খেলা

ক্রিকেট আমার কাছে অক্সিজেন: প্রণব রায়

সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: ১৯৮৯-৯০ রনজি ট্রফির মরশুম! পূর্বাঞ্চলের শীর্ষে থেকে নক-আউটে পৌঁছে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলা। গ্রুপ পর্বের কোনও ম্যাচে অবশ্য খেলেননি প্রণব রায়। তবে তিনি মুষড়ে পড়েননি। বরং অপেক্ষায় ছিলেন। কোয়ার্টার-ফাইনালে এল সুযোগ। তা সদ্ব্যবহারে ভুল হয়নি একেবারেই। ইডেনে দুরন্ত শতরানে মুম্বই বধে অবদান রাখেন প্রণব। বাকিটা তো ইতিহাস...। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে যথাক্রমে হায়দরাবাদ ও দিল্লিকে বশ মানিয়ে রনজি ট্রফি জেতে বঙ্গ-ব্রিগেড। 
কিংবদন্তি পঙ্কজ রায়ের ছেলে। প্রত্যাশার চাপ ছিলই। তবে প্রণব সারাজীবন মাথা উঁচুই রেখেছেন। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পর নির্বাচক, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি— নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখন তিনি বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ। এহেন প্রণবকে এবার জীবনকৃতি সম্মান দিচ্ছে সিএবি। যদিও ময়দানের কারও কারও মতে, এই পুরস্কার আগেই পাওয়া উচিত ছিল তাঁর। প্রণবের যদিও আপশোস নেই। একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্টের অর্থ সারা জীবনের স্বীকৃতি। আমি অভিভূত। ১২ বছর থেকে ক্রিকেট সঙ্গী। এখন বয়স ৬৮।  ক্রিকেট আমার কাছে অক্সিজেন। ক্রিকেটকে বিভিন্ন চোখে দেখেছি। বলতে পারেন, মাউন্ট এভারেস্টে উঠেছি এবং সেটাকে চারিদিক থেকে দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।’ কোন ভূমিকাটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন? মৃদু হেসে এল জবাব, ‘সব ভূমিকারই আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। তবে ক্রিকেট খেলার আনন্দটা অতুলনীয়।’
ক্রিকেটার হয়ে ওঠার নেপথ্যে কিংবদন্তি বাবার প্রভাব অপরিসীম। স্মৃতিমেদুর প্রণবের কথায়, ‘বাবা আমার কাছে মহাগুরু। ক্রিকেট ঘরানাতেই জন্মেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দু’টো টেস্ট, চার-পাঁচটা ফার্স্ট ক্লাস প্লেয়ারের মুখ দেখতাম। পঙ্কজ রায়, অম্বর রায়, নিমাই রায়, গোবিন্দ রায়— এক একজন দিকপাল। তবে বিখ্যাত বাবার ছেলে হওয়ার অ্যাডভান্টেজ, ডিসঅ্যাডভান্টেজ, দুটোই রয়েছে। আর সত্যিটা হল, আমি পঙ্কজ রায়ের মতো হতে পারিনি।’
কেরিয়ারের সবচেয়ে তৃপ্তির মুহূর্ত কোনটা? প্রণবের মন্তব্য, ‘অবশ্যই ১৯৮৯-৯০ রনজি জয়ের মুহূর্ত। দেশের প্রতিনিধিত্ব করাও যথেষ্ট গর্বের।’ কোনও আক্ষেপ? হেসে প্রণবের জবাব, ‘মানুষ খুব লোভী। তাই আক্ষেপ থাকবেই। তবে ভগবান যতটা রেখেছেন, ততটাই পেয়েছি আমি।’ আন্তর্জাতিক কেরিয়ার দীর্ঘায়িত না হওয়ার হতাশা নেই? সটান জবাব, ‘আমার কেরিয়ার কখনও মসৃণ ছিল না। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর কেড়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলাম। পিঠে ও পায়ে চোট পাওয়ায় ক্রমশ খেলা থেকে দূরে সরে গিয়েছি। ইংল্যান্ডে চিকিত্সা করিয়েও তেমন সুরাহা হয়নি।’ 
বাংলা আর কেন রনজি জেতেনি? প্রণবের উত্তর, ‘আশায় বাঁচে চাষা। কোথাও একটা মেন্টাল ব্লকেজ তৈরি হয়েছে। তবে সম্প্রতি দল ভালো পারফরম্যান্স করছে। দ্রুত এই খরা কাটার অপেক্ষায়।’
4d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৭ টাকা৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৫ টাকা১১২.২০ টাকা
ইউরো৯১.৫৭ টাকা৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা