বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলার ডিএসপি ক্রাইম মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, আমরা দু’ভাগে পুলিসি ব্যবস্থা করেছি। একদিকে মন্দির ও তার আশেপাশের এলাকা আরেকটি মন্দিরের বাইরে অর্থাৎ রাস্তা, জল নেওয়ার ঘাট ইত্যাদি জায়গায়। তিস্তার জল নিতে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে সেজন্য বোটে পুলিস থাকছে। সড়ক পথে প্রচুর পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার থাকছে। মেলায় সাদা পোশাকে পুলিস নজরদারি চালাচ্ছে। মেলা উপলক্ষে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাই রোডে কোনওরকম যানবাহনের সমস্যা এড়াতে পুলিসি পেট্রোলিং চলবে। জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, দেবাদিদেব মহাদেবের জন্ম মাসের এই শ্রাবণী মেলা শতাব্দী প্রাচীন। প্রতিবছর কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। আমাদের রাজ্য ছাড়াও অসম, বিহার এবং প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান থেকেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। মন্দিরে বাবা ভোলানাথের মাথায় জল ঢালতে লাইনে দাঁড়িয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে ১০ টাকা এবং সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে ১০০ টাকার টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। রবিবার থেকে মেলা প্রাঙ্গণে দোকানপাট বসতে শুরু করেছে। শ্রাবণী মেলায় মূলত সারা মাস ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢাললেও রবিবার ও সোমবার বেশি ভিড় হয়। মেলা উপলক্ষে চারিদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আমাদের ৭০ জন ভলান্টিয়ার সার্বক্ষণিক নজরদারিতে পূণ্যার্থীদের সহযোগীতার জন্য রয়েছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম ময়নাগুড়ি জল্পেশের এই শ্রাবণী মেলা সমগ্র উত্তরবঙ্গের গর্ব। প্রতিবছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে এই মেলায়। গুরুপূর্ণিমা থেকে ঝুলন পূর্ণিমা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় কয়েক শতাধিক দোকান বসছে। মেলায় ঢোকার রাস্তা, মেলার মাঠ, মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা দোকান সাজাতে ব্যস্ত রয়েছেন। সোমবার থেকেই জমজমাট মেলা শুরু হয়ে যাবে।