কলকাতা

লাভ ম্যারেজের ৪০ শতাংশের পরিণতি ডিভোর্স! সম্বন্ধ করে বিয়েতে হার ২৮

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: কৈশোর, তারুণ্য কেটে যেত ভালোবাসার বর্ণময় গল্প শুনে-পড়ে। চোখের সামনে ভালোবাসার ঘটনা দেখাও যেত। সেসব প্রায় অতীত। এখন ভালোবাসার পরিণতি নাকি ক্ষণস্থায়ী। একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, আজকালকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। লাভ ম্যারেজের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পরিণতি গড়াচ্ছে ডিভোর্স পর্যন্ত। উল্টে দেখাশোনা করে বিয়ে বা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে ডিভোর্সের হার কম, তা মাত্র ২৮ শতাংশ।  
সম্প্রতি কলকাতা, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, এই শহরগুলির প্রায় সাড়ে চারশো বিবাহিত অল্পবয়সি দম্পতিকে নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। ২২ থেকে ৩২ বছর বয়সি কর্মরত যুবক-যুবতীদের সঙ্গে কথা হয় সমীক্ষকদের। অংশগ্রহণকারী পুরুষ-মহিলারা কর্পোরেট নয়ত সরকারি বা অন্যান্য বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পরিসংখ্যানবিদ সুদীপ ঘোষ ও তাঁর টিম সমীক্ষাটি করেছে। দম্পতিদের সম্পর্কের রসায়ন বুঝতে সাতটি সূচক ঠিক করেছিলেন সমীক্ষকরা। সেগুলি হল, ১, ডিভোর্সের হার। ২, দাম্পত্য সন্তোষ। ৩, ঝগড়াঝাঁটি মেটানোর হার। ৪, পরিবারের অংশগ্রহণ এবং হস্তক্ষেপ। ৫, অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা। ৬, সামাজিক চাপ। ৭, কতটা চাহিদা মিটল। 
ভালোবাসার বিয়েতে দাম্পত্য সন্তোষ আছে-জানিয়েছে অর্ধেক দম্পতি। কিন্তু এ ব্যাপারে দেখাশোনার বিয়ে আরও একটু এগিয়ে। ৬০ শতাংশ জানিয়েছে, যথেষ্ট দাম্পত্য সন্তোষ আছে। ভাব ভালবাসার বিয়েতে ঝগড়ঝাঁটি প্রচুর হয়। কিন্তু সমস্যা মেটানোর হারে কারা এগিয়ে? এ ব্যাপারেও এগিয়ে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ। প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঝগড়া মিটে যায় তাদের। ভালোবাসার বিয়েতে সেই হার ৪০ শতাংশ। দেখাশোনার বিয়েতে পারিবারিক অংশগ্রহণ থাকে। দেখা যাচ্ছে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক অংশগ্রহণ থাকে। প্রেমের বিয়েতে যা থাকে মাত্র ২০ শতাংশ। আর্থিক স্থিতাবস্থার ক্ষেত্রেও ১০ শতাংশ এগিয়ে দেখাশোনার বিয়ে। এই বিয়েতে সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক চাপ থাকে বেশি, তা প্রায় ৬০ শতাংশ। সেখানে ভালবাসার বিয়েতে সেই চাপ মাত্র ৩০ শতাংশ। আর সবমিলিয়ে বিয়ে করে চাহিদা কতটা পূরণ হল? ২০২৪ সালের মার্চ-মে-এই তিন মাস ধরে চলা সমীক্ষায় অর্ধেক অংশগ্রহণকারীই নির্দ্বিধায় বলেছেন, দেখাশোনার বিয়েতে তাঁদের চাহিদা পূরণ হয়েছে। প্রেমের বিয়েতে হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে।
কেন এমন হচ্ছে? তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী তমোজিৎ রায় বলেন, সমীক্ষায় যা বলা হয়েছে, তা একদম খাঁটি বাস্তব। চোখের সামনে প্রচুর ভাব ভালবাসার বিয়ে ভাঙতে দেখছি। দেখা যাচ্ছে নাম কা ওয়াস্তে সংসার চলছে। যে যাঁর মতো সময় কাটাচ্ছেন। একটি দম্পতিকে জানি, স্বামী কী করছেন স্ত্রী খবর রাখেন না। স্ত্রী কী করছেন সে খবর রাখেন না স্বামী। এছাড়াও ডিভোর্সের অন্যতম কারণ দেখছি অযাচিত পারিবারিক হস্তক্ষেপ। বা আবেগ থাকাকালীন যা ভাবা হয়েছিল, বিয়ের পর যখনই তা মিলছে না, তিক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। আর ধৈর্য কম। হয় ডিভোর্স নয়তো পরকীয়া সম্পর্কে চলে যাচ্ছে সম্পর্কগুলো। বিশিষ্ট মনোবিদ ডক্টর অমিত চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজ্ঞানের দিক দিয়ে দেখলে ভালবাসার সম্পর্কের বিয়েই শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এখন সিংহভাগ ভালোবাসার সম্পর্কে পিছুটান কম। পারিবারিক অংশগ্রহণ কম। কোনও দম্পতির ঝগড়া হলে, সুপরামর্শ দেওয়ার মানুষের অভাব। পাশাপাশি দেখাশোনার বিয়েতে বাবা, মা এবং পরিবারের অংশগ্রহণ থাকে বলে ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও বিয়ে টিকিয়ে রাখার ব্যগ্রতা বেশি থাকে।
2Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা