খেলা

ফুটবলারদের উজ্জীবিত করতে আসরে ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা, চনমনে মোহন বাগান, 

ব্যারেটোদের ভোলা অসম্ভব

চিডি এডে: খড়ের উপর মাটি লেপে বানানো কাঠামো। তাতে কাগজে সাঁটা এডে চিডির নাম। মোহন বাগান তাঁবুতে সমর্থকদের হাতে হাতে ঘুরছে সেই নকল চিডি। ড্রেসিং-রুমের জানলা দিয়ে দেখে সেদিন হাসি চাপতে পারিনি। ৫-৩ গোলে ডার্বি জয়ের পরদিন। আনন্দে আত্মহারা গোটা মোহন বাগান। বাজনার শব্দে কান পাতা দায়। ‘চিডি, চিডি’ স্লোগান শুনে ফুটবল দেবতাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম। কলকাতা ফুটবলের শহর। দীর্ঘদিন কলকাতার বড় ক্লাবে খেলার পর আমার উপলব্ধি— ডার্বি না খেললে ফুটবলার জীবন বৃথা। আহা, ফেলে আসা সেই সব দিন বড়ই মধুর। 
ডার্বিতে লক্ষ্যভেদ যে কোনও ফুটবলারের স্বপ্ন। আমার ক্ষেত্রে উপরওয়ালা বোধহয় হাত উপুড় করে দিয়েছেন। হ্যাটট্রিক সহ চার গোল আমার নামের পাশে। বিশ্ব ফুটবলেও চট করে এমনটা ঘটে না। নিঃসন্দেহে কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ। ২০০৯ সাল। মোহন বাগানের কোচ তখন করিম বেঞ্চারিফা। প্রতিটা মুহূর্ত যেন স্বপ্নের মতো ভেসে ওঠে। সেদিন প্রথমে গোল করে লিড নেয় ইস্ট বেঙ্গল। এরপর মোহন বাগানের পালা। সমতা ফেরানোর গোলে নেপথ্যে সুরকুমারের অসাধারণ ওভারল্যাপ। প্রচণ্ড পাওয়ারফুল ফুটবলার সুর। ওর মাইনাস গোলে ঠেলতে ভুল হয়নি। চার গোলের সেরা কোনটা? আলাদা করে বেছে নেওয়া অসম্ভব। তবে কঠিন অ্যাঙ্গল থেকে অবিশ্বাস্য ক্রস বাড়ায় ব্যারেটো। ও বলেই ওই সেন্টার রাখা সম্ভব। পাঁচ গোলের পর ডাগ-আউটের উচ্ছ্বাস ভোলার নয়। মনে আছে, হাতের পাঁচ আঙুল দেখিয়ে নাচতে শুরু করেছিলেন অফিসিয়ালরা। মাঠ থেকে ড্রেসিং-রুম। ভারতীয় ফুটবল থেকে আমি এখন অনেক দূরে। তবে ডার্বির ফলের দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে থাকি। আপনাদের ভাষায় শনিবার আরও একটা বড় ম্যাচ। শুনেছি এবারের মোহন বাগান খুবই শক্তিশালী। একাধিক ম্যাচ উইনারের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে বড় ফ্যাক্টর।

ডার্বি জিততে সাহস দরকার, মন্তব্য বাইচুংয়ের

ঘামে ভেজা সপসপে লাল-হলুদ জার্সি আরও উজ্জ্বল। সোসো, নাজিমুলদের ভালোবাসার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাইচুং ভুটিয়া। কে যেন গামলা ভর্তি বরফ জল ঢেলে দিলেন মাথায়। অর্ধেক যুবভারতীতে কাগজের মশাল দাউদাউ করে জ্বলছে। ফেন্সিং টপকে বাইচুংয়ের পায়ে সটান ডাইভ দিলেন রোগা পাতলা এক তরুণ। অমল দত্তের ‘ডায়মন্ড’মোহন বাগানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে পিকের ইস্ট বেঙ্গল। স্পর্ধার মশালে পালিশ করা হিরে গুঁড়ো গুঁড়ো। ২৮ বছর পরেও সেই ডার্বি ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা বিজ্ঞাপন। ‘মনে পড়ে দিনটা?’ মুঠোফোনের ওপারে হেসে ওঠেন বাইচুং। গলায় একরাশ নস্টালজিয়া। বাইচুংয়ের মন্তব্য, ‘পিকে স্যার ভার্সেস অমল স্যারের ডুয়েল। ওই ম্যাচ কখনও ভোলা যায়?’
অসংখ্য ডার্বির নায়কের শিরোপা তাঁর পকেটে। বাইচুং বললেন, ‘দর্শকের চাপ সামাল দেওয়া সত্যিই কঠিন। মানসিক প্রস্তুতি দরকার। ম্যাচের ক’দিন আগেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। ফোকাস, ফোকাস... এটাই ডার্বির মূলমন্ত্র।’ ম্যাচের সাতদিন আগে নিঃশেষিত টিকিট। ট্রেন, বাস, চায়ের পেয়ালায় তর্কের তুফান। চাপ কাটাতে সত্যিই নিজেকে খোলসে মুড়ে রেখেছিলেন বাইচুং। এমনকী খবরের কাগজের পাতার দিকেও চোখ তুলে তাকাননি। ম্যাচের দিন অন্য মুডে তিনি। সোসোর কর্নারে ছোঁ মেরে গোল, তারপর আরও দু’বার লক্ষ্যভেদ। হ্যাটট্রিকের পর প্রায় ছিবড়ে হওয়া ক্লান্ত শরীর লুটিয়ে পড়ে সবুজ ঘাসে। প্রাণ ভরে মাটির গন্ধ নেন বাইচুং। বললেন, ‘এই ম্যাচ কলজের ম্যাচ। তাবড় ফুটবলারের হাঁটু কেঁপে যায়। ডার্বি জিততে সাহস চাই।’ কোণঠাসা ইস্ট বেঙ্গল কী সেই তাগিদ দেখাতে পারবে? প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মন্তব্য, ‘টানা হেরে ডার্বিতে নামছে ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু এই ম্যাচ আলাদা। তাগিদ দরকার। আশা করি লড়াই দেখতে পাব। ভালো ফুটবল চাই।’
3h 3m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৬ টাকা১১১.৮৬ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা