শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিচারিকার নাম পিউ দাস। তার বাড়িও এই গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায়। সে অনেকদিন ধরেই দিল্লির অশোকবিহার এলাকার একটি অভিজাত বাড়িতে কাজ করত। হঠাৎ ওই বাড়িতেই ডাকাতির করার ইচ্ছে জাগে তার। সে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল মিঠুকে। মিঠু তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিল, সে লোকজন নিয়ে যাবে। তারপর পিউ দিল্লিতে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা সাজাতে থাকে। অন্যদিকে, মিঠু ডাকাতি করার জন্য লোকজন জোগাড় শুরু করে। একটি সূত্র মারফত সে বাংলাদেশের তিনজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের এপারে নিয়ে সে চাঁদপাড়ায় নিজের বাড়িতেই রেখেছিল। তারপর তিনজনকে নিয়ে দিল্লিতে রওনা দেয়। পরিকল্পনা মতো দিন কয়েক আগে দিল্লির ওই বাড়িতে গিয়ে তারা পাঁচজনে মিলে ডাকাতি করে।
ওই ঘটনায় দিল্লির অশোকবিহার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে দিল্লি পুলিস বাড়ির পরিচারিকা পিউ দাসকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই দিল্লি পুলিস জানতে পারে, মিঠু সাহার নাম। পিউ-এর কাছ থেকে পুলিস মিঠুর সাহার বিস্তারিত বিবরণ নেয়। তারপর গাইঘাটা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে এদিন তাকে দিল্লি পুলিস গ্রেপ্তার করে। এদিনই তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে দিল্লি পুলিস এদিনই দিল্লির উদ্দেশে রওনাও দেয়।
পুলিস জানিয়েছে, মিঠুকে জেরা করলেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সম্পর্কেও খোঁজ মিলবে। কারণ, সে তাদের জোগাড় করেছিল। ঘটনার পর মিঠুর সঙ্গে তারাও দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছিল। তাই এখন তারা কোথায় রয়েছে, কীভাবে দিল্লি গিয়েছিল, আরও কেউ এই ঘটনায় যুক্ত কি না, এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।