বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
১৯৬৬ সালে বিশ্বরঞ্জনবাবু কংগ্রেসের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত আজীবন কংগ্রেসি ছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের তিনি অত্যন্ত স্নেহধন্য ছিলেন। তিনি এআইসিসি’রও সদস্য ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। জীবনের শেষ দিকে তিনি রাজ্য রাজনীতিতে যেকোনও নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট রাজনীতির পক্ষে ছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতিতে তাঁর শিষ্য সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে হেরে যান। এদিন বিশ্বরঞ্জনবাবুর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। জেলা সদরের কলেজ হল্টে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে শোকাহত দলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমান। অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায়। আরএসপি’র প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও বিশ্বরঞ্জনবাবুর সঙ্গে একসঙ্গে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি বিশ্বরঞ্জনবাবুর হাত ধরেই। ব্যক্তিগতভাবে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আরএসপি’র জেলা সম্পাদক সুনীল বণিকও বিশ্বরঞ্জনবাবুর মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। সিপিএমএর জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায়ও বিশ্বরঞ্জনবাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।