খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
কাটোয়া শহরে লক ডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস ও পুরসভা মাইকে করে প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করলেও শুনছেন না অনেকেই। সকালের দিকে ঘণ্টা খানেক সবজির বাজার এবং বিকেলে কিছু সময়ের জন্য মুদিখানা দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সুযোগে বেরিয়ে কাটোয়া শহরে ঘোরাঘুরি করছেন অনেকেই। তবে পুলিসের রণংদেহী মূর্তি দেখে রাস্তা ফাঁকা করছেন বাসিন্দারা।
এদিন বেলার দিকে কাটোয়া থানার পুলিস গোটা শহরজুড়ে বাসিন্দাদের ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে গিয়ে বিচিত্র ছবি ধরা পড়ে। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি পকেটে পুরানো প্রেসক্রিপশন নিয়ে মদের দোকানের রাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন। আবার কেউ কেউ কাকিমা বা দাদুর পুরানো প্রেসক্রিপশন নিয়ে লটারির দোকান বা চায়ের দোকানের খোঁজে বেরিয়ে পুলিসের তাড়া খেলেন। যেহেতু ওষুধ কেনার জন্য রাস্তায় বেরনোর বিশেষ ছাড় আছে তাই কাটোয়া শহরে অনেকেই বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের দীর্ঘ কয়েক বছর আগেকার হলদে হয়ে যাওয়া পুরানো চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। আর পুলিস দেখলেই প্রেসক্রিপশনটি পকেট থেকে বের করে দেখাচ্ছেন। তারপর খতিয়ে দেখতেই দেখা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি হয় কোনও লটারির টিকিটের দোকান খুলেছে কিনা খোঁজে বেরিয়েছেন। অথবা বন্ধ মদের দোকানের ফাঁকফোকর থেকে অন্তত ছোট বোতল পাওয়া যায় কিনা সেই খোঁজে বেরিয়েছেন। প্রত্যেককেই পুলিস লাঠিচার্জ করে হটিয়ে দেয়।
কাটোয়া থানার এক অফিসার এদিন জানান, রাস্তায় আমাদের দেখলেই ছুটে গিয়ে অনেকেই ওষুধের দোকানে ভিড় করছেন বা ফাঁকা বোতল দেখিয়ে দুধ কেনার অজুহাত দিচ্ছেন। তবে এদিন গোটা কাটোয়া শহরজুড়ে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া রাস্তাতে বের হননি কেউই। শহরের প্রতিটি রাস্তা ছিল শুনশান। পুলিস সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে জমায়েত দেখলেই হটিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে এদিন পর্যন্ত কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে আইসোলেন ওয়ার্ডে ভর্তি হলেন ৯ জন। প্রত্যেকেই ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁদের আইসোলেশন বিভাগে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে।