ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
কীভাবে জামতাড়া গ্যাং আমজনতাকে বোকা বানাচ্ছে? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন করতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়। সহযোগিতার জন্য ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা গুগল সার্চ করে হেল্পলাইনের সন্ধান করেন। জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানেই ফাঁদ পেতে রেখেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদেরও অসংখ্য পেজ আপলোড করা রয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর ভেবে অনেকেই তাদের মোবাইল ফোন করে বসে। তখনই জামতাড়ার অপরাধীরা নির্দিষ্ট ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেয়। সেটা ডাউনলোড হয়ে গেলেই বাজিমাত করে তারা। ওয়ালেটে থাকা সমস্ত তথ্যই তাদের হাতের কাছে চলে যায়। মোবাইলে অন্যান্য কী গোপন তথ্য রয়েছে সেটাও তারা কয়েকশো কিলোমিটার দূরে বসেই দেখতে পায়। প্রয়োজনমতো সবকিছুই তারা নিজেদের মোবাইলে আপলোড করে নেয়। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট এভাবেই সাফ করেছে জামতাড়া গ্যাং। এক ব্যক্তি বলেন, কয়েকদিন আগে অনলাইনের মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক বিল পেমেন্ট করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কিছুতেই তা হচ্ছিল না। পরে মোবাইল ঘেঁটে একটি হেল্পলাইন নম্বর পাই। ওই নম্বরে ফোন করার পরই সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট এই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেয়। একাধিকবার ফোন করে অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির কথায় সন্দেহ হয়েছিল। তাই অ্যাপটি ডাউনলোড করিনি। এভাবে অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন বলে শুনেছিলাম। সেই কারণেই সন্দেহ হয়েছিল। এক আধিকারিক বলেন, এই অ্যাপটি বহুদিন আগেই এসেছে। বিদেশি একটি সংস্থা ভালো উদ্দেশ্যেই সেটি তৈরি করেছিল। কিন্তু সেটিকেই সাইবার অপরাধীরা ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে। এই কায়দায় টাকা হাতানোর অভিযোগে কয়েকদিন আগেই জামতাড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিস কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীরা বলেন, এখন বহু লোকজন অনলাইনে লেনদেন করেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে বিভিন্নরকম সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার পরও বিল পেমেন্ট হচ্ছে না। কোনও কোনও সময় টাকা জমা হতেও সমস্যা দেখা যায়। তখনই ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা হেল্পলাইন নম্বরের খোঁজ করেন। কোনও কারণে জামতাড়ার তৈরি পেজে চোখ পড়লেই সর্বনাশ শুরু হয়ে যায়। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একসময় এই অপরাধীরা নিজেদেরকে ব্যাঙ্ক আধিকারিক পরিচয় দিয়ে আমজনতাকে ফোন করত। পরে কথার ছলে ওটিপি নম্বর জেনে তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করত। কিন্তু তাদের এই কৌশল সম্পর্কে এখন অনেকেই ওয়াকিবহাল। তাই তারা ‘ব্যাকডেটেড’ এই কৌশল বদলে নিত্য নতুন কৌশলে প্রতারণা করছে।
মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। কোনও অ্যাপ ব্যবহার করার আগে সেটির সম্পর্কে সবকিছু জানা উচিত।