খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি কাবু মহারাষ্ট্র। তারপরেই কেরলের স্থান। মহারাষ্ট্রে এদিন কোথাও কোথাও কার্ফু জারি করে লকডাউন মানতে বাধ্য করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। পাঞ্জাবেও একই কায়দায় লকডাউন সফল করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এদিন উত্তপ্রদেশের ৭৫টি জেলাকেই লকডাউনের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিছু এলাকায় প্রয়োজনে কার্ফু জারি করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সীমানাও। রবিবার থেকে কার্যত ঘরবন্দি দিল্লি। এদিন দিল্লি পুলিসের তরফে লকডাউনে নাগরিকদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিতে অ্যাপ চালু করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা থেকে ছ’টা পর্যন্ত এই অ্যাপের মাধ্যমে সমস্যার কথা জানাতে পারবেন দিল্লিবাসী। মহারাষ্ট্রের নাসিকে গণপরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিস কমিশনার নাঙরে প্যাটেল। কার্ফুও চলছে শহরে। মোটর তৈরির কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা।
বিহারে পাটনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে সোমবার থেকে লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করা হয়। প্রথম দিন সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই পাটনার রাস্তায়, শপিংমলে ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। বাসেও গাদাগাদি করে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার অবশ্য কঠোর হয়েছে পুলিস প্রশাসন। ওড়িশাতে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২৯ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। ভুবনেশ্বর, পুরী, কটক, সম্বলপুর সহ শহরেই লকডাউন চলছে। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করলেই চলছে ধরপাকড়। লকডাউন চলছে তেলেঙ্গানাতেও। তা হলেও মঙ্গলবার হায়দরাবাদ শহর সহ একাধিক এলাকায় মানুষের জটলা চোখে পড়ে। বাজারহাটেও বেশ ভালোই ভিড় ছিল। কোথাও কোথাও ব্যারিকেড করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস। হরিয়ানার গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, সোনিপত, পানিপথ, রোহতক এবং পঞ্চকুল্লা জেলায় আগেই লকডাউন ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এদিন থেকে গোটা রাজ্যেই কার্যকর লকডাউনের সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। স্তব্ধ উত্তরাখণ্ডও। রবিবার রাত থেকে লকডাউন শুরু হয় রাজ্যে। সরকারি নির্দেশ মেনে রাজ্যবাসীকে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, লকডাউনের নির্দেশ কার্যকর করতে পুলিস-প্রশাসনকে কঠোর হতে বলা হয়েছে। ফলে এদিন গোটা রাজ্যই পুরোপুরি স্তব্ধ ছিল বলে।