নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু প্রকল্পের কাজের জন্য টেন্ডার করতে গিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, কোনও ঠিকাদার সংস্থাই তাতে অংশ নিচ্ছে না। ফলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তিন-চারবার টেন্ডার ডাকতে হচ্ছে। প্রকল্পের কাজও পিছিয়ে যাচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে। এই সমস্যা মেটাতে এবার উদ্যোগী হল পুর-কর্তৃপক্ষ। সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন টেন্ডারের নথি খতিয়ে দেখেছি, অনেক ক্ষেত্রে ২০০৯-১০ সালে কোনও পণ্যের যে দাম ছিল, সেই অনুযায়ী দামের সিডিউল ধার্য করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। যে কোনও পণ্য বা পরিষেবার খরচ ২০০৯ সালে যা ছিল, তা থেকে এখন বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই দেখা যাচ্ছে, যে সম্ভাব্য খরচের হিসেব দিচ্ছেন ঠিকাদাররা, তা ওই সিডিউলের দামের থেকে ২২ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। এতটা বেড়ে যাওয়া অর্থবিভাগ অনুমোদন করে না। ফলে বারবার টেন্ডার ডাকতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। তাই একটি নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, চলতি অর্থ বছরের বাজার দাম অনুসারেই সিডিউলের দাম ঠিক করতে হবে। কোনও আধিকারিকের গাফিলতির জন্য যদি এই দাম নির্ধারণ ও কাজকর্মে ত্রুটি ধরা পড়ে, তাহলে সেই আধিকারিককে শো-কজ করা হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, কিছু পণ্যের দামের জন্য রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তরের সিডিউলে যে দর ঠিক করা রয়েছে, বাজারে তার চেয়ে অনেক কম দামে পুরসভা কিনতে পারে সেসব পণ্য। এরকম ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তরের সিডিউলের দাম নয়, বাজারের দামেই কিনতে হবে পণ্য। এ বিষয়টি দেখভালের জন্য ডিজি (সিভিল), ডিজি (সড়ক) সহ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়র জানান, আমরা রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তরের সিডিউলে ঠিক করে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি খরচ করে কিছু কিনব না। কিন্তু বাজারে তার চেয়ে কমে কোনও পণ্য পাওয়া গেলে সেটাই কিনব।
এদিকে, শহরের ফুটপাতের হকারদের প্লাস্টিক বা ত্রিপলের ছাউনি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে ফের জানিয়েছেন তিনি। মেয়র বলেন, কলকাতার নতুন পুলিস কমিশনারকে বলেছি, ত্রিপল, প্লাস্টিকের ছাউনি সরাতে যেন কড়া পদক্ষেপ করেন। তা না হলে গড়িয়াহাটের মতো ঘটনা এড়ানো যাবে না।