ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
আসানসোল পুরসভার কমিশনার নীতিন সিংহানিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু সংস্থা হোর্ডিংয়ের জন্য পুরসভার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। তাদের নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আমরা সেই সব সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করছি। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হবে। নতুন করে টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়াও চলছে।
কলকাতার পরেই রাজ্যের বড় শহর হিসেবে নাম আসে আসানসোলের। খনি ও শিল্পাঞ্চল ঘেরা এই শহরের আর্থিক বুনিয়াদও যথেষ্ট মজবুত। তাই বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বহু হোর্ডিং রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় দেড়শো হোর্ডিং পুরসভার নিজস্ব। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই হোর্ডিংগুলিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে মুনাফা নেয় নানা সংস্থা। অভিযোগ, পুরসভার কাছ থেকে যে সব সংস্থা এই হোর্ডিং ব্যবহার করার জন্য অনুমতি নিয়েছিল, তারা চুক্তি মতো টাকা দিচ্ছে না। অনেকে আবার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তা ব্যবহার করে চলেছে। কোনও এক অদৃশ্য কারণে এনিয়ে এতদিন উচ্চবাচ্য করেনি পুরসভা। যার জেরে প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছে কর্পোরেশন। অবশেষে তাদের টনক নড়েছে। বয়েকা টাকা আদায়ে তৎপর হয়েছে পুরসভা। প্রথমে যারা টাকা দেয়নি তার তালিকা প্রস্তুত করে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাতেও যাদের ঘুম ভাঙেনি তাদের জন্য এবার আরও কড়া পদক্ষেপ হিসেবে এফআইআর করা হচ্ছে।
কিন্তু প্রশাসনের নোটিসের পরেও কেন ঘুম ভাঙলে না? পুরসভার অন্দরে খবর, হোর্ডিং ও পার্কিং নিয়ে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। তাই দিনের পর দিন নিয়ম বহির্ভূতভাবে হোর্ডিং, পার্কিং থাকলেও তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ হয়নি। তাই পুরসভার নোটিসকে আমল দেয়নি অনেকে। অন্যদিকে পার্কিং নিয়েও অবস্থান কড়া করেছে পুরসভা। এখনেও অনেক ‘দাদার’ অনুগামীরা পুরসভার পার্কিংকে নিজেদের অধিকার হিসেবে মনে করে। দীর্ঘদিন ধরে তারাই পার্কিং চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে। ইচ্ছামতো পার্কিংয়ে চার্জ বাড়িয়ে দেওয়া, রাস্তার উপর পার্কিং করে দেওয়া, সবই করেছে অবলীলায়। এবার সেই সাম্রাজ্য ভাঙতে পুরসভার নিজস্ব পার্কিংগুলি চালানোর জন্য নতুন সংস্থাকে বরাত দিতে টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে।
আসানসোল থেকে বরাকর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া সবর্ত্রই রাস্তা, ফুটপাত দখল করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেছেন। এতদিন তা নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস দেখায়নি কেউ। কিন্তু সাম্প্রতিককালে একাধিক উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। এবার পার্কিং ও হোর্ডিং নিয়ে কড়া অবস্থান ভোটের আগে রীতিমতো সাহসী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।