উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বছর ঘুরে ফের হাজির স্নানযাত্রা। দু’সপ্তাহ পর রথযাত্রা। উৎসব শুরু উৎকলে। কিন্তু এই বছর ফণীর ধাক্কায় কিছুটা বেসামাল ওড়িশা। সোমবার তীব্র দাবদাহের মধ্যে শ্রীজগন্নাথদেবের ‘স্নানযাত্রা’য় ভক্তদের ভিড় বিন্দুমাত্র কম ছিল না। মূল মন্দিরসহ শহরের সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল। মন্দিরের ‘স্নান মণ্ডপে’ শ্রীজগন্নাথ, শ্রীবলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রাকে ১০৮ ঘড়া পবিত্র জল দিয়ে স্নান করান পুরোহিতরা। এই জল মন্দিরের বিশেষ ‘স্বর্ণ কুয়ো’ থেকেই সংগ্রহ করা হয়। বছরের এই একটা দিনেই ওই কুয়োগুলি থেকে জল তোলা হয়। জলের সঙ্গে থাকে হলুদ, চন্দন, ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধী। এর আগে পুরীর গজপতি দিব্য সিংহ দেব প্রথামতো ছেরা পাহানরা করে ‘স্নানযাত্রা’র সূচনা করেন। স্নানের পর বিগ্রহকে ‘গজানন বেশ’ পরানো হয়। প্রচলিত ধারণা, এই দিন গণেশ ভক্তদের হাতিরূপে দর্শন দেন জগন্নাথদেব। জগন্নাথ এবং বলভদ্রকে হাতি বেশ পরানো হলেও সুভদ্রা দেবী পরেন পদ্মফুলের বেশ।
ভক্তদের বিশ্বাস, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেবের ‘জ্বর’ হয়। তখন ‘অনসারা কক্ষে’ একপক্ষ কাল বিশ্রাম করার পর নতুন রূপে সুসজ্জিত হয়ে গুণ্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়ি যাত্রা করেন জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা। এই একপক্ষ কাল ভগবানের দর্শন পান না ভক্তরা। একেবারে রথযাত্রার দিন রাজবেশে ভক্তদের মাঝে আসেন তিনি। স্কন্ধপুরাণ অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রদুম্ন পুরীর মন্দিরে দারুব্রহ্ম প্রতিষ্ঠা করার পর স্নানযাত্রার সূচনা করেন। যাকে স্থানীয়রা ‘দেবস্নান পূর্ণিমা’ বলেন। বছরের এই দিন থেকে নীলাচলে ভক্ত সমাগম শুরু হয়। চলে উল্টোরথ পর্যন্ত।