ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
আপাতত সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ও সি-বিচ পর্যন্ত পর্যটকদের যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। সোমবার দুপুরে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে প্রশাসন। ‘জওয়াদের’ প্রভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই বলে শনিবারই জানা গিয়েছিল। তাই নতুন করে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানো হয়নি। তা সত্ত্বেও সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল প্রশাসন। উদ্ধারকারী টিম দীঘা, কাঁথি, হলদিয়া, তমলুক প্রভৃতি জায়গায় তৈরি রাখা হয়েছিল।
এদিকে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে এবার আলুচাষ অনেকটা পিছিয়ে যাবে। মাঠ থেকে জল বের না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সব্জি চাষেও ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বন্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-১ ও ২, পটাশপুর-১ ও ২, চণ্ডীপুর, ময়না প্রভৃতি ব্লকে আমন চাষ একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। কাঁথি-১ ও ৩, দেশপ্রাণ, এগরা-১ ও ২, রামনগর-১ ও ২ এবং খেজুরি-১ ও ২ ব্লকে যেটুকু ছিল তাও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। জেলা কৃষিদপ্তরের সহ অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, ৬৫শতাংশ জমির ধান খামারে উঠে গিয়েছে। কিছু জায়গায় ধান মাঠে আছে।
সোমবার জেলায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার জন্য আগেই প্রত্যেক ব্লকে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও উত্তাল হলদি নদীতে এদিন ঝুঁকি নিয়েই হলদিয়া-নন্দীগ্রাম ফেরি সার্ভিস চালু ছিল। তা জানাজানি হতেই বেলা ১২টা নাগাদ পুলিস গিয়ে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। কুঁকড়াহাটি-রায়চক, কুঁকড়াহাটি-ডায়মন্ডহারবার ফেরি সার্ভিস অবশ্য বন্ধ ছিল। হলদিয়া বন্দর এলাকায় যাতে জল জমে না যায়, সেজন্য মেশিনের সাহায্যে নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হয়। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা না থাকায় রবিবার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানো হয়নি। সোমবারও জওয়াদ নিয়ে গত তিনদিনের মতোই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকছে।