শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
তবে কেন এই দুটি হাতিকে ঘিরে বনদপ্তরের কর্তাদের উদ্বেগ বাড়ছে? বনদপ্তরের এক বিশেষজ্ঞের কথায়, হাতি দুটির বয়স আট-নয় বছর। এরকম হাতিকে বনদপ্তরের ভাষায় ‘সাব-অ্যাডাল্ট’ হাতি বলা হয়। এটা এই বয়সের হাতিদের স্বাভাবিক চরিত্র। কিন্তু, সেরকম হাতিগুলি কোনও দলের সঙ্গে থাকলে, তাকে নিয়ে সেভাবে উদ্বেগ থাকে না। তবে, হাওড়ায় উদ্ধার হওয়া দুটি হাতিই হয় দলছুট নতুবা তাদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় তারা নিজেদের দল বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন দল বানানোর জন্য তারা অন্য হাতিদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করবে অথবা অন্য কোনও দলে ভিড়ে গিয়ে সেখানকার কমজোরি প্রধান হাতিদের সরিয়ে দিয়ে নিজেরাই ‘ডমিনেন্ট মেল’ হওয়ার চেষ্টা করবে। এর ফলে অন্য হাতিদের সঙ্গে তাদের লড়াই হওয়ার যেরকম সম্ভাবনা রয়েছে, সেরকমই ঘুরতে ঘুরতে তাদের বিভিন্ন গ্রাম বা লোকালয়ে ঢুকে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় মানুষ এবং হাতির সংঘাত ক্রমশ প্রবল হচ্ছে।
বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাতিটিকে হাওড়া থেকে উদ্ধারের পর সেটিকে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কংসাবতী (দক্ষিণ) ডিভিশনের বুড়িবোড়া এবং মা কপানি জঙ্গলের মাঝে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে সেটি সীমান্ত পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের চণ্ডকার জঙ্গলে পৌঁছে যায়। সেখান থেকে আবার সেটি ঘুরতে ঘুরতে দু’দিন পর পুরুলিয়ার অন্য একটি জঙ্গলে গিয়ে হাজির হয়। চিরুঘোড়ার জঙ্গল, জারাডুঙড়ির জঙ্গল এমনকী মানবাজার শহরের খুব কাছ দিয়ে ঘুরে গিয়ে সেটি এখন আবার ঝাড়খণ্ডের ধবনির পটমদার জঙ্গলে গিয়ে ডেরা বানিয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রের দাবি।
তবে অন্য একটি সূত্র দাবি করছে, ঝাড়খণ্ডে হাতি দুটি চলে যাওয়ার একদিন পরেই পুরুলিয়ার জঙ্গলে একটি একইরকমের দাঁতালকে লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও বনদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, এই হাতিটি অন্য। হাওড়া থেকে উদ্ধার হওয়া হাতি দুটি এখন ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলেই রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সেখানকার বনদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। তবে আশঙ্কা সেটি ঝাড়খণ্ড থেকে তাড়া খেয়ে আবার পুরুলিয়ার দিকে ঢুকবে। পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঢুকলে সেটি অনায়াসেই বাঁকুড়া (রানিবাঁধের জঙ্গল), ঝাড়গ্রাম হয়ে মেদিনীপুর পর্যন্তও চলে যেতে পারে। আবার বাঁকুড়া থেকে গোঘাট-আরামবাগ হয়ে ফের হাওড়াতেও চলে আসতে পারে। তাই প্রত্যেকটি ডিভিশনের কর্তাদের এখন কড়া নজর এই দুটি হাতির উপর।