খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এই দম্পতি ও তাঁদের মেয়ে দুবাই গিয়েছিলেন। মোট ৪০ জনের একটি পর্যটক দলের সদস্য ছিলেন তাঁরা। ১ মার্চ দুবাই থেকে মুম্বই ফেরেন। এরপর মুম্বই থেকে পুনে ফেরেন ট্যাক্সিতে। এই দম্পতির মেয়ের পাশাপাশি ওই ট্যাক্সিচালকের নমুনাতেও করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। মঙ্গলবার এই দম্পতির মেয়ে, ট্যাক্সিচালক ও দুবাই থেকে ফেরা আরও এক ব্যক্তির প্রথম নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। বুধবার দ্বিতীয় নমুনা পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি এই রাজ্যে মুক্তি পেলেন আরও ছ’জন। যাঁদের মধ্যে রয়েছে এক তিন বছরের শিশুও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশজুড়ে লক ডাউনের ঘোষণার পর আতঙ্কের চোরাস্রোত প্রত্যেক নাগরিকের ধমনী দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। প্রবীণ দম্পতি সহ বাকিদের এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর খবর তাতে অবশ্যই বাঁধ দেবে। শুধু এঁরাই নন, দেশের ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত মঙ্গলবার পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। করোনা-যুদ্ধে জয়ী হয়ে। সোমবারও যে সংখ্যাটা ছিল ৩৫। মাত্র একদিনে ১৩ জনের সুস্থ হয়ে ওঠাটা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে এই ভয়াবহ আতঙ্কের আবহে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৪৮ জন। এদের ধরে আক্রান্তের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৬০৬। মঙ্গলবার গভীর রাতে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তামিলনাড়ুতে। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর জানান, ৫৪ বছর বয়সি ওই প্রৌঢ় দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন। এনিয়ে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৮। বুধবার দুপুরে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয় এক প্ৰঔরের। বয়স ৬৫। অন্যদিকে গুজরাতে বুধবার তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (স্বাস্থ্য) জয়ন্তী রবি। ফলে গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৮। তেলেঙ্গানায় আরও তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯। রাজস্থানে দুপুরে ৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদের মধ্যে দু'জন স্বাস্থ্যকর্মী। ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৬। মহারাষ্ট্রে বুধবার নতুন করে চারজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ফলে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১১৬। দেশের মধ্যে যা সর্বাধিক। চারজনই কস্তুরবা পুরসভা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পাশাপাশি হরিয়ানাতে ১৭ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্হিতি মিলেছে বলে বুধবার বিকেলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। সন্ধ্যাবেলা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ফলে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫। ছত্তিশগড়ে বুধবার দু'জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই রাজ্যে আগে একজন আক্রান্ত ছিলেন।
তবে ১৩০ কোটি মানুষের দেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা এই জায়গায় আটকে রাখা সম্ভব হয়েছে শুধু কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। সঠিক সময়ে লকডাউন তারই প্রধান অঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হোন বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়... রাজনীতি পাশে সরিয়ে রেখে দু’জনের থেকেই শোনা গিয়েছে এক আর্জি, সুস্থ থাকুন, বাড়িতে থাকুন। গৃহবন্দিত্বই পারে করোনা মহামারীর এই চেনকে ভেঙে দিতে। আপাতত সেটাই প্রাথমিক লক্ষ্য।