দক্ষিণবঙ্গ

ঝাড়গ্রামের দুই হাজারের বেশি আলু চাষিকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: রবি মরশুমে আলু চাষে শস্য বিমা বাবদ সাড়ে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন ঝাড়গ্রামের চাষিরা। এর ফলে উপকৃত হলেন জেলার ২ হাজার ১৭৮ জন চাষি। তাতে আগামী মরশুমে আলু চাষের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মত চাষিদের। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চাষিদের কথায়, মূলত আবহাওয়ার জন্য আলু চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। আলুতে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণে ফলন কমে যায়। তবে অবশেষে ক্ষতিপূরণ মেলায় জেলায় বিনপুর ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চয়েত এলাকার চাষিরা উপকৃত হয়েছেন। 
বিনপুর-১ ব্লকের লালগড় এলাকার চাষি স্বপন মণ্ডল বলেন, গত মরশুমে আচমকা বৃষ্টির জন্য আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ক্ষতিপূরণের টাকা মেলায় খুব উপকার হবে। আগামী মরশুমে ফের চাষ করব। জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করায় অনেক উপকার হল। 
প্রসঙ্গত, কৃষি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ধান চাষের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছে জেলার কৃষিদপ্তর। ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি ব্লকে ধান ছাড়াও আলু ও অন্যান্য  চাষের প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন চাষিরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কৃষিতে স্বনির্ভর হওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি শস্য বিমা প্রকল্প কৃষিতে নতুন পথ দেখাচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকটাই ভরসা পাচ্ছেন চাষিরা। ক্ষতি হলেও তাঁদের মনোবল বাড়ছে। 
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয় বিনপুর-১ ব্লকে। এই ব্লকে ধান চাষের পাশাপাশি আলু চাষে আগ্রহ দেখান চাষিরা। কারণ আলুর চাহিদা সারা বছরই থাকে। গত মরশুমে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি। কিন্তু আলুর উৎপাদন হয় ৩০ হাজার মেট্রিক টন। ফলন কম হওয়ায় মাথায় হাত ওঠে চাষিদের। এরপর প্রশাসনের তরফে পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন আধিকারিকরা। 
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কৃষি দপ্তর গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রথমবার চাষের সময় বৃষ্টির জন্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে ফের আলু চাষ করেন চাষিরা। চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে অনেকটাই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক অজয় শর্মা বলেন, চাষিরা বিমার টাকা পেলে উপকৃত হবেন। চাষিদের পাশে সর্বদা জেলা প্রশাসন থাকবে। আশা করছি আগামী বছর আলুর চাষের পরিমাণ আরও বাড়বে।
 
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা