গল্পের পাতা

আঙুল ছোঁয়ালেই বন্ধু
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়লে ছাদে এসে দাঁড়ায় পূর্ণা। ছাদে রাখা ফুলের টবগুলোর দিকে এগিয়ে যায়। রোজ সকালে মালি আসে, গাছের পরিচর্যা   করে। তবু বিকেলের দিকে একবার ছাদে না এলে পূর্ণার মনে শান্তি হয় না। বারবার মনে হয় গাছগুলো হয়তো ওর আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছে। গাছের দিকে মন দেয় পূর্ণা। পাতায় হাত বোলায়, ফুলের গন্ধ নেয়, গোলাপ গাছে ক’টা নতুন কুঁড়ি এল গুনে দেখে। রোজ এভাবেই কেটে যায় পড়ন্ত বিকেলের খানিকটা সময়।
যতদিন ঋক কাছে ছিল ততদিন সময় কাটাতে কোনও অসুবিধাই হতো না। কলেজ থেকে ফিরে ঋক কী খাবে, কখন কোচিং সেন্টারে যাবে, কখন জিমে যাবে, মনমরা হয়ে রয়েছে কেন, আবার ব্রেক-আপ হল না তো, ঋকের সবকিছু ঠিকঠাক সময়মতো হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে রাখতেই পূর্ণার সারা দিন কেটে যেত। তখন অন্য কোনও দিকে তাকাবার সময়ই ছিল না ওর। তন্ময় মুখ বুজে মেনে নিয়েছিল সবই। কোনওদিন পূর্ণাকে বলেনি— ছেলেকে তো অনেক দেখলে, এবার আমার দিকেও একটু দেখ।
লম্বা একটা নিঃশ্বাস নেয় পূর্ণা। ঋক চাকরি পেয়ে বাইরে চলে যাওয়ার পর পূর্ণার হাতে এখন অনেক সময়। তাই আবার নতুন করে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল তন্ময়কে। কিন্তু এত বছর ধরে গড়ে ওঠা হিমশীতল সম্পর্কের বরফ গলাবার মতো উত্তাপ পূর্ণার কাছে ছিল না।
হাউস-কোটের পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করে পূর্ণা। নীল বৃত্তের মধ্যে থাকা সাদা ‘এফ’-এর উপর আঙুল রাখে। খুলে যায় সামাজিকতার দরজা।
আজ ঋকের জন্মদিন। সকাল থেকে বার বার ফোন করেও ওকে পাওয়া যায়নি। হয়তো বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জন্মদিন পালনে ব্যস্ত আছে। ঋকের টাইমলাইনে গোলাপি ব্যাকগ্রাউন্ডে শুভেচ্ছাবার্তা লিখে পোস্ট করে দেয় পূর্ণা।
পূর্ণার ক্লাসমেট বিতস্তা বিয়ের ছবি পোস্ট করেছে। কনের সাজে মাঝবয়সি বিতস্তাকে বেশ অন্যরকম লাগছে। এটা বোধহয় ওর চতুর্থ বিয়ে। স্কুলে পড়ার সময় বিতস্তা একটা ছেলেকে ভালোবাসত। প্রথমবার তাকেই বিয়ে করেছিল। সে বিয়ে খুব বেশিদিন টেকেনি। পূর্ণা ছবিগুলো ভালো করে দেখে। বিতস্তার বরের বয়স বেশ কম। 
সবাই বলে কম বয়সে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। তাহলে বিতস্তার প্রথম বিয়েটা ভেঙে গেল কেন? লাল বেনারসি পরা বিতস্তার সবক’টা ফোটোতে রক্তিম হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা জানায় পূর্ণা।
রোজকার মতো আজও চন্দ্রাণী একটা ভিডিও পোস্ট করেছে। স্পিরিচুয়াল ভিডিও। আটপৌরে করে পরা হালকা রঙের তাঁতের শাড়ি আর ঝালর দেওয়া লম্বা হাতা ব্লাউজে ওকে বেশ ভালো মানায়। ঠোঁটে হালকা হাসি নিয়ে আধ্যাত্মিকতার কথা বলে চন্দ্রাণী। সময়ের সঙ্গে কত বদলে গিয়েছে সে। একসময় চন্দ্রাণী শর্টস পরে বাস্কেটবল খেলত। স্লিভলেস জামা ছাড়া অন্যকিছু পরত না। জিজ্ঞেস করলে বলত, ‘ও সব ওড়না দেওয়া সালোয়ার-কামিজ পরলে আমার খুব গরম লাগে।’ চন্দ্রাণীর ভিডিও রোজই অনেক লাইক আর কমেন্ট পায়। যার বেশিরভাগই বেশি বয়সি পুরুষদের।  
জোড়া পায়ের ছবি পোস্ট করেছে শ্রীপর্ণা। নিয়মিত পেডিকিওর করা, নীল নেলপালিশ লাগানো ফর্সা পা। বালির উপর থাকা পা দুটোকে স্পর্শ করছে সফেন জল। অনেকেই এখন নিজেদের পায়ের ফোটো পোস্ট করে। ফোটোতে পায়ের সঙ্গে কখনও পাহাড় থাকে, কখনও ঘন জঙ্গল। তবে বেশিরভাগ পায়ের ফোটোই জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে তোলা হয়। আর পুজো এলে আলতা পরে। পূর্ণার মনে পড়ে, ও যখন ছোট ছিল তখন হালখাতার সময় পাঁচমিশেলি মিষ্টির সঙ্গে দোকান থেকে একটা করে ক্যালেন্ডারও দিত। তাতে অনেক সময় তারা মায়ের পায়ের ছবি থাকত। ক্যালেন্ডারটা দেওয়ালে টাঙিয়ে ভক্তিভরে প্রণাম করত সবাই।   
স্ক্রল করে বাকি পোস্টগুলো দেখতে থাকে পূর্ণা। কে কোথায় বেড়াতে গিয়েছে, কী রান্না করেছে, নতুন কী সিনেমা দেখেছে, বিবাহবার্ষিকীতে সারাদিন কী করেছে তার লম্বা ফিরিস্তি।
রিঅ্যাক্ট করে ফেলার ভয়ে ‘আনফলো’ করে রাখা প্রোফাইলগুলো এবার একটা একটা করে খুলে দেখে পূর্ণা। এই প্রোফাইলগুলো তাদের যারা ওকে একসময় ভালোবেসেছিল, কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে মুখ ফুটে কোনওদিন কিছু বলতে পারেনি। তাদের পারিবারিক ফোটো দেখে মনে হয় তারা সবাই এখন খুব সুখে সংসার করছে। নাক উঁচু, খুঁতখুঁতে পূর্ণা কি পারত ওদের জীবনে এতটা পূর্ণতা আনতে?
আবার একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে গোলাপগাছের দিকে এগিয়ে যায় পূর্ণা। কনে দেখা আলোয় বেশ লাগছে হলুদ গোলাপটাকে। পূর্ণা একটা ছবি তুলে পোস্ট করে দেয়। চোখের পলক ফেলার আগেই ওর হলুদ গোলাপ পেয়ে যায় দুটো লাল ভালোবাসা।
হাসিমুখে সিঁড়ির দিকে এগয় সে। ওর একাকিত্ব না কাটলেও, কেটে গিয়েছে বেশ কিছুটা সময়।
(দুই)
চায়ের কাপ নিয়ে সোফায় এসে বসে সম্পৃক্ত। কোনও ঝামেলায় না গিয়ে বাবার পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করেছে নিতিকা। গত রাতে ফুলশয্যা ছিল ওর। কাল সারা রাত আকণ্ঠ নেশা করেছে সম্পৃক্ত। আজ সারাদিন ঘুমিয়েছে। তবুও মাথাটা কেমন ধরে রয়েছে এখনও। চায়ের কাপে চুমুক দেয় সম্পৃক্ত। কড়া লিকার মনটাকে চাঙ্গা করার বদলে ওর মুখটাকে আরও তেতো করে দেয়। টেবিলের উপর সাইলেন্ট করে রাখা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনটায় একটা নীল আলোর বিন্দু আপনমনে জ্বলছে আর নিভছে । ফোনটা হাতে তুলে নেয় সম্পৃক্ত। একগাদা মিসড কল আর মেসেজের নোটিফিকেশন। কিছুই আর দেখতে ইচ্ছে করে না সম্পৃক্তর। স্ক্রিনে থাকা নিতিকার হাসিমুখের ছবিটা বার বার মনে করিয়ে দেয় ফেলে আসা দিনগুলোর কথা।
অনেক মেয়েই সম্পৃক্তর জীবনে এসেছে। প্রথমবার যখন লাভ লেটার পায় তখন ও ক্লাস ফাইভে পড়ত। যে দিয়েছিল তার নামটা আজ আর মনেও নেই। সম্পৃক্তর ফর্সা রং, বাদামি চোখ, সুঠাম শরীর, কালার করা চুল দেখে অনেক মেয়েই ওকে ভালোবেসেছে। সম্পৃক্তও তাদের নিরাশ করেনি। কারও সঙ্গে মাল্টিপ্লেক্সে ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখেছে, কারও সঙ্গে কফি-শপে গিয়েছে, আবার কারও সঙ্গে লং-ড্রাইভে। তারপর যখন মন ভরে গিয়েছে তখন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনি। কিন্তু নিতিকার ব্যাপারটা ছিল সেসবের থেকে একেবারেই আলাদা।
ছোটবেলা থেকে কোনওদিনও মাকে ছেড়ে থাকেনি সম্পৃক্ত। তাই যখন চাকরিসূত্রে মাকে ছেড়ে আসতে হল তখন মায়ের অভাবটা খুব নাড়া দিল ওকে। সেই শূন্যস্থানটা পূর্ণ করেছিল নিতিকা। পাছে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে সম্পর্কে ইতি টানে তাই সব মেয়েই সম্পৃক্তর মন জুগিয়ে চলত। কিন্তু নিতিকা ছিল তাদের থেকে একেবারেই আলাদা। ও প্রথমদিন থেকেই সম্পৃক্তর খুঁত ধরত। ওকে শাসন করত। একই অফিসে কাজ করত দু’জনে, দিনের অনেকটা সময় কেটে যেত একসঙ্গে। তাই সম্পর্ক গড়ে উঠতে বেশিদিন সময় লাগেনি। নিতিকা কথা দিয়েছিল ওকেই বিয়ে করবে। একই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকেছে ওরা। কিন্তু সম্পৃক্ত সামাজিক বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসল নিতিকা। সম্পৃক্ত নাকি খুব ডিম্যান্ডিং, খুব সেলফ-সেন্টারড। ওর মতো ছেলের সঙ্গে কিছুদিন লিভ-ইন করা যায়, সারা জীবন থাকা যায় না।
জিভে নোনতা স্বাদ পেয়ে চোখ দুটো মুছে ফেলে সম্পৃক্ত। মোবাইলটাকে হাতে তুলে নেয়। আজ ওর জন্মদিন। আজ একটা ফোটো পোস্ট না করলে কাল অনেক জবাবদিহি করতে হবে। গ্যালারিতে থাকা ফোটোগুলোকে খুব রঙিন বলে মনে হয় সম্পৃক্তর। ওর এই মনোক্রোম্যাটিক জীবনের সঙ্গে ওই ফোটোগুলোর কোনও মিল নেই। তবুও বেছে নিতে হয়। পোস্ট করতে হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভেজা চোখে সম্পৃক্ত দেখে ওর ঠোঁটের কোণে হাসি আর তির্যক চাউনি দেখে কত মেয়ে ওকে ভালোবাসা জানাচ্ছে। এদের কেউই সম্পৃক্তকে ভালোভাবে চেনে না। প্রোফাইল পিকচারে থাকা রঙিন ফোটোটা দেখে ওকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল। এরা সম্পৃক্তর টাইমলাইনে লাল গোলাপ দিয়ে বার্থ-ডে উইশ জানায়। যারা সবার সামনে সাদামাটা উইশ করতে লজ্জা পায় তারা মেসেঞ্জারে ভালোবাসায় ভরা গোপন মেসেজ করে। সম্পৃক্ত দেখে মা-ও ওর টাইমলাইনে ওকে বার্থ-ডে উইশ করেছে। দাদু ওর ছোটবেলার একটা ফোটো পোস্ট করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঁচ হাজারের কাছাকাছি বন্ধু সম্পৃক্তর, হাজার সাতেক ফলোয়ার। আজ ওর টাইমলাইনে কত পোস্ট, মেসেঞ্জারে কত মেসেজ। তবুও আজ কত একা ও। শুভেচ্ছা জানাবার জন্য, আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেকে আছে, কিন্তু চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার জন্য কেউ নেই।
(তিন)
গিন্নি টিভি অন করতেই দোতলায় নিজের ঘরে চলে এলেন জ্যোৎস্নাময়। এখন আর ঘণ্টা তিনেক নীচে নামা যাবে না। গিন্নি এখন রিমোট হাতে নিয়ে নিজের পছন্দের সিরিয়াল দেখবেন। সেই একঘেয়ে মেলোড্রামাটিক কচকচানি, চেবানো চুয়িং-গামকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে গোলাপি গ্যাসবেলুন বানানোর চেষ্টা। এ সময় নীচে থাকা মানেই ঝগড়ার সূত্রপাত। জ্যোৎস্নাময় মুখ ফসকে কিছু না কিছু বলে ফেলবেন আর গিন্নি সেটা নিয়ে তুলকালাম বাঁধাবেন। মাঝে মাঝে জ্যোৎস্নাময়ের মনে