শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কমিশনারেটের এক শীর্ষ কর্তা জানান, শিশুদের উপর অপরাধের ঘটনা সবসময়ই উদ্বেগজনক। তার উপর গত দু’বছরে বিধাননগর এলাকায় শিশুদের উপর অপরাধের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, কোনওভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে এ’ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে থানা ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। যে কোনও কারণে হোক তা হয়ত সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি অথবা তাতে কোনও ভুলভ্রান্তি থেকে গিয়েছিল। এই অবস্থাতে বিষয়টি নিয়ে ফের পর্যালোচনা করতে হবে।
কমিশনারেটের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের উপর নির্যাতনে সর্বাধিক এগিয়ে রয়েছে নিউটাউন থানা। ২০১৭ সালে নিউটাউন থানায় ২২টি শিশু অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই থানাতেই ২৩টি শিশু অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছে। একইভাবে ২০১৭ সালে নিউটাউন থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছিল পকসো ধারাতে। ২০১৮ সালে সেখানে পকসো ধারাতে ১১টি দায়ের হয়েছে।
নিউটাউন থানা থেকে বিশেষ পিছিয়ে নেই বাগুইআটি থানাও। ২০১৭ সালে এই থানাতে শিশু অপহরণের ৩৫টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১৮ সালে তা কিছুটা কমে ১৮টি মামলা হয়েছে। আবার বাগুইআটি থানাতে ২০১৭ সালে পকসো ধারাতে ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১৮’তে আটটি মামলা দায়ের হয়। এয়ারপোর্ট এবং রাজারহাট থানার পরিসংখ্যানও খুব একটা ভালো নয়। এয়ারপোর্ট থানায় ২০১৮ সালে ১১টি শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। রাজারহাটে ১০টি। আবার পকসো ধারায় ২০১৮ সালে এয়ারপোর্ট থানায় আটটি এবং রাজারহাট থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। কমিশনারেটের ওই পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে, সল্টলেকের চারটি থানা এলাকাতেও এই অপরাধের চিত্র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সল্টলেক এলাকার চারটি থানা এলাকায় ২০১৭ সালে শিশু অপহরণের ২২টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানে ২০১৮ সালে ৩০টি মামলা দায়ের হয়। একইভাবে পকসো মামলাতে ২০১৭ সালে সল্টলেকের চারটি থানায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১৮ সালে আটটি মামলা দায়ের হয়েছে। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই দেখা গিয়েছে তার পরিচিত বা প্রতিবেশীরাই জড়িত। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাগুলি পরিবারকে সতর্ক হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি আগাম সতর্কতার জন্য পাড়ায় পাড়ায় কমিউনিটি পুলিসিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বাসিন্দাদের নিজেদের শিশুদের প্রতি আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এই কমিউনিটি পুলিসিং ব্যবস্থাকে কিছু গাফিলতির কারণেই শিশুদের উপর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বলে কমিশনারেটের একাংশ মনে করছে। সেবিষয়েও থানাগুলিকে আরও সতর্ক হয়ে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশনারেটের এক কর্তা জানান।