কলকাতা

চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায় গুহঠাকুরতা বাড়ির ছাদে রোজই ভোজসভা, হাজির টিয়া-ময়না-বুলবুলি

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত লিখেছিলেন, ‘বুধুয়ার ডাকে…/ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসে/ কেউ তার দিদি, কেউ মাসি।’ চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার গুহঠাকুরতা দম্পতির কাছে পাখিরা কেউ দিদি বা মাসি নয়। কিন্তু আত্মীয়তা আছে। আছে প্রাণের যোগ আর খাবারের টান। তাই বিকেল হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসে, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, প্রতিদিন। বাড়ির ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কিচিরমিচির ডাক। বহুদূর থেকে শোনা যায় সেই ঐকতান। দেখা যায় রংবেরঙের পাখির ওড়াউড়ি। গুহঠাকুরতা দম্পতি বাড়ির ছাদে ছড়িয়ে দেন পাখিদের খাবার, আপেল থেকে খুদের দানা। পুষ্টি আর স্বাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে ভালোবাসা। গত দশবছর ধরে কাপাসডাঙা দেখছে ওই দৃশ্য। বুঁদ হয়ে দেখেন গুহঠাকুরতা দম্পতিও। তাঁদের ছাদে নির্ভয়ে এসে বসে টিয়া, ময়না, বুলবুলি। কাক, চড়ুইও আসে। কখনও কখনও খাবার নিয়ে তাদের মধ্যে গোল বাধে। তখন অভিভাবকের ভূমিকায় নেমে পড়েন প্রবীণ এই দম্পত্তি। বকাঝকা করেন। পাখিরা সেসব মেনে নেয়। তৃপ্তির হাসি খেলে পুতুল গুহঠাকুরতার মুখে। তারপর আবার এগিয়ে দেন জলের বাটি। খাবার সঙ্গে জলও খায় পাখিরা। অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী দেবাশিস গুহঠাকুরতা। অবসরভাতার টাকা থেকে প্রতিদিন আয়োজন করেন পাখি-ভোজের। তাঁকে সঙ্গ দেন স্ত্রী পুতুল। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘প্রথম প্রথম কবুতর, চড়াইরা আসত। তাদেরই খাবার দিতাম। তারপর কবে যেন পাখিদের মেলা বসতে শুরু করল। খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে শুরু করলাম। তারপর এখন নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। একটা আত্মীয়তাও তৈরি হয়েছে। পাখিগুলিকে আলাদা করে আমরা দু’জনেই চিনতে পারি।’ পুতুল গুহঠাকুরতা বলেন, ‘পাখিদের খাবারের আয়োজনে থাকে খুদ, ছোলা, মটরের মতো দানাশস্য। সঙ্গে থাকে আপেল, পেয়ারা ফল। বুলবুলি পাখি আপেল খেতে খুব ভালোবাসে। আর অনেকগুলি জলের পাত্রও ছাদ জুড়ে রাখা থাকে। যাতে পাখিদের তৃষ্ণাও মেটে।’ হুগলির পশুপ্রেমী সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা গৌতম সরকার বলেন, ‘পাখি জীববৈচিত্রের সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার একটি বড় উপাদান। দু’জন বিশিষ্ট নাগরিক পাখিদের স্বার্থহীন ভালোবাসা দিচ্ছেন। তাঁরা রক্ষা করছেন পরিবেশ। এমন মানুষদের সংখ্যা নাগরিক মহল্লায় যত বাড়বে ততই প্রকৃতির মঙ্গল।’
তবে পাখিদের এই কিচিরমিচিরে অসন্তুষ্ট এই দম্পতির গুটিকয় প্রতিবেশী। পাখিদের বিষ্ঠা এলোমেলো ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণে গুহঠাকুরতা দম্পতিকে কথা শুনতে হয়। তবে তা বলে খাবার দেওয়া বন্ধ হয় না। তাঁদের মাসের বাজারের সঙ্গে অতিরিক্ত আসে ২০ কেজি খুদ, ছোলা, মটর আর আপেল, পেয়ারা। কবি লিখেছিলেন, ‘রুপোলি ডানায় তারা(পাখিরা) নিয়ে যায় বুধুয়ার হাসি’। আর পাখিরা কাপাসডাঙা থেকে প্রতিদিন ঘরে নিয়ে যায় গুহঠাকুরতা দম্পতির হাসি।  নিজস্ব চিত্র
3Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা