বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা

ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

—মাসিমা, আমি চললাম।
মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি।
কাজের বউটা বিদায় হতেই আবার ফোনে মন দিলেন কৃষ্ণকলি। বাবুসোনা অফিসের কাজে মাস ছয়েকের জন্য বাইরে যেতেই শুরু হয়েছে যত বিপত্তি। নিজের অমন সুন্দর দোতলা বাড়ি ছেড়ে ছেলের এই ছোট্ট দু’কামরার ফ্ল্যাটে এসে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু কী আর করা যাবে, ছেলের অনেক কষ্টের পয়সায় কেনা ফ্ল্যাট, এখন মা যদি একটু দায়িত্ব নিয়ে দেখাশোনা না করে, তাহলে আর কেই বা করবে। বাবুসোনা অবশ্য বলেই ছিল, ‘এই ক’মাস ঘরদোর একটু বন্ধ থাকলে কিছু হবে না, তাছাড়া আমার বন্ধুরা তো কাছাকাছিই থাকে, যদি দরকার পড়ে তাহলে তারাই না হয় মাঝে মাঝে এসে একটু দেখভাল করে যাবে।’ কিন্তু কৃষ্ণকলি কিছুতেই রাজি হননি ছেলের প্রস্তাবে। পাছে মায়ের অনুপস্থিতিতে ছেলে কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তাই ছেলে ঘর বন্ধ করে বাইরে যাওয়ার দিন দুয়েক আগে থাকতেই নিজের ঘরদোরের সব দায়িত্ব বিশ্বস্ত পরিচারিকা চম্পার হাতে সঁপে দিয়ে কর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ছেলের এখানে এসে উঠেছেন।
কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত কৃষ্ণকলি ছিলেন ওই অঞ্চলের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। স্থানীয় চেনা-পরিচিতদের সবার কাছে বড়দিদিমণি। আর তাঁর পতিদেবতাটি ছিলেন ওখানকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার। ব্যাঙ্কে যাতায়াত করা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বড়বাবু। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বড়বাবুদের সঙ্গে সরকারি স্কুলের বড়দিদিমণিদের তফাত অনেকটাই। বড়বাবুদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সামনে থাকা মানুষজনদের সঙ্গে হেসে কথা বলতে হয়। কিন্তু বড়দিদিমণিদের ইচ্ছে থাকলেও কারও সঙ্গে হেসে কথা বলার উপায় নেই। বেশি হাসাহাসি করলে সামনে দাঁড়ানো সবাই ‘খেলো’ বলে মনে করবে। তাই ছেলের ফ্ল্যাট পাহারা দেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি কৃষ্ণকলি। ভেবেছিলেন, নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন করে বন্ধু পাতাবেন। অন্যান্যদের মতো তিনিও সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মনের কথা বলবেন।  
কিন্তু সে গুড়ে বালি। নতুন জায়গায় এসে প্রথমদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েই ব্যাপারটা আঁচ করলেন কৃষ্ণকলি। এখানে ওঁর বয়সি কেউই ওঁর মতো শাড়ি পরে হাঁটতে বের হননি। সবার পরনে হয় সালোয়ার-কামিজ নয়তো ঢিলেঢালা প্যান্ট-জামা। বেঢপ চেহারার কেউ কেউ তো আবার স্ফীত মধ্যাঙ্গটিকে একেবারে অগ্রাহ্য করে বেশ টাইট ট্র্যাকস্যুট পরে খুব স্বচ্ছন্দে ব্রিস্ক ওয়াকিং করে বেড়াচ্ছেন। পুরনো পাড়ায় সবাই কৃষ্ণকলিকে বেশ সম্ভ্রমের চোখে দেখত, সৌজন্যের হাসি হাসত। কিন্তু এখানে কেউ ওঁর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। দীর্ঘ অনভ্যাসের ফলে তিনিও আগ বাড়িয়ে আলাপ করতে পারলেন না কারও সঙ্গে।
কর্তার ব্যাপারস্যাপার অবশ্য আলাদা। তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সমবয়সি বন্ধু জুটিয়ে ফেলেছেন। আগের মতোই এখানেও প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেরার পথে সেইসব বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন, পায়ের ধারে ঘুরঘুর করা সারমেয়দের বিস্কুট কিনে খাওয়ান।
কৃষ্ণকলিরও যে একেবারেই কোনও বন্ধু জোটেনি তা নয়। সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়ে প্রথমদিনেই ফ্ল্যাট বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট লাইব্রেরির হদিশ পেয়েছিলেন কৃষ্ণকলি। গাছপালায় ঘেরা ঘরটার বন্ধ দরজার পাশে দেওয়ালে ঝোলানো আধময়লা বোর্ড দেখে জানতে পেরেছিলেন লাইব্রেরিটি সপ্তাহে দু’দিন খোলা হয়। রবিবার সকালে ও বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। সকালের দিকে কৃষ্ণকলির হাতে সময় তেমন থাকে না, তার ওপর রবিবার সকালে পাড়ার পাঠাগারে পাঠিকার চেয়ে পাঠকের আনাগোনার সম্ভাবনাই বেশি। কৃষ্ণকলির জীবনের বেশিরভাগটাই কেটেছে বিভিন্ন বয়সি মেয়েদের ধমকধামক দিয়ে তাই অনাত্মীয় পুরুষের সঙ্গে হেসে কথা বলতে এখনও একটু অস্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধেটাকেই পঠনপাঠনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই দেখা হয়েছিল শ্যামলবাবুর সঙ্গে। শ্যামল মৈত্র। ওই ছোট্ট লাইব্রেরির ছোটখাট লাইব্রেরিয়ান। শ্যামলবাবু প্রতি বৃহস্পতিবারে পাঠাগারের দরজা খুলে ঘণ্টাখানেক বসে থাকেন পাঠকের আশায়। শান্ত, ভদ্র, বিনয়ী, কম কথা বলা, দোহারা, উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের মাঝারি উচ্চতার এই মানুষটিই এই নতুন জায়গায় কৃষ্ণকলির একমাত্র বন্ধু, যাকে দেখার জন্য কৃষ্ণকলি সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করে থাকেন। 
এখন লক্ষ্মীবারে সন্ধে হতে না হতেই কৃষ্ণকলি তড়িঘড়ি মা লক্ষ্মীকে ধূপ দেখিয়ে পাঁচালি পড়া সেরে ফেলেন। তারপর বেশ কড়া করে মাড় দিয়ে ইস্ত্রি করা চওড়া পাড়ের তাঁতের শাড়িটাকে অনেকক্ষণ ধরে বেশ যত্ন করে শরীরে জড়িয়ে নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। লাইব্রেরিতে আলো জ্বলে উঠলেই বাহুমূলে পারফিউম ছড়িয়ে, আরও একবার মুখে পাউডারের পাফ আর মাথায় চিরুনি বুলিয়ে নিয়ে বই হাতে উপস্থিত হন লাইব্রেরিতে। ছোট্ট লাইব্রেরিটার বেশিরভাগ বই-ই কৃষ্ণকলির পড়া আর যেগুলো পড়া নয় সেগুলো তিনি পড়তেও চান না। তবুও শুধুমাত্র কিছুক্ষণ সময় একটু ভালোভাবে কাটানোর জন্য, শ্যামলবাবুকে দু’চারটে মনের কথা বলার জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে চলে যান লাইব্রেরিতে।
আর এই লাইব্রেরি যাওয়া নিয়েই হয়েছে যত সমস্যা। আর সেই নিয়েই কৃষ্ণকলি এখন বেশ চিন্তায় আছেন। 
কৃষ্ণকলির মাথায় যেমন ঘন চুল সারা গায়েও তেমনই ঘন লোম, তাই প্রতি মাসে নিয়ম করে ঠোঁটের ওপরে, চিবুকে, গালের দুপাশে আর ভুরুতে একটু ধারালো সুতোর ছোঁয়া না লাগালে কৃষ্ণকলির নিজেকে মানুষ নয়, কেমন যেন বনমানুষ বলে মনে হয়। তখন আর একদম আয়নার সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছা করে না। পাছে ছাত্রীরা বা তাদের অভিভাবিকারা দেখে ফেলেন এই ভয়ে কৃষ্ণকলি কোনওদিনই বিউটিপার্লারে যেতেন না। ওখানে টুম্পা নামে একটি মেয়ে প্রতিমাসে বাড়ি এসে তাঁকে বিউটি-সার্ভিস দিয়ে যেত। কিন্তু এখানে সে সুযোগ কোথায়? অগত্যা কৃষ্ণকলি ঠিক করলেন একবার গিয়েই দেখবেন বিউটিপার্লারে। তাছাড়া এখানে কেউ তো আর তাঁকে বড়দিদিমণি হিসাবে চেনে না, তাই দেখে ফেললেও তেমন দোষের কিছু নেই। 
এ পাড়ায় একটা ছোট  বিউটিপার্লার আছে। কৃষ্ণকলি সময় করে একবার ঢুঁ মেরে এসেছেন সেখানে। লাল গদিওয়ালা চেয়ারের একটি খালি আর একটির হাতলে দু’হাত ছড়িয়ে চোখে ভেজা তুলো আর মুখে মুলতানি মাটি লাগিয়ে বেশ আরাম করে বসে ছিল একজন মহিলা। মুখ দেখা না গেলেও পরনের জামাকাপড় দেখে কৃষ্ণকলি তাকে বেশ ভালোমতোই চিনতে পারলেন। মহিলাটি তাঁদের সামনের ফ্ল্যাটের ‘রান্নার মাসি’। রোজ ওই একই পোশাক পরে রান্না করতে আসে। পার্লারের মেয়েটি একগাল হেসে কৃষ্ণকলিকে খালি চেয়ারটায় বসতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কৃষ্ণকলি ‘একটু পরে আসছি’ বলে সেই যে ওখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তারপর আর ওমুখো হননি। 
কর্তাকে অনেকবার অনলাইনে গাড়ি ভাড়া করতে দেখেছিলেন, এবার অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পর তিনি প্রথমবার অনলাইনে স্যাঁলো সার্ভিস বুক করলেন। কৃষ্ণকলির শুধু ভুরু আর সারা মুখের লোম ছাঁটা মানে থ্রেডিং করার দরকার ছিল। কিন্তু এইসব অনলাইন বিউটি-পার্লারের ন্যূনতম খরচ আগে থেকেই ধার্য করা থাকে। নির্দিষ্ট টাকা খরচ না করলে বিউটিশিয়ান পাওয়া যায় না। উপায় নেই দেখে কৃষ্ণকলি মুখের লোম ছাঁটার সঙ্গে মাথার মালিশও বুক করলেন। কিছুক্ষণ আগে কৃষ্ণকলির মোবাইলে বিউটিশিয়ানের হাসি মুখের ছবি আর কাজ শুরু করার পাসওয়ার্ড এসেছে। তিনি খুব মন দিয়ে সে সব দেখছিলেন, আর ঠিক সেই সময়ই মিনা কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান দিল। অন্যদিন হলে কৃষ্ণকলি ফাঁকিবাজ কাজের-বউটাকে মনের সুখে খানিক ধমকধামক দিতেন। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা একটু আলাদা, তাই কিছু না বলেই মিনাকে যেতে দিলেন।
মোবাইল রেখে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালেন কৃষ্ণকলি। সত্যি, কি বিশ্রী হাল হয়েছে মুখটার! এই মুখ নিয়ে শ্যামলবাবুর সামনে যাওয়া যাবে না। যাক বাবা, আজকের পর আর আয়নায় এই মুখ দেখতে হবে না। কিন্তু যে মেয়েটা আসবে সে কি টুম্পার মতো ভালো হবে? ভালো করে ভুরু প্লাক করতে পারবে? ধারালো সুতো দিয়ে ঠোঁটের উপর বা গালের পাশ থেকে শক্ত লোমগুলো তুলতে গিয়ে কেটে রক্ত বের করে দেবে না তো?
অজানা আশঙ্কায় দুরু দুরু বুকে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন কৃষ্ণকলি। চোখ চলে গেল লাইব্রেরির দিকে। দুটো ভুরু দু’রকম হলে, ঠোঁটের ওপর কাটা দাগ থাকলে সেই মুখ কি আর শ্যামলবাবুকে দেখানো যাবে?
দুই
‘উফ! উফ! লাগছে! লাগছে! এত জোরে জোরে চুল ধরে টানছ কেন?’ যন্ত্রণায় প্রায় কেঁদে ফেললেন কৃষ্ণকলি।
‘একটু প্রেশার দিয়ে ম্যাসাজ না করলে আপনার মাথায় ভালো করে ব্লাড সার্কুলেশন হবে না। আপনি যদি বলেন, তা হলে আমি প্রেশার কমিয়ে দিয়ে পারি। কিন্তু তাতে হেড ম্যাসাজের কোনও ফল পাবেন না।’ একটু দম নিয়ে ডলি নামের মেয়েটা একটা বিশাল বড় হাউসিং সোসাইটির নাম বলে আবার বলতে শুরু করল, ‘ওখানে আমার অনেক ক্লায়েন্ট আছেন। তাঁদের সবাইকে তো আমি এভাবেই ম্যাসাজ করি। তাঁরা তো বেশ এনজয় করেন, আপনার মতো এত কমপ্লেন করেন না।’
হাই-ফাই হাউসিং সোসাইটির নামটা শুনেই একটু কুঁকড়ে গেলেন কৃষ্ণকলি। বাজার যাওয়ার সময় ওই হাউসিং সোসাইটির সামনে দিয়েই যেতে হয়। মুখে রংচঙে মেক-আপ করা, আঁটোসাঁটো সাহেবি পোশাক পরা অনেক মহিলাকেই ওখান থেকে বের হতে দেখেছেন কৃষ্ণকলি। এই মেয়েটা তাদেরও মাথা ম্যাসাজ করে শুনে কৃষ্ণকলি একটু থমকে গেলেন। পাছে মেয়েটা তাঁকে গেঁয়ো মনে করে তাই মুখ বুজে মাথায় একের পর এক গাঁট্টা, কান ধরে টান, পিঠের ওপর কিল, ঘুসি সবকিছু চুপচাপ সহ্য করে গেলেন মিনিট দশেক ধরে।
কাজ শেষ করে বিদায় হওয়ার সময় একগাল হেসে মেয়েটা কৃষ্ণকলিকে বলল, ‘রেটিং-টা একটু ভালো করে দেবেন ম্যাডাম। আর দেখবেন আজ আপনার খুব ভালো ঘুম হবে।’
ভালো ঘুম হবে না ছাই! মালিশের ঠ্যালায় কৃষ্ণকলির মাথার ভেতরটা এখনও ঝনঝন করছে, কান দুটো টনটন করছে, পিঠে অসম্ভব ব্যথা। স্কুলে পড়ানোর সময় কৃষ্ণকলি অবাধ্য ছাত্রীদের অনেক মারধর করেছেন। কিন্তু তাই বলে এইভাবে পীড়ন! না, এভাবে নিরন্তর প্রহারের ক্ষমতা কৃষ্ণকলি কেন ওঁদের স্কুলের কোনও দিদিমণিরই ছিল না।
তিন
রাস্তায় এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ডলি। যাক বাবা, কৃষ্ণকলি দিদিমণি কোনওভাবেই ওকে চিনতে পারেননি। পারবেনই বা কী করে? মাধ্যমিক পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়েছিল বলে ওই স্কুলে আর উচ্চ মাধ্যমিক পড়া হয়নি। সেই ষোলো বছর বয়সের ডলির সঙ্গে আজকের এই ডলির অনেক তফাত। তবে কৃষ্ণকলি দিদিমণি খুব একটা পালটাননি। সেই কোঁকড়ানো চুল, মোটা মোটা ভুরু, ঠোঁটের ওপর গোঁফের রেখা সব একই রকম আছে, শুধু বয়সটাই যা বেড়েছে। 
ডলি পড়াশোনায় ভালো ছিল না বলে একসময় অনেক মার খেয়েছে এই হেড মিস্ট্রেস দিদিমণির হাতে। তাই আজ যখন দেখল দিদিমণি ওকে একেবারেই চিনতে পারেননি, তখনই ঠিক করে নিয়েছিল, আজ শোধ তুলবেই। থ্রেডিং খারাপ হলে ক্লায়েন্ট ওর নামে কমপ্লেন করতে পারবে। আর নতুন ক্লায়েন্ট একবার কমপ্লেন করলে ডলি আর নতুন কোনও কাজ পাবে না। তাই থ্রেডিংটা ও বেশ যত্ন করে করেছিল। আর তারপর...।
মনের ভেতর একরাশ ফুরফুরে আনন্দ নিয়ে রাস্তার দিকে পা বাড়াল ডলি। এখনও একজন ক্লায়েন্টের সার্ভিস বাকি আছে। 
6Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৩ টাকা৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.০৫ টাকা১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো৮৭.৩০ টাকা৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা