বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
আন্দোলনরত পড়ুয়ারা বলে, থানায় অভিযোগ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিস গ্রেপ্তার করতে পারেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিস ও স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করছে। শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আন্দোলন চলবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল থেকে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি। এদিন কিছু পড়ুয়া অফিসঘরে ঢুকে কথা বলতে আসে। সেসময়ে বিশৃঙ্খলা হয়।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক অমৃতকুমার ঘোষ বলেন, আমরা এদিন পঠন পাঠন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। সেসময় কিছু পড়ুয়ারা অফিসঘরে ভাঙচুর চালায়। তারা ফ্যান, ঘড়ি নষ্ট করে দেয়। টিচার্স রুমে ঢুকে আমাকে খুনের হুমকি দেয়। আমরা পুলিসের সহায়তা না পেলে সমস্যায় পড়ে যেতাম। সমস্ত কিছুই পুলিসকে জানানো হয়েছে।
মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, বাচামারি জিকে হাইস্কুলের ছাত্র বিক্ষোভের পাশাপাশি কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করেছিল। আমরা ছাত্রদের আশ্বস্ত করেছি অভিযুক্তকে দ্রুত ধরা হবে। এরপরেই তারা অবরোধ তুলে নেয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্কুলে শিক্ষক নিগ্রহ, ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
গত সোমবার সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলের এক শিক্ষক স্কুলেরই দোতলা ঘরে যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে গোটা সপ্তাহজুড়েই স্কুলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তির দাবি তুলে সম্প্রতি ওই শিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর ও ঘেরাও হয়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার না হওয়ায় এদিন পড়ুয়া এবং অবিভাবকদের একাংশ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিসঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুরের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পঠন পাঠন চলাকালীন অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যে ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরে স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়া অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেপ্তারের দাবি তুলে বুলবুলি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত অবরোধ চলে। ফলে জাতীয় সড়কে দূরপাল্লার বাস, ছোট গাড়ি আটকে পড়ে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।