গল্পের পাতা

শুভারম্ভ

এষা দে: আজ পারমিতার বই প্রকাশ। একটি গল্প সংকলন, তার প্রথম প্রকাশনা। টেনশনে রাতে  ঘুম হয়নি। প্রেস ক্লাব এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিয়েছে, নিমন্ত্রণ কার্ড  স্পিডপোস্টে  বিলি করিয়েছে। অন্তত জনা পঞ্চাশ তো সিওর আসবে। তার আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা নেহাত ফেলনা নয়। প্রকাশক নকুল নস্করকে আনতে গাড়ি ভাড়া করে পাঠাচ্ছে, তাতেও তার অবিরাম ঘ্যানঘ্যানানির বিরাম নেই। একমাত্র প্রচ্ছদ ছাড়া প্রকাশনার আর সব খরচ পারমিতার। তাও সে মাইন্ড করেনি। কিন্তু বিকেলে দোকান ছেড়ে কলেজ স্ট্রিট থেকে ময়দানে আসা ‘কী বিরাট আত্মত্যাগ’ এমন ভানটা যেন অসহ্য। এমনিতেই  নতুন লেখকের বই ছাপার ঝুঁকি এবং সে ঝুঁকি নেওয়ার  মহত্ত্বের বিজ্ঞাপন শুনে শুনে তার কান পচে গেছে। তবে সকল কাঁটা ধন্য করে ফুল ফুটল যখন বইটা উদ্বোধন করতে রাজি হলেন বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক সোমনাথ বসু। পারমিতা ওরফে পারুর জীবন সার্থক।          
সেই ছোটবেলা থেকে সে সোমনাথ বসুর লেখার ভক্ত। আজকাল অবশ্য তার শ্রেণির ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া  ছেলেমেয়েরা বাংলা গল্প, উপন্যাস ছোঁয় না। কিন্তু তার দু’পুরুষ সনাতন দেশিমনস্ক। অতএব সচ্ছল পরিবারের কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তাকে বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ানো হয়েছে। পারু যখন খাতায় গল্প লেখা শুরু করল, তাঁরা নব প্রজন্মের প্রতিভাকে উৎসাহ দিতে লেগে পড়লেন। অবশ্য একটা শর্তে, একমাত্র সন্তান পারুকে পুরুষানুক্রমিক  ব্যবসাটা দেখতে হবে। কেনই বা না, পুরুষরা কত ভাবে জীবিকা অর্জন করে তার সঙ্গে লেখালেখি করে। স্বয়ং রবি ঠাকুরকে জমিদারির ঝক্কি  পোহাতে হয়েছে। অতএব পারুর বিকম পাশ করে অফিসে যাওয়া  শুরু। সেই কাজের কৃপাতেই বই ছাপানো, রিলিজ ফাংশন করা সম্ভব হচ্ছে। তার আদর্শ লেখক সোমনাথ বসুরও  দৈনিক জনমতে  চাকরির পাশাপাশি নিজের সাহিত্যসেবা। পারুর ভারী প্রিয় ঔপন্যাসিক। তাঁর কথাসাহিত্যের উপজীব্য আজকের বাংলার মধ্যবিত্ত মানুষজনের বিপন্নতা। সংযত সংবেদনশীল  উপস্থাপনা তাকে  একেবারে মোহিত করে। তাঁর লেখার অনুপ্রেরণায় নিজেও বেশ কিছু গল্প লিখে ফেলেছে। দু’ চারটে  ছাপা হয়েছে ছোট বড় লিটল ম্যাগাজিনে। অর্থাৎ পারমিতা রায় এখন পুরোদস্তুর লেখ।                                জনমতের অফিস থেকে অনেক চেষ্টায় সোমনাথের ফোন নম্বর জোগাড় করে একদিন দুরুদুরু বুকে  ফোন করে বসে, ‘আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত। একটু  দেখা করতে চাই।’
প্রথমে উনি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন, ‘দেখুন লেখকের সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক ছাপার অক্ষরের মাধ্যমে। দেখা-সাক্ষাতের কী দরকার।  জানেন তো কাব্য পড়ে যেমন ভাব কবি তেমন নয় গো?’
পারু নাছোড়বান্দা, ‘আমি কী ভাবব না ভাবব সে দায় আমার। আপনি শুধু আমাকে একটু সময় দিন, আমি নিজেও সামান্য লেখালেখি করি কি না।’
শেষে এক রবিবার সকালে সময় দিলেন। বাড়িতে  গিয়ে পারুর ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল। শ্যামবর্ণ ছোটখাট মানুষ, আটপৌরে লাটখাওয়া পাজামা-পাঞ্জাবি পরনে। সে ঘরে ঢুকে প্রণাম করতে গেলে শশব্যস্ত হয়ে বাধা দেন, ‘থাক থাক, বস, আবার মিষ্টির প্যাকেট কেন।’
স্ত্রী অমিয়াকে ডাকলেন। তাঁরও একদম সাধারণ গেরস্থের মতো আচার আচরণ। পারমিতার বাবা, মা পরিবারে কে কে আছেন সে কী করে, ‘ও বাবা! ব্যবসা চালাও সঙ্গে লেখালেখি! তাহলে তো তুমি খুব করিতকর্মা মেয়ে’ ইত্যাদি। তারপর থেকে মাঝে মাঝে এক-একটা রোববার গেছে, লেখালেখি নিয়ে আড্ডা চলেছে। সোমনাথের পরামর্শেই তার সংকলন পরিকল্পনা। কিন্তু তাঁকে বই  উদ্বোধনে রাজি করাতে কালঘাম ছুটে গেছে। ‘দেখ, আমি একদম পাবলিক ফাংশনে যাই না। অনুষ্ঠানে অনেক সময় নষ্ট হয়। সময়ের আমার বড় অভাব। ফুলটাইম চাকরি করি। অবসরে লেখালেখি। শোনো, আমার আশীর্বাদ শুভকামনা সব রইল। কিন্তু তোমার অনুষ্ঠানে অন্য কাউকে নিমন্ত্রণ কর।’
পারু চুপচাপ শোনে। এদিকে নকুল নস্করের ইচ্ছে পারুর বই উদ্বোধন করুন সাপ্তাহিক ‘সুসময়’-এর  সহ-সম্পাদক কমল হাজরা। যিনি শুধু নকুলের একদা রকের বন্ধু নন, তার প্রকাশনার স্টার লেখক। তাঁর লেখা ভূতপ্রেতের  রহস্য কাহিনি নাকি বাজারে দারুণ কাটে। পারু শুধু বলে, ‘সোমনাথ বসু  রিলিজ করবেন, ঠিক হয়ে গেছে।’ নকুল বিলক্ষণ ক্ষুব্ধ।
এদিকে সোমনাথবাবু অনুষ্ঠানে যেতেই রাজি নন। মনটা পারুর একেবারে দমে গেছে। বাড়িতে তার বইয়ের  প্রকাশনা ঘিরে দারুণ উৎসাহ। সোমনাথের আপত্তির খবরে গোটা পরিবারে বিষণ্ণতার  ছায়া। তিন দিনের দিন ঠাম্মার ব্রেইনয়েভ, ‘ওরে এক কাজ কর, তোর ওই কাকিমা মানে সোমনাথের বউকে গিয়ে ধরে পড়।’
দি আইডিয়া! সোমনাথ অফিসে থাকার সময় অমিয়া দেবীকে ফোন করে পারু। ‘কাকিমা বাড়ি আছেন তো? আমি একটু আসছি।’ অসময়ে সোমনাথের বাড়িতে হাজির। সদ্য দিবানিদ্রা থেকে উঠে অমিয়া হাই তুলতে তুলতে বলেন, ‘কী ব্যাপার পারুরানি? হঠাৎ আমার  ওপরে এত দয়া? তুমি তো কাকাবাবুর ভক্ত হনুমান। এসো বস। দাঁড়াও একটু চা করি।’ দু’জনের চা খাওয়া চলতে চলতে পারু কথাটা পাড়ে। ‘কাকিমা জানেন তো আমার প্রথম গল্প সংকলন বেরচ্ছে? কাকাবাবুই আমার প্রেরণা। বইটা ওঁর হাতে লোকের সামনে প্রকাশ হোক আমার বড় শখ।’ যথাসম্ভব মুখটা করুণ করে বলে চলে, ‘উনি উৎসাহ না  দিলে আমি বই ছাপানোর কথা  স্বপ্নেও ভাবতে পারতাম না। আমার  সাতপুরুষে কেউ লেখালেখির মধ্যে যায়নি। আপনি যে করেই হোক কাকাবাবুকে রাজি করান। আমি তো ওঁকে ছাড়া স্টেজে উঠে লোকের সামনে দাঁড়াতেই পারব না।’ কাকুতিমিনতি।
অনুরোধ-উপরোধে অমিয়া দেবী গলে গিয়ে শেষ পর্যন্ত  সোমনাথকে ধরে পড়লেন, ‘এটা কিন্তু তোমার কর্তব্য, মেয়েটা  তোমার কথাতেই এগিয়েছে। ওর বইটা তোমাকে উদ্বোধন করতেই হবে’ ইত্যাদি। নিট ফল, কার্ড ছাপা হয়ে গেল, সুধীবৃন্দকে জানানো হচ্ছে পারমিতা রায়ের প্রথম গল্প সংকলন অমুক প্রকাশনার  ‘পাখি তবু গান গায়’ ৮ আগস্ট শনিবার বিকেল পাঁচটায় প্রেস ক্লাবে প্রকাশ করবেন বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক শ্রী সোমনাথ বসু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন গ্রন্থটির প্রকাশক নকুল নস্কর এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।      
আজ সেই ৮ আগস্ট শনিবার। মঞ্চে লোকের সামনে কী পোশাকে দাঁড়াবে? মা-ঠাম্মা দু’জনে এককাট্টা, বই প্রকাশের মতো অনুষ্ঠানে স্টেজে বাংলা ভাষার লেখিকার পরনে শাড়ি ছাড়া আর কিছুই মানায় না, না না। কিন্তু কোন শাড়ি! পারুর সব শাড়ি বিশ্রী রকমের দামি এবং ঝলমলে, একেবারে লেখালেখির সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয়। মায়ের একখানা গঙ্গা যমুনা গরদ ঠিক হল।
এদিকে নকুল নস্কর শেষ মুহূর্তে ঝোলাচ্ছে, সম্ভবত ইচ্ছে করেই। যেহেতু তার রকের বন্ধু, প্রকাশনার স্টার লেখক কমল হাজরাকে পারু পাত্তা দেয়নি। পিছনে লেগে লেগে গতকাল গোটা পাঁচেক বই আদায় করতে পেরেছে।  আরও দশখানা ফাংশনে নকুলের সঙ্গে আনার প্রতিশ্রুতি। গাড়ির মধ্যে সামনের সিটে  সকাল থেকে বইয়ের প্যাকেটটা ঢুকিয়ে রেখেছে পাছে শেষ মুহূর্তে ভুলে যায়। বাবার ইচ্ছে ছিল আজ সে যেন বাড়ির গাড়িতে যায়, পুরনো ড্রাইভার গোপাল চালাক। কিন্তু পারু স্বাধীন জেনানা, নিজে গাড়ি চালিয়ে সোমনাথবাবুকে তার অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবে।
সারা রাত না ঘুমিয়ে ভোরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। মায়ের ডাকে ধড়মড় করে উঠে বসে। ‘কী রে এত বেলা পর্যন্ত ঘুমোচ্ছিস। আজকে যে তোর বই প্রকাশ। ঠাম্মা  ডাকছেন। যা মুখ ধুয়ে, স্নান সেরে ঠাকুরঘরে যা, উনি অপেক্ষা করছেন।’ পারু ঠাকুরঘরে ঢুকল। ঠাম্মা পুজোর আসনে। ‘দিনটা যেন ভালো কাটে, প্রার্থনা কর।’ আজ সত্যি পারুর সভক্তি প্রণাম।
কোনওক্রমে জলখাবার খেয়ে যত জনকে সম্ভব ফোনে মনে করায়। উত্তর— নিশ্চয়ই /  খুব চেষ্টা করব / বৃষ্টি না হলে ঠিক যাব ইত্যাদি। এই একটা ফ্যাক্টর আগস্ট মাসে— হয় পচা গরম, নয় বৃষ্টি। সকাল থেকে গুমোট। ‘আজকের দিনটা  শুকনো কাটিয়ে দাও ঠাকুর।’
‘এ কী কিছুই তো খেলি না...’ কে শুনছে। পারমিতা তার মঞ্চের বক্তব্য ঝালাতে ব্যস্ত।
তিনটে বাজার আগে থেকেই সাজ সাজ। মায়ের সাহায্যে একগাদা সেফটি পিন সেঁটে, এঁটে  শাড়ি পরে, হালকা মেকআপ... যেন ন্যাচারাল লাগে। পিছনে  ঠাম্মা ‘দুর্গা দুর্গা’ বলতে বলতে সে গাড়িতে উঠে মোবাইলটা সাইলেন্ট মোড করে মুখ বাড়িয়ে বলে, ‘তোমরা বাবার সঙ্গে ঠিকমতো এসো।’ ক্লাচে পা দিয়ে স্টার্টের চাবি ঘোরায়। আহিরিটোলা থেকে যোধপুর পার্কে সোমনাথের ফ্ল্যাট, সেখান থেকে ময়দানে প্রেস ক্লাব। শনিবার বেশিরভাগ অফিস হয় বন্ধ, নয় হাফ ডে। মোটামুটি  ফাঁকা রাস্তা থাকার কথা। তবু বেশ ট্রাফিক ছিল। কোনওক্রমে  টাইমে পৌঁছে গেল সোমনাথবাবুর বাড়ি। উনি তো একেবারে রেডি হয়ে বসেছিলেন। অমিয়া দেবীকেও আসতে রাজি করিয়েছে, ‘আপনার জন্যেই কাকাবাবু বই উদ্বোধন করতে রাজি হলেন, কৃতিত্ব তো আপনার।’ ওঁর রেডি হতে একটু দেরি হচ্ছে, সোমনাথ বিরক্ত। ‘অনেক সময় আছে, কাকাবাবু, আপনি মিথ্যে ব্যস্ত হচ্ছেন।’         
 চালকের আসনে পারু, পাশের সিটে বইয়ের প্যাকেট, পিছনে সস্ত্রীক সোমনাথ। স্টার্ট দিতে না দিতে শুরু হল বৃষ্টি। সঙ্গে সমানে বিকট বাজ পড়া। ‘কলকাতার শহরে এত বাজ পড়তে আমরা ছোটবেলায় কস্মিনকালেও দেখিনি,’ অমিয়া দেবীর মন্তব্য। ‘হবে না? এখন চারদিকে উঁচু উঁচু আকাশছোঁয়া বাড়ি, সর্বত্র ইস্পাতের ছড়াছড়ি,’ ব্যাখ্যা দেন সোমনাথ। পারু সাইড করে গাড়ি দাঁড় করায়। ‘একটু ওয়েট করে যাই। বাজটাজ আজকাল খানিকক্ষণ দুমদাম পড়েই বন্ধ হয়ে যায়।’ হ্যাঁ, তাই হল। বাজ পড়া থামল। তবে বেশ ক’মিনিট পর। ঝিরঝির করে বৃষ্টিটা চলছে। রাস্তা সব ভিজে। আস্তে আস্তে গাড়ি এগয়।
সামনে পিছনে গাড়ির ভিড়। ট্রাফিকে লাল। খানিক বাদে খুলল। মোড় ঘুরে গড়িয়াহাট রোডে পড়ে চারদিকে গাড়ি এবং সকলের স্পিড মিনিমাম, বৃষ্টিতে যা হয়, কেউ রিস্ক নিতে চায় না। ঢাকুরিয়া ব্রিজ একেবারে ঠাসা। দেরি, শুধু দেরি। গোলপার্কে আবার ট্রাফিক সিগন্যাল লাল। ‘উফ একবার লাল পেলে, ব্যস হয়ে গেল, সব ট্রাফিক সিগন্যালই লাল হবে।’ সোমনাথ বার দুয়েক বলেছেন, ‘বড্ড টাইম লাগছে।’ অমিয়া দেবীর তৎক্ষণাৎ জবাব, ‘কলকাতার রাস্তা, কারও কিছু করার নেই।’ গড়িয়াহাট  পার হয়েই বিশাল যানজট বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পর্যন্ত। তথৈবচ পার্ক সার্কাসের মোড়। অবশেষে  গাড়ি থিয়েটার রোডে  পড়ে। বাপ রে, সামনে যতদূর চোখ যায় গাড়ি আর গাড়ি। ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগতে হচ্ছে। হেঁটে গেলেও বেশি তাড়াতাড়ি হতো। পাঁচটা কখন বেজে গেছে। ঘড়ির দিকে আর তাকায় না। ধর্মতলার আগে ময়দানের দিকে টার্ন নেয়। আশ্চর্য, এখানে বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। দু’দিকে হকারদের ঝুপড়ি দোকানের সামনে ক্রেতাদের ঠাসা ভিড়। সেই শম্বুক গতিতে এগনো।
অবশেষে ক্লাব হাউস। ওই তো সামনে বাড়ির গাড়ি এবং গোপাল দাঁড়িয়ে। এগিয়ে এসে দরজা খুলে বলে, ‘দিদিমণি, আপনারা এগন, আমি গাড়ি পার্ক করছি।’  অমিয়া দেবী নামতে নামতে বলেন, ‘মনে হচ্ছে  বৃষ্টিটা শুধু আমাদের সাউথেই হচ্ছে। এখানে দিব্যি শুকনো।’ আড়চোখে মেঘের মতো মুখ সোমনাথের দিকে তাকিয়ে ‘কাকাবাবু, আসুন,’ বলে  পারু দ্রুত এগয়।
হলের সামনে পৌঁছে দেখে আরে, লোকজন সব চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছেন। ‘দেখছেন, আগের স্লটের ফাংশন সবে শেষ হল। বোধহয় বৃষ্টির জন্য ওরাও পথে আটকে গিয়েছিল। আমরা দেরি করে ঠিক সময়েই এসেছি কাকাবাবু,’ সহাস্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পারু। পা চালিয়ে হলে ঢোকে। উল্টো দিক থেকে দর্শকরা বেরবার জন্য এগিয়ে আসছেন। মুখোমুখি নকুল নস্কর, হাতে এক পাঁজা ‘পাখি তবু গান গায়’। সঙ্গে স্মার্ট চেহারা স্মার্ট পোশাক পরা একজন ভদ্রলোক।
‘সোমনাথবাবু, নমস্কার নমস্কার। আলাপ করিয়ে দিই, বিখ্যাত লেখক কমল হাজরা, আমার বিশেষ বন্ধু। ভাগ্যিস আমি ওঁকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। আপনাদের দেরি হচ্ছে, এদিকে পারমিতাকে মোবাইলেও পাচ্ছি না, অডিয়েন্স সমানে উশখুশ  করছে, তাই আমি আর ওয়েট করলাম না। কমলকে দিয়ে বইটা উদ্বোধন করিয়ে দিলাম। ব্যাককভারে লেখিকা পরিচিতি দেখে কী  সুন্দর দু’চার কথা বলল। ওর অফিসের ফোটোগ্রাফারও ছিল। ছবিটবি সহ খবর  বেরবে।  দারুণ পাবলিসিটি হবে। পারমিতা নিশ্চয় চা-টার ব্যবস্থা করেছে। চলুন সদ্ব্যবহার করা যাক।’ 
অঙ্কন : সোমনাথ পাল
10Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা