নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘কনফার্মড’ ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে এবার যাত্রীদের দ্বিগুণ ‘ক্যালসেলেশন ফি’ গুনতে হবে। ডিসেম্বর থেকেই দেশজুড়ে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ রেলযাত্রীদের উপর ঘুরপথে খরচের বোঝা বাড়াল বলেই মনে করছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, টিকিট বাতিল করতে গেলে এতদিন শুধু ‘ক্যালসেলেশন ফি’ কাটা হতো। এখন থেকে এই ফি’র সঙ্গে যুক্ত হবে পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি। বর্ধিত ফি’র সঙ্গে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। অর্থাৎ, ট্রেনের টিকিট কাটার আগে যাত্রীদের বাড়তি সতর্ক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। অন্যথায় মোটা টাকা গচ্চা দিতে হবে।
এর পাশাপাশি টিকিট বাতিলের সময়সীমায় এমন কৌশলে পরিবর্তন আনা হয়েছে যে সমস্যা আরও বাড়বে। এতদিন যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা বা তারও আগে টিকিট বাতিল করলে নির্দিষ্ট হারে ‘ক্যানসেলেশন ফি’ কেটে নেওয়া হতো। নয়া ব্যবস্থায় সময়ের এই পরিধি ৪৮ ধণ্টার মধ্যেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, টিকিট বাতিল করতে হলে তা ট্রেন ছাড়ার দু’দিনের মধ্যেই করতে হবে। যেমন, আগে ট্রেন যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা বা তার আগে এসি ফার্স্ট ক্লাস বা এগজিকিউটিভ ক্লাসের টিকিট বাতিল করলে ১২০ টাকা কাটা হতো। এখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করলে যাত্রীদের অ্যাকাউন্ট থেকে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৪০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। তার সঙ্গে জিএসটি খাতে যুক্ত হবে অতিরিক্ত ১২ টাকা। আগে যাত্রা শুরুর ৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করলে টিকিট মূল্যের ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো। বর্তমানে ট্রেন ছাড়ার ৪৮ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করলেই এই হারে ক্যানসেলেশন ফি গুনতে হবে। একইভাবে, আগে যাত্রা শুরুর ২ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করলে প্রদেয় মূল্যের অর্ধেক কেটে নিত রেল। বর্তমানে ৬ ঘণ্টার জায়গায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করলে ওই হারে ক্যানসেলেশন ফি ও জিএসটি যুক্ত করে টাকা কেটে নেওয়া হবে।