হয় টিভিতে দেখানো চরিত্রগুলোকে গিন্নি যতটা ভালোবাসেন, নিজের পরিবারের কাউকে বোধহয় ততটাও ভালোবাসেন না। তাই অশান্তি এড়াতে রোজ সন্ধ্যায় ওই সময়টা নিজের ঘরে একা থাকেন জ্যোৎস্নাময়। বয়স বাড়ার সঙ্গে ধৈর্য কমেছে, তাই আর এখন বই পড়তে পারেন না। গল্প বা উপন্যাস পড়তে গেলে অনেক মনঃসংযোগ করতে হয় তাই রোজ সকালে একবার খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নিয়ে সারাদিনের পড়াশোনায় ইতি টানেন। সন্ধ্যায় সময় কাটানোর জন্য জ্যোৎস্নাময় অন্তর্জালে সামাজিকতা করেন। আজ জ্যোৎস্নাময়ের নাতির জন্মদিন। মেয়ের ছেলে, দৌহিত্র। জ্যোৎস্নাময়ের পৌত্র নেই। একমাত্র পুত্রের দু’টি কন্যাসন্তান। এ নিয়ে অবশ্য জ্যোৎস্নাময়ের কোনও আক্ষেপ নেই। কিন্তু রোজ নিয়ম করে গোটা চারেক নারীকেন্দ্রিক সিরিয়াল দেখা গিন্নির নাতি হয়নি বলে আক্ষেপের শেষ নেই। একবার উপনয়নের নিমন্ত্রণ পেলেই হল, বারবার একই ঘ্যানঘ্যানানি শুনতে শুনতে জ্যোৎস্নাময়ের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড়।
সকালবেলা নাতির একটা ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেছিলেন জ্যোৎস্নাময়। এখন দেখলেন বেশ কয়েকজন সেই ছবিটাকে পছন্দ করেছে। জ্যোৎস্নাময় যে সিনিয়র সিটিজেন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত সেই গ্রুপেও শেয়ার করেছিলেন পোস্টটা, গ্রুপের প্রায় সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছে নাতির ফোটোটাকে। নাতির সঙ্গে অনেকদিন কোনও যোগাযোগ নেই জ্যোৎস্নাময়ের। মেয়ে অবশ্য দিন পনেরো অন্তর একবার করে ফোন করে। তবে ছেলে প্রতি সপ্তাহে ফোন করে খোঁজ নেয় বাবা-মা কেমন আছে। 
বুড়ো-বুড়িদের থাকা বা না থাকাতে কার কী আসে যায়? বরং বেশিদিন থাকলেই সন্তানদের মাথাব্যথা। তাও যতদিন নাতি-নাতনিরা ছোট থাকে, ততদিন বিশ্বস্ত আয়া না পেলে সময়ে অসময়ে ডাক পড়ে। তারা একবার বড় হয়ে গেলে ছেলে-মেয়ের আর কী দরকার বাবা-মায়ের?
নিজের প্রোফাইল পিকচারটাকে খুঁটিয়ে দেখেন জ্যোৎস্নাময়। বই ভর্তি আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে একটা মোটা বই পড়ছেন। ক্যামেরাওয়ালা মোবাইলটা কেনার পর গৃহকর্মের সহায়িকা মিনতিকে দিয়ে তুলিয়েছিলেন ফোটোটা। মিনতি খুব যত্ন করে জ্যোৎস্নাময়কে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখে তারপর ফোটোটা তুলেছিল। গিন্নি ফোটো তুলতে পারেন না, আর পারলেও জ্যোৎস্নাময়ের ফোটো তোলার ইচ্ছা তাঁর একেবারেই নেই। তবুও দু’দিন ছুটি নেওয়ার জন্য পরের মাসে মিনতির মাইনে কাটা গিয়েছিল।
এবার কভার ফোটোটার দিকে চোখ চলে যায় জ্যোৎস্নাময়ের। পঞ্চাশ বছরের বিবাহবার্ষিকীতে তোলা। ছেলে আর মেয়ে সপরিবারে ঘিরে রয়েছে ওদের। অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে জ্যোৎস্নাময়ের। ওঁর জীবনটাও ওঁর নামের মতোই। বাইরে থেকে শুধু জ্যোৎস্নাটাই দেখা যায় কিন্তু তার পিছনে যে অতলস্পর্শী গহ্বরগুলো রয়েছে, তার খবর কে রাখে?
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
10Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা