ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
তমলুক শহরে ১৯নম্বর ওয়ার্ডে নারায়ণপুর সংলগ্ন কাপাসবেড়্যায় ওই ঘটনা জানাজানি হতেই নিম্নচাপের বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হন। ওই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি রেলগেটের দাবি দীর্ঘদিনের। এদিনের ঘটনার পর তাঁরা সেই দাবিতে লোকাল ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। ৪১নম্বর জাতীয় সড়কে নারকেলদা বাস স্টপেজের সঙ্গে সংযোগকারী ওই রাস্তার উপর আড়াআড়িভাবে রেললাইন চলে গিয়েছে। কাপাসবেড়্যা, চাঁদকুয়া, সোনামুই, গণপতিনগর, বিরিঞ্চিবসান সহ আশপাশের আট-দশটি গ্রামের মানুষজন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। রক্ষীবিহীন ওই জায়গায় রেল লাইনের উপর দিয়ে টোটো, অটো, বাইক, মারুতি প্রভৃতি গাড়ি যাতায়াত করে। গ্রামীণ তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকের বাসিন্দারা ওই রাস্তায় যাতায়াত করেন। ওই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেলগেটের দাবিতে এদিন সোচ্চার হন গ্রামবাসীরা।
ঘটনাস্থলে তৃণমূলের নেতৃত্ব সহ সকলেই রেলগেটের দাবি তোলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আরপিএফের ওসি বীরেন্দ্রকুমার। এছাড়াও রেলকর্মী, তমলুক থানার পুলিস এবং শহর তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া ঘটনাস্থলে যান। সাড়ে ১২টা নাগাদ গাঁইতি, শাবল প্রভৃতি দিয়ে মারুতিকে লাইন থেকে সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। আরপিএফের ওসি বলেন, এটি রক্ষীবিহীন একটি লেভেল ক্রসিং। এলাকার মানুষজন পারাপার করেন। মারুতি গাড়ি পারাপার করার সময় লাইনে আটকে গিয়েছিল। ট্রেন আসার আগেই সকলে নেমে যান। যেকারণে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রায় দেড় ঘণ্টা হলদিয়া-পাঁশকুড়া লোকাল আটকে যাওয়ায় ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস এবং ডাউন দীঘা-মেচেদা লোকাল আটকে গিয়েছিল। লাইন পরিষ্কার হতেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিনের ঘটনার পর রেল পুলিসের দুই কর্মীকে কাপাসবেড়্যায় ডিউটি দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকায় রেলগেট বসাতে হবে। ওই কাজ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত জিআরপি-র দু’জনকে নিযুক্ত করতে হবে। আগামী দিনে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য রেলকেই উদ্যোগ নিতে হবে। মারুতি থেকে চালক এবং আরোহীরা সময়মতো বেরতে না পারলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ওই মারুতি গাড়িটি একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। চালক এবং আরোহীরা নেমে যাওয়ার পর নিজেরাই সেখান থেকে সরে যান। তমলুকের স্টেশন ম্যানেজার প্রশান্তকুমার রায় বলেন, ওই ঘটনার জেরে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ও ডাউন দীঘা-মেচেদা লোকাল কিছুক্ষণ আটকে ছিল। তারপর লাইন পরিষ্কার হতেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।