বিশেষ নিবন্ধ

বাঙালি বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
মৃণালকান্তি দাস

বিজেপি বদলায়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশি চিনে ফেলেছিলেন। তারপর ছাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের এক একটি খোসা। বেরিয়ে পড়েছে হিন্দুত্ববাদী নগ্নতার আরও কদর্যরূপ। ধর্মান্ধতার নিরিখে বিজেপি যে শুধু অহিন্দু বিদ্বেষী নয়, একইসঙ্গে অহিন্দি বিদ্বেষীও তা তারা প্রকাশ্যে হাজির করেছে। সামনে ঠেলে দিয়েছে পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনেতাদেরও। বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদ মাছ খেতে দেখে রোহিঙ্গা চিনে ফেলেছিলেন। ভারতের নাগরিক দশ কোটির বেশি বাংলাভাষীকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থী রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে এক সারিতে। ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিলেন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস নিয়েও। ওদের কাছে, মছলি-খোর, বাংলা-বলা বাঙালি মাত্রেই সম্ভাব্য বাংলাদেশি। সেই জন্যই তো সিএএ-র এত আয়োজন। সিএএ নিয়ে এত হুঙ্কার। সব ব্যাটা বাঙালিকে সন্দেহ করো। হিটলার বাহিনীর ‘ইহুদি’ খোঁজার মতো খুঁজে বের করো বাংলাদেশি। উগরে দাও বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা!
গেরুয়া শিবিরের কাছে উদারবাদী বাঙালি জীবনদর্শনের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা ও উপহাস অতীতেও যেমন ছিল, আজও তেমন। আজ বাংলায় এসে ভোটের স্বার্থে বিজেপি নেতারা যা-ই বলুন, রবীন্দ্রনাথ তাঁদের কাছে স্বদেশ পর্যায়ের গান-কবিতার বাইরে অচ্ছুত। সত্যজিৎ রায় তাঁদের কাছে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে সলিল চৌধুরী, দেবব্রত বিশ্বাস থেকে সুচিত্রা মিত্র, মৃণাল সেন থেকে ঋত্বিক ঘটক সেখানে অজ্ঞাত ও পরিত্যাজ্য। কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস বৃত্তে আশাপূর্ণা দেবী, মহাশ্বেতা দেবী, লীলা মজুমদারের নাম কেউ শোনেনি, শুনলেও পাত্তা দেয়নি। ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে উল্লাসে মেতে ওঠে। রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো করে ধরে...।
আরএসএস ক্যাম্পে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি শহিদদের অবদান নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয় না। কিন্তু শিবাজি আর আফজল খাঁ নিয়ে হয়। গেরুয়া শিবিরের মিটিংয়ে আজও বাঙালি ভাবনাচিন্তার কোনও ছোঁয়া পৌঁছায়নি। আরএসএস শাখায় জাতীয় পতাকা ওড়ে না। ওড়ে শিবাজির ভগোয়া ঝান্ডা। সেখানে নমস্কার বা হাততালি নিষিদ্ধ, চলে হিটলার-মুসোলিনির বাহিনীর কায়দায় অভ্যর্থনা। যতই হম্বিতম্বি করুন তাঁরা, তথ্যপ্রমাণ পাল্টে ফেলে, ধ্বংস করে, ইতিহাসটা আবার নতুন করে না লেখা পর্যন্ত আমরা জানি, স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামে বিজেপির পূর্বসূরিরা কতটাই প্রান্তিক ছিলেন। সাভারকরের মতো হিন্দুত্ববাদী নেতারা দেশের স্বার্থের উপরে রেখেছিলেন নিজের ও দলের স্বার্থকে, ঠিক যেমন করেছিলেন কট্টর মুসলিম নেতারাও। বাস্তবে ভারত নামে দেশটাকে পঙ্গু হয়ে জন্মাতে হয়েছিল এই ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ঘায়ে, আর জন্মমুহূর্তেই তাকে ঘোর অসুখ বলে মেনে নিতে হয়েছিল। আজ সেই ধর্মরাজনীতিরই ধারক-বাহক-প্রচারকরা এসে বাংলাকে গিলে খাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
একসময়ের আরএসএস নেতা পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘দানবের পেটে দু’দশক: বিজেপি, আরএসএস ও হিংস্র হিন্দুত্বকে যেভাবে দেখেছি’ বইয়ে লিখেছেন: আজকের আরএসএস, বিজেপি অবশ্য একেবারেই নতুন প্রজাতির। দুর্নীতিগ্রস্ত, লোভী লোকজন ভর্তি। হিংস্রতা, চোখে ক্ষমতার রক্ত। যাদের দেখলে ভয় করে। ভোটে ক্ষমতায় আসার জন্যে ঘোড়া 
কেনাবেচার খেলা প্রকাশ্যে? কালকের ক্রিমিনাল আজকে রাতারাতি মিডিয়া-হোয়াইটওয়াশ করা দেবতা? এদের হাতে আজ আমাদের ভারত? আমাদের বাংলা?
প্রাক্তন ওই হিন্দুত্ববাদী নেতা বাংলার মানুষকে তাঁর আরএসএস জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘...যে জীবনপদ্ধতিতে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ অনুপস্থিত। যেখানে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণদেব, লালন, শ্রীচৈতন্যদেব অনুপস্থিত। যে দানব সমস্ত রকম প্রগতিশীলতা, সমানাধিকার, আধুনিকতার পরিপন্থী একটা অশুভ শক্তি। ...রামকৃষ্ণ কথামৃত একদিকে, আবার গোরা থেকে সভ্যতার সঙ্কট— আরএসএসে আমার দু’দশকে আমি কখনও এসব নিয়ে কোনও আলোচনা শুনিনি। বৈষ্ণব, ব্রাহ্ম, সুফি, লালন, উদারপন্থী খ্রিস্টধর্মের নানা ডিনোমিনেশন— এসব তো একেবারেই নয়। জঙ্গি হিন্দুত্ববাদীরা হিন্দুধর্মকে সামনে রেখে অজ্ঞ মানুষকে খেপিয়ে তোলার রাজনীতি করে যাচ্ছে। ঠিক যেমন অধ্যাপক সুদীপ্ত কবিরাজ বলেছেন, হিন্দুধর্ম হাজার বছরের, কিন্তু হিন্দুত্ব একশো বছর আগে সাভারকরের সৃষ্টি করা ডক্ট্রিন।
হিন্দুত্ববাদীরা হিন্দুধর্ম জানে না।’
লেখক লিখেছেন, ‘একদিকে চরম ইতিহাস-অজ্ঞতা, এবং ফলে ইতিহাস-বিকৃতি, তার সঙ্গে অজ্ঞ কর্মী-সৈন্যদের জন্য মিলিটারির মতো শৃঙ্খলা এবং প্রশ্নহীন আনুগত্য। নারী ও পুরুষের সম্পূর্ণ আইসোলেশন প্রতি পদে পদে। সারা দেশের কোণে কোণে হাজার হাজার আরএসএস শাখায় কোনও কালেও পুরুষ-নারীর সহাবস্থান নেই, মেলামেশা নেই, এবং সমানাধিকারের কোনও উল্লেখ নেই। প্রশ্ন নেই। আধুনিক জীবনযাত্রার কোনও ছোঁয়া নেই। বরং আছে উচ্চবর্ণের তীব্র প্রাধান্য। তীব্র প্রাচীনপন্থা, বিজ্ঞানবিরোধিতা, মুসলিমবিদ্বেষ, খ্রিস্টানবিদ্বেষ, আর সমাজবাদ-বিদ্বেষ।’
সেই গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব এখন নতুন করে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে অরবিন্দ ঘোষের হাতে বাংলাতেই হিন্দু জাতীয়তাবাদের সলতে পাকানো শুরু। এমনকী দেশকে ‘ভারতমাতা’ হিসেবে দেখার ভাবনার জন্মও বাংলার মাটিতে, অবন ঠাকুরের ছবির হাত ধরে। ইতিহাসবিস্মৃত বাঙালিদের একাংশ তা বিশ্বাসও করতে শুরু করেছে। মুশকিল হল, ইতিহাসে বর্তমানের রাজনীতিতে চিঁড়ে ভেজে না। আজ বাংলায় পায়ের তলায় জমি খুঁজে পেলেও কোনও বাঙালি বুদ্ধিজীবী আইকনকে এখনও বিজেপি নিজের ছাতার তলায় আনতে পারেনি। এখনও ধর্মনিরপেক্ষ পরিচিতি বজায় রাখতে উদ্‌গ্রীব বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা বিজেপির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলছেন। বাঙালি মনন জেতা তাঁদের পক্ষে এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
ঠিক যেমন তাঁরা এখনও গিলতে পারেননি নেতাজিকে। কারণ একটাই। আদর্শ। আজকের ভারতে আরএসএস-এর আচরিত-প্রচারিত উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ নেতাজির ধর্মনিরপেক্ষ ভারত-ভাবনা থেকে বহু দূরে। নরেন্দ্র মোদি যেখানে স্রেফ ধর্মের ইঙ্গিতে মোগল ও ইসলামি শাসনকে বলেন ‘বারোশো বছরের দাসত্ব’, নেতাজির ভাবনায় সেখানে ব্রিটিশ-পূর্ব ভারত হিন্দু-মুসলিমের একত্র ইতিহাস। নেতাজির ভারত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বহুত্বের কথা বলে, সমাজ-রাজনীতিতে জাতপাতের গোঁড়ামি নির্মূল করতে চায়, সর্বোপরি উন্নত দেশ গড়ার পথে ধর্মান্ধতা ছুড়ে ফেলে আপন করে নেয় ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞানমনস্কতাকে। এর কোনওটিই আরএসএস-বিজেপির ঘোষিত পন্থা বা লক্ষ্য নয়, এখনও তাদের হাতিয়ার ধর্মীয় বিভাজন, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ, বিভেদ, বিদ্বেষ। সাম্প্রদায়িকতা নেতাজি বরদাস্ত করতেন না, জিন্নার মুসলিম লিগের মতোই সাভারকরের হিন্দু মহাসভারও কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি। তবুও বিজেপির নেতাজিকে চাই, কারণ হিন্দুত্ববাদীদের ঘরে এমন কোনও নেতা নেই, যাঁর দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ সংশয়ের ঊর্ধ্বে। ঘরের সেই অভাব ঢাকতেই নেতাজিকে আত্মসাৎ করার মরিয়া চেষ্টা। বিজেপি পারেনি। এত দিন ধরে স্বামীজি থেকে নেতাজি— সকলকে নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের ঠুনকো ভেজাল প্রচারে বিবেকানন্দ কিংবা সুভাষচন্দ্রের ঘোর অসম্মান ঘটেছে। কারণ, আজীবন এবং আপ্রাণ তাঁরা সঙ্ঘীয় হিন্দুত্ববাদের একেবারে উল্টো কথাই বিশ্বাস করেছেন, প্রচার করেছেন। বিবেকানন্দ, নেতাজিকে আত্মসাৎ করা যে হিন্দুত্ববাদীদের সাধ্য নয়, ইতিহাসের সামান্য বোধ থাকলেই তা নিয়ে সংশয় থাকে না। 
তবে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ বাঙালি মননের আর একটি দুর্বল জায়গা ছোঁয়ার চেষ্টা করছেন। পোড়খাওয়া দুই রাজনীতিক বিলক্ষণ জানেন, ‘আজ বাঙালি যা ভাবে, বাকি দেশ কাল তা ভাবে’ শুনলে বাঙালি এখনও আহ্লাদিত হয়। তাই অমিত শাহর মুখে আজ শোনা যায়, ‘এই বাংলাই এককালে গোটা দেশকে পথ দেখাত, সমাজ সংস্কার, ধর্মীয় আন্দোলন, স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিত’। আর তা শুনে বাঙালিদের একাংশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই অমিত শাহরা মনে করিয়ে দেন, বঙ্কিমের বন্দেমাতরম্, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমন-র বাংলায় এখন রাজনৈতিক হিংসার দাপটে গুলি-বোমার আওয়াজ শোনা যায় কেন? এটাই গেরুয়া শিবিরের রাজনীতি!
যতদিন যাচ্ছে, গেরুয়া শিবির হিন্দুত্ব-হিন্দিত্ব নির্ভর একটা এককাট্টা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের রণহুঙ্কার দিচ্ছে। সেই হুঙ্কারের সামনে দুটো প্রতিবন্ধক। একটা হল তামিল স্বাভিমান। অন্যটা হল বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য। তামিলনাড়ুর স্বাভিমানের লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘ। কিন্তু তার অস্তিত্ব কেবলমাত্র তামিলনাড়ুর মধ্যেই। অন্যদিকে বাংলা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের ভাষা। এবং তার ব্যাপ্তি কেবল পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই আটকে নেই। ত্রিপুরার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। অসমের প্রায় ত্রিশ শতাংশের। ঝাড়খণ্ড, বিহার, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালির উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোই। সবচেয়ে বড় কথা, সাম্প্রদায়িক পরিচিতিকে খণ্ডন করে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের নজির গড়েছে এই বাঙালিরাই। গো-বলয়ের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী বিকল্পের জন্ম দিয়েছে বাঙালির সংস্কৃতি। এবং সেটা আর্যাবর্তের একদম পাশেই। বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের জাতক্রোধ তাই স্বাভাবিক। এই বাংলায় বাঙালি মুসলিম হোক কিংবা হিন্দু বা বৌদ্ধ, সকলেরই মাতৃভাষা বাংলা। তা নিয়েই হিন্দিওয়ালাদের খুব ভয়। তাই বাঙালি আর বাংলার বিরুদ্ধে বিষ না ছড়িয়ে তাদের উপায় নেই। বিজেপি নেতারা ভালো করেই জানেন, তাঁদের চালচলন, রীতি-শিষ্টাচার, ভাষা প্রয়োগ ইত্যাদি অনেক কিছুই চেনা বাঙালি-সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। ওরা জানেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ‘লুক ইস্ট’ নীতি ও বঙ্গ বিজয়ের কাহিনি। যে কাহিনিতে পশ্চিমের কাছে পূর্ব কখনওই মাথা নত করেনি। এটাই বাংলার ইতিহাস ও সময়ের দাবি।
গেরুয়া শিবির এখনও বুঝতেই পারেনি, কতকগুলো ঠুনকো পরিচয় ভেঙে টুকরো হয়ে বেরিয়ে আসা শক্তপোক্ত একটা আইডেন্টিটি— যার নাম, বাঙালিত্ব। বাংলার সামনে আজ শুধু বাঙালি-অবাঙালি লড়াই নয়, দু’টি সাংস্কৃতিক ধারণার লড়াই এখন মুখোমুখি। একদিকে মানবতা, অন্যদিকে অসভ্যতা। একদিকে শিষ্টাচার, অন্যদিকে কদর্য মিথ্যাচার। একদিকে সংস্কৃতি, অন্যদিকে অপসংস্কৃতি। একদিকে গণতন্ত্র, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ।
বিদ্বেষের বিষাক্ত রেপ্লিকা দেখিয়ে বাঙালিকে ভয় দেখানো যায় না!
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা