বিকিকিনি

ঘুরে আসুন উইকএন্ডে

তাকদা
ইদ থেকে যদি ছুটি পান তাহলে চলুন যাই তাকদা। দার্জিলিং থেকে মাত্র ঘণ্টা দেড়-দুইয়ের ড্রাইভ। নিরিবিলি, নিস্তরঙ্গ এই গ্রামে কয়েকটা দিন আরামে কেটে যাবে। চারদিকে যত দূর চোখ যায় চা বাগানের বিস্তার। নাম রংলি রংলিয়ট। এছাড়াও আছে উঁচু নিচু পায়ে হাঁটা পথ, অর্কিডের বাগান আর আপনার ভাগ্যে থাকলে দেখতে পেতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ রূপের মহিমা। নিস্তরঙ্গ গ্রাম্য জীবনে হাঁপ ধরলে দার্জিলিং তো হাতের কাছেই। গ্রামের আসল নাম ছিল ‘তুকদা’। লেপচা ভাষায় যার অর্থ কুয়াশা। এখনও ঘন কুয়াশাভেজা সকালে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে এই গ্রামের। নিস্তরঙ্গ পাইনের বনে হাঁটতে হাঁটতে আলাপ জমে উঠবে নানারকম অর্কিডের সঙ্গে। লাল, নীল ফুলের লতানো অর্কিডে ভরে থাকে পাইন, ফার, বার্চ গাছ। ট্রেক পথে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে লম্বা গাছগুলোই আপনার সঙ্গী হয়ে উঠবে বুঝতেও পারবেন না। চা বাগান পেরিয়ে গান্ধী চক। হাঁটা পথে তাকদা গুম্ফার শান্ত শোভাও উপভোগ করতে পারেন।  
কীভাবে যাবেন: ট্রেন বা বিমানে সরাসরি এনজেপি স্টেশন পৌঁছে সেখান থেকে গাড়িতে তাকদা মোটামুটি ৩ ঘণ্টার রাস্তা।

বগুরান 
 আপনি কি সমুদ্র ভালোবাসেন? সাগরের ঢেউ গুনেছেন কখনও একা একা? নাকি সমুদ্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনার মনও ছুটে গিয়েছে নাম না জানা অচিনপুরে? তাহলে বগুরান সমুদ্রতট আপনার জন্য আদর্শ ঠিকানা। কাঁথি থেকে সামান্য দূরেই এই সমুদ্রতট। ঝাউবনের সারি তাকে যেন লুকিয়ে রেখেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। সোনালি বালির ওপর সূর্যের আলোর চিকমিক আর ঢেউয়ের অবিরাম আছড়ে পড়া এই সমুদ্রতটের সৌন্দর্যে এক অন্য মাত্রা যোগ করে। তট জুড়ে রয়েছে লাল কাঁকড়ার অনন্ত পথচলা। নিজেকে আরব বেদুইন তো মনে হতেই পারে, অথবা হয়ে উঠতে পারেন রবিনসন ক্রুসো। যেন জনশূন্য দ্বীপে একলা পথিক। আর যদি পথ হারিয়ে যায়? ভয় নেই, পৌঁছে যাবেন কপালকুণ্ডলার মন্দিরে। সেখানে কি কেউ অপেক্ষা করছে আপনার পথ চেয়ে? আপনাকে দেখেই বুঝি বা বলবে, ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ তবে কপালকুণ্ডলার সঙ্গে দেখা হোক বা নাই হোক, মন্দিরটি দর্শন করবেন অবশ্যই। এছাড়া হাতের কাছেই জুনপুট। একটু লোকালয়ের খোঁজে যেতেই পারেন দিঘা, মন্দারমণি বা শঙ্করপুরে। 
কীভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে ট্রেনে কাঁথি গিয়ে সেখান থেকে অটো চড়ে যেতে পারেন বগুরান। অথবা কলকাতা থেকে গাড়িতেও যেতে পারেন।

বড়ন্তি
 টিলা আর নদীতে ঘেরা বড়ন্তি গ্রাম। পুরুলিয়ার এই গ্রাম্য সৌন্দর্য  দেখতে ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। বৈশাখী বিকেলে মুরাডি লেকে নৌকা চড়ে বেড়িয়ে পড়ুন। অথবা লেকের ধারে বসে জলের ভাঁজে হাওয়ার খেলা উপভোগ করুন। আর পড়ন্ত বিকেলে জলের স্রোতে ভেসে যাওয়া সূর্যের শেষ কিরণের শোভা দেখতে দেখতে দিনের সব কাজে ইতি টানুন। শান্ত লেকের জলে সারাদিন নৌকোয় বসে মাছ ধরতে চাইলে তাও সম্ভব। জঙ্গল ভালোবাসলে সেই টানেও যেতে পারেন বড়ন্তি। একটু অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় মাততে চাইলে একবার বিহারীনাথ পাহাড়ে চড়েও আসতে পারেন। হাল্কা চড়াই বেয়ে উঠতে মন্দ লাগবে না। তবে গরমকাল তাই পাহাড়ে চড়ার নেশায় মগ্ন হতে চাইলে ভোর থাকতেই বেরিয়ে পড়ুন। পাখির ডাকে নৈঃশব্দ‌্য হঠাৎই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আবার যে কে সেই নিস্তব্ধ পাহাড়চূড়া। হয়তো বা হঠাৎ হাওয়ার ঝোঁকে পথ চলতি কোনও এক বাঁকে থমকে গেলেন কয়েক মুহূর্ত। এছাড়াও আছে জয়চণ্ডী পাহাড়ের হাতছানি। পাহাড় চূড়ায় উঠে পাখির চোখে গ্রাম্য সৌন্দর্যের শোভা উপভাগ করাই হোক বা মন্দিরে পুজো দেওয়া— সবই সম্ভব।
 কীভাবে যাবেন: সড়কপথে গেলে কলকাতা থেকে বড়ন্তি পাঁচ ঘণ্টার ড্রাইভ।     
 
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা