বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, গঙ্গারামপুর হাসপাতালে আমরা ম্যক অ্যালাইজা মেশিন পাঠিয়ে দিয়েছি। ওই মেশিন চালানোর জন্য টেকনিশিয়ানকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেই আমরা পরিষেবা চালু করে দেব।
হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ শৌভিক আলম বলেন, গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ম্যাক অ্যালাইজা মেশিন আনা হয়েছে। এটি চালু হলে আমাদের মতো প্রান্তিক ব্লকের রোগীদের উপকার হবে। ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করতে বালুরঘাটে যেতে হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে পারব।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় হবে তত তাড়াতাড়ি রোগীর চিকিৎসা শুরু করা যাবে। তাই ম্যাক অ্যালাইজো মেশিনটি খুবই কার্যকরী হবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন জেলায় একমাত্র বালুরঘাট হাসপাতালেই ম্যাক অ্যালাইজা মেশিন ছিল। জেলার যেকোনও হাসপাতালে জ্বর সহ ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে তাঁর রক্ত পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে বালুরঘাটে পাঠানো হতো। এবার থেকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই মহকুমার সমস্ত হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করা হবে। এজন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে টেকনিশিয়ানদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ শেখানো হয়েছে। ওই মেশিনে শুধু ডেঙ্গুর পরীক্ষাই নয়, রক্তের অন্যান্য পরীক্ষাও করা হবে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে টেকনিশিয়ানকে গঙ্গারামপুরে নিয়ে আসর জন্য জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর চেষ্টা করছে। তবে সরকারি হাসপাতালে যেসব রোগী ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হবেন শুধুমাত্র তাঁরই বিনামূল্যে পরীক্ষার সুবিধে পাবেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, রোগীদের রক্তের নমুনা ব্লক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠাবে। সেখান থেকেই রক্ত পরীক্ষা হয়ে আসবে। অথবা ব্লক হাসপাতাল সরাসরি রোগীকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারে।