খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
রাহুল গান্ধী ট্যুইট করেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অকালমৃত্যু রোখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দু’টি উপায়ে তা সম্ভব বলে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, করোনা নির্ধারণে ব্যাপক টেস্ট করে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হোক। হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। একদিকে যেমন করোনা আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত এবং চিকিৎসার কথা বলেছেন রাহুল, একইসঙ্গে অর্থনৈতিক অবস্থার দিকেও সরকারকে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, দিনমজুরদের টাকা দেওয়া হোক। দেওয়া হোক বিনামূল্যে রেশন। এ ব্যাপারে বিলম্ব করলে অদূর ভবিষ্যতে দেশে বিপত্তি তৈরি হবে। তিনি আরও বলেছেন, যেসব শিল্প সংস্থা এই লকডাউনে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়ছে, সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য করুক। তা নাহলে ব্যাপকভাবে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেছেন, অপ্রস্তুত এই লকডাউনে ধনী এবং মধ্যবিত্ত কোনওক্রমে সামলে নিলেও গরিবদের কী হবে? দিনমজুরদের কে দেখবে? কী খাবে? কীভাবে কাটাবে এই ২১ দিন? আচমকা লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করেন তিনি। অধীরবাবু বলেন, বাংলার বহু অসংগঠিত শ্রমিক কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে আটকে রয়েছে। হাতে টাকাপয়সা নেই। খাবার নেই। অসহায় এই সময়ে বাংলার ওই দিনমজুরদের উদ্ধারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের পাশে দাঁড়ান।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের কপিল সিবাল, তৃণমূলের লোকসভার এমপি মহুয়া মৈত্র করোনার জন্য মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা ঘোষণায় নরেন্দ্র মোদি সরকারকে এক হাত নিয়েছেন। সিবাল ট্যুইট করেছেন, সংসদ সহ সেন্ট্রাল ভিস্তার জন্য ২০ হাজার কোটি আর মেডিকেল পরিকাঠামোর জন্য মাত্র ১৫ হাজার কোটি? মহুয়া মৈত্রও সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, মোদিজি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই। করোনা মোকাবিলায় আপনি ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবেন, আর নতুন সংসদ ভবন তৈরির মতো অপ্রয়োজনীয় একটা প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছেন? কোন হিসেবে এই বাজেট করছেন? প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া।