উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
অন্যদিকে, মাত্র দুটি আসন কম হওয়ায় সরকারিভাবে বিরোধী দলনেতার পদ না পেলেও ৫২ জন এমপি নিয়ে কংগ্রেস যে মোটেই গালে হাতে দিয়ে বসে থাকবে না, তা আজ প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে জেতা বিজেপি এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় তাঁর ধর্মগুরুর নাম যোগ করেন। আর তাতেই শুরু হয়ে যায় হল্লা। এভাবে বলা যায় না বলে প্রতিবাদ করেন খোদ সোনিয়া-রাহুল গান্ধী। প্রতিবাদে সোচ্চার হন কংগ্রেস এমপিরা। যা নিয়ে লোকসভায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রথমদিনেই সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে তর্কাতর্কিতে পরিবেশ সামান্য উত্তপ্ত হয়।
আগামীদিনেও যে এই ঘটনা ঘটবে, তা আগে থেকে আন্দাজ করেই লোকসভায় এমপিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবেদনের সুরে বলেন, ‘সংসদে পক্ষ, বিপক্ষ না করে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে সবাই কাজ করবেন, এটাই আশা করছি।’ কংগ্রেস তথা বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে মোদি বলেন, ‘সংখ্যা নিয়ে ভাববেন না। মানুষ যা সংখ্যা দিয়েছে, তা নিয়ে চিন্তা ছেড়ে দিন। আমার কাছে বিরোধীদের প্রতিটি বক্তব্যই মূল্যবান।’ এদিন হিন্দিতে শপথ নেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত ৩০ মে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ লোকসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। শপথবাক্য পাঠ করালেন প্রোটেম স্পিকার বীরেন্দ্র কুমার। অনুষ্ঠানের প্রথমে শপথের জন্য মোদির নাম ঘোষণা হতেই লোকসভা জুড়ে বয়ে গেল টেবিল চাপড়ে অভিনন্দনের শব্দ। সঙ্গে ‘মোদি’ ‘মোদি’ রব। লোকসভার ভিতরেও বজায় রইল নির্বাচনী ময়দানের হর্ষধ্বনি।
কেবল মোদিই নন। সরকারের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও যখন আমেথির এমপি হিসেবে শপথ নিচ্ছেন তখন করতালির ঝড় উঠল। বাহবার কারণ, রাহুলকে হারানো। যদিও সেসময় সভায় রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন না। পরে কেরলের এমপিদের শপথ নেওয়ার সময় তিনি সভায় আসেন। ওয়ানাড়ের এমপি হিসেবে ইংরেজিতে শপথ নেন। কোনও দেবতার নামে নয়, সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথ নিচ্ছি বলে উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে-পরে সোনিয়া গান্ধী সহ কংগ্রেসিরা টেবল চাপড়ে অভিনন্দন জানান।
তবে কংগ্রেস আজ যা আশা করেছিল সেই সুযোগ দেয়নি মোদি সরকার। তাদের আশা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর সৌজন্যের খাতিরে কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীকে শপথের জন্য ডাকা হবে। কিন্তু তা হল না। মোদির পর ডাকা হল কংগ্রেসের সবচেয়ে বেশি বার (সাতবার) জিতে আসা এমপি কেরলের কোডিকুন্নিল সুরেশকে। এমনিতে ইংরেজিভাষী হলেও জাতীয় রাজনীতিতে নিজের পারফরমেন্স প্রতিষ্ঠায় চেষ্টায় হিন্দিতে শপথ নিলেন তিনি।
কংগ্রেস সংসদীয় দল সূত্রে খবর, লোকসভায় তাঁকেই দলের নেতা ঘোষণা করতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। উপদলনেতা হতে পারেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে এই দুই এমপিকেই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছিলেন সোনিয়া। যদিও দলের একাংশ চাইছেন, সুরেশ নয়। রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় দলের নেতা করা হোক। কিন্তু আমেথির আঘাতের পর কংগ্রেস সভাপতি লোকসভায় কোনও পদ না নিয়ে ওয়ানাড়ের একজন সাধারণ এমপি হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন।