উত্তরবঙ্গ

৬২টি সরকারি স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ

সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর ও মানিকচক: মালদহের রতুয়া-১ এবং মানিকচক ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ফুলহর ও গঙ্গার ভাঙনের কবলে।  এলাকার দুর্গতরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। অনেকে বাঁধে, সরকারি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। তবে, ভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে ওই দুই ব্লকের প্রায় ৫৬টি সরকারি স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। যার মধ্যে কিছু স্কুলে ত্রাণ শিবির রয়েছে এবং কয়েকটিতে বন্যার জল ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির জেরে বাতিল হয়েছে অনেক স্কুলের দ্বিতীয় পর্বের মুল্যায়ন। তবে ব্লক প্রশাসন এই সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের বরাদ্দ মিড-ডে মিল অভিভাবকদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।  
রতুয়া -১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুর ম্যানেজড প্রাইমারি স্কুল, রুস্তাম রাইসান জুনিয়র হাই মাদ্রাসা, খাসমহল জুনিয়র হাইস্কুল, সম্বলপুর ম্যানেজড প্রাইমারি, নয়া বিলাইমারি প্রাইমারি, রুহিমারি প্রাইমারি, উদয়পুর হাইস্কুল সহ ১২টিতে পঠনপাঠন বন্ধ। এপ্রসঙ্গে রতুয়া-১ এর বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, বিলাইমারি ও মহানন্দটোলা অঞ্চলের ১২ টি স্কুল বন্ধ রয়েছে নদী ভাঙনের কারণে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দিকে গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের বরাদ্দ মিড-ডে মিল অভিভাবকদের দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পঠনপাঠন চালু হবে। 
পাশের মানিকচক ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ভূতনি ও গোপালপুরের প্রায় ৫০টি প্রাথমিক ও চারটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ। ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
মানিকচকে গত ১১ দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। ভূতনির কেশরপুর এবং গোপালপুরের হুকুমতটোলার বাঁধ ভেঙে জল প্রবেশ করেছে গ্রামে। বন্যার জলে জলমগ্ন এলাকার একাধিক গ্রাম। গোপালপুর পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রামের বন্যা দুর্গতরা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে। এই পঞ্চায়েতের মোট ১৩টি প্রাথমিক এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি জলমগ্ন এবং অন্যান্য স্কুলগুলিতে করা হয়েছে ত্রাণ শিবির। ঠিক একই অবস্থা ভূতনিতেও। সেখানে প্রায় ৩৭টি বিদ্যালয় জলমগ্ন। যার মধ্যে উত্তর চণ্ডীপুরে ১৭টি, দক্ষিণ চণ্ডীপুরে ৮টি এবং হীরানন্দপুর পঞ্চায়েতে ১২টি স্কুল জলমগ্ন। তবে এই সমস্ত বিদ্যালয়ের বেশকিছু ভবন দ্বিতল হওয়ার ফলে সেগুলিতে করা হয়েছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। এই বন্যা পরিস্থিতির জেরেই পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে মানিকচকের বিদ্যালয়গুলিতে। উত্তর চণ্ডীপুর ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক হাসনারা খাতুন, সেলিম আক্তাররা বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা বন্ধ হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে স্কুলে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বাতিল করা হয়। কবে পরীক্ষা হবে তা নিয়ে পড়ুয়ারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
মানিকচক-১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মহম্মদ পারভেজের কথায়, স্কুলগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ায়  পঠনপাঠন বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিদিন মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করছেন। অন্য স্কুলগুলিকে পড়ুয়াদের সাতদিনের বরাদ্দ মিড ডে মিল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা