বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দিনহাটার বাসিন্দা সাবির সাহা চৌধুরিকে সরিয়ে বর্তমানে কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ দত্তকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয়েছে। সংগঠনের কমিটির মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য অপর গোষ্ঠীর সদস্যদেরও জায়গা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্যদের একাংশ এখনও এক হতে পারেননি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, আমি আসার পর কোথাও কোনও দলাদলি দেখিনি। কোনওরকম দলাদলিকে আমরা সমর্থনও করি না। রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে আমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন সেভাবেই আমাদের চলতে হবে। তবে কোথাও ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। সকলে মিলে আলোচনা করে তা মিটিয়ে ফেলা হবে। সকলের সঙ্গেই আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি সায়নদ্বীপ গোস্বামী বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্রিগেডের সভা সফল করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। অন্য কোনও মন্তব্য করব না।
কোচবিহারে বিগত দিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাধিক গোষ্ঠী ব্যপক সক্রিয় ছিল। কোচবিহার শহরের কলেজগুলিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর পুলিস ও প্রশাসনও এই গণ্ডগোল থামাতে কড়া পদক্ষেপ নেয়। রাজ্য নেতৃত্বও এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি। কোচবিহার শহরে ও দিনহাটাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে দু’জনের মৃত্যু হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। পরবর্তী সময়ে সংগঠনের তৎকালীন জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেও দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনের জেলা সভাপতির পদ শূন্য ছিল। বর্তমানে জেলা সভাপতি সহ জেলা কার্যকরী কমিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। তবে শীঘ্রই কলেজ ইউনিটগুলিতে নেতৃত্বের রদবদল হতে পারে। বহিরাগতরা যাতে কলেজে জাঁকিয়ে বসতে না পারে সেকারণে জেলা থেকে একাধিক প্রস্তাব উপরমহলে পাঠানো হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলায় যুব ও মাদারের মধ্যে নিত্যদিনের যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তারই ছায়া পড়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের অন্দরে। বর্তমানে ছাত্র সংগঠনের একাংশ মাদারঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। অন্য পক্ষ যুবদের সঙ্গেই ওঠাবসা করে। মূলত তার জেরেই দু’পক্ষের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। বুধবার মাথাভাঙাতে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সেই দ্বন্দ্বেরই প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে সংগঠনের একাংশের মতে বর্তমানে টিএমসিপি’র রাজ্য নেতৃত্ব দ্বন্দ্ব মেটাতে অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিচ্ছে।