৬০টি ডেঙ্গু নির্ণয় কেন্দ্র থেকে পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। গত বছর এই সময় পর্যন্ত ১,২৬,৪০৪ জনের রক্ত পরীক্ষা হয়েছিল। এ বছর এই সময় পর্যন্ত ১,৮৪,২১৮ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ডেঙ্গু নির্ণয় কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহকুমা ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যের সব হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, জুন মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন ও জঞ্জাল সাফ করার জন্য ৯৭ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কেমিক্যাল লার্ভিসাইডের পাশাপাশি এবছর বায়োলার্ভিসাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে ৫০ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল, এবার প্রায় তিন কোটি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে ডেঙ্গু অবর্জাভার টিম তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য স্তরে ১১টি এবং জেলাস্তরে ৩৫টি টিম কাজ করছে।
এরপরে আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে ১০ জন উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। ওই জেলার বি এন বসু হাসপাতালে চারজন, বনগাঁয় একজন, হাবড়ায় একজন, বেলেঘাটা আইডি’তে একজন, আর জি কর হাসপাতালে তিনজন এবং বেসরকারি হাসপাতালে চারজন মারা গিয়েছেন। আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়েছি। তবে ঘরে যেন জল না জমে, সেটা দেখা দরকার। অনেকে বাথরুমে ছোট গামলায় জল রাখেন, গাছের টবে জল জমে থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। হাবড়ায় জল জমে আছে কি না, তা দেখতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করেছি। মশা মারতে বায়োলার্ভিসাইড স্প্রে করা হচ্ছে। আগে ২৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কোনও হাসপাতালে প্লেটলেটের অভাব নেই। সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আব্দুল মান্নান বলেন, আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি লোকসভা ভোটের পর থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা বলিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার অত্যন্ত সুম্পর্ক, আমি কথা বলতে পারি, কিন্তু সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের বলা উচিত।