বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজে কী কাজ করছেন, তিনি নিজেকে আগে সেই প্রশ্ন করুন। রাজ্য সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরার জন্যই কি তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন? বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে সেচ দপ্তর কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন সকালে রায়গঞ্জ শহর থেকে বিশাহার ঘাটের কাছে গিয়ে প্রথমে কুলিক নদী বাঁধের একাংশ পরিদর্শন করেন। সেখানে বাঁধের উপরের অংশেও খানাখন্দ দেখে তিনি বাঁধের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনেই তিনি বলেন, দুবছর আগে তৈরি বাঁধের এই অবস্থা? স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, রহিমূল হক, মতিউর রহমানরা মন্ত্রীকে বাঁধের দু’দিকে ইঁদুরের তৈরি গর্ত দেখিয়ে বলেন, আমরা নিজেদের উদ্যোগে শুরুতে ওই গর্ত বন্ধ করতে না পারলে পুরো বাঁধটাই ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতো। স্থানীয় মহিলারাও মন্ত্রীকে বলেন, রাতে আমরা ঘুমোতে পারছি না। যে কোনও সময় বাঁধ ভেঙে গেল আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষয়টি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বিষয়টি দেখতে বলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয় খানাখন্দে ভরা নদীবাঁধ দিয়ে কয়েক কিলোমিটার এগোতেই রুদ্রখণ্ড এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে বলেন, এখানে বাঁধে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সুলতান আলি, হাফিজুল শেখরা বলেন, বাঁধ ভেঙে গেলে এপারে আমাদের ঘরবাড়ি ফসল সব নষ্ট হয়ে যাবে।
সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা অবশ্য জানিয়েছেন, বাঁধে সবসময় নজরদারি চালানো হচ্ছে। নদীর জলও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাঁধে কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিলেও এখনই তা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে রায়গঞ্জ ও ইটাহার ব্লকের আটটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছেন।
এদিকে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাজার হাজার বিঘা জমির সবজি, আমনের বীজতলা সহ বিভিন্ন ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রায়গঞ্জের বিডিও রাজু লামা বলেন, এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। সোমবারের মধ্যে চাষের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।