বিশেষ নিবন্ধ

বাংলা চুলোয় যাক, কাঁকড়ানীতি জিন্দাবাদ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

গণতন্ত্রে ‘ন্যায়’ আর ‘অন্যায়ের’ মধ্যে ফারাক কতটা? রাজনীতির নিরিখে দেখতে গেলে সবটাই আপেক্ষিক। ন্যায় এবং অন্যায়ের মতো বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের দিনগত পাপক্ষয়ের অঙ্গবিশেষ। কিন্তু সেটাই যখন রাজনীতির অলিন্দে প্রবেশ করে, দুটোই তখন এক মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। প্লেটোকে ধার করে বললে, ‘রাজনীতিতে অন্যায়ও যদি নিখুঁতভাবে পরিবেশন করা যায়, তাকে তখন সু-নীতি (গুড পলিসি) বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না।’ গণতন্ত্রের মোড়কে জাস্টিস-ইনজাস্টিস তখন মেখেটেকে একাকার হয়ে যাবে। আর মানুষও গুলিয়ে ফেলবে, কোনটা ঠিক। বাংলার হালও কতকটা তেমন। একটু ভালোভাবে তলিয়ে দেখলে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ‘পতনে’র পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালিদের কপালের ফের। প্রথম ধাক্কাটা মেরেছিলেন জওহরলাল নেহরু। স্বাধীনতার সূর্যোদয়ে ভাষণ দেওয়ার পর সবার আগে বাংলার প্রাপ্য করের ভাগ কমিয়ে দিলেন তিনি। ব্রিটিশ জমানায় দেশের করের ২০ শতাংশ প্রাপ্য ছিল বাংলার। কিন্তু হামাগুড়ি দেওয়া স্বাধীন সরকারের জমানায় সেটাই রাতারাতি হয়ে গেল ১২ শতাংশ। পাটশিল্পের প্রাপ্য দিনেদুপুরে ডাকাতির মতো ছেঁটে দেওয়া হল। যুক্তি কী ছিল? পাটচাষ তো হয় পূর্ববঙ্গে। সে চলে গিয়েছে পাকিস্তানে। ওই টাকার আবার দরকার পশ্চিমের আছে নাকি? নতুন মন্ত্রিসভা হয়েছে। সেখানে না আছে বাংলার কোনও প্রতিনিধি, না কোনও বাঙালি সচিব। অথচ, লোকসংখ্যা এবং জনঘনত্বের ভিত্তিতে কর ভাগাভাগির অঙ্ক স্থির করাটাই নিয়ম। সবথেকে বড় কথা, নানাবিধ শিল্প এবং সম্পদে পশ্চিমবঙ্গের অবদান তখনও ছিল দেশের মধ্যে প্রথম তিনের মধ্যে। তা সত্ত্বেও স্বাধীন ভারতের নতুন সরকার হেলাফেলা করেছিল বাংলাকে। অথচ বম্বের করের ভাগ ২০ থেকে বাড়িয়ে ২১ শতাংশ করা হয়েছিল, মাদ্রাজের ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। বাংলার প্রতিনিধি যাঁরা ছিলেন, অর্থাৎ আমাদের তৎকালীন এমপিরা বুক ঠুকে কংগ্রেসের সরকারের বিরোধিতা করার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেননি। তাঁরা হয়তো ভেবেছিলেন, আগে তো চাকরি বাঁচাই! স্বাধীনতার প্রথম বছর যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল, তা চলেছে সাত দশক পরও। বিধানচন্দ্র রায় মাঝে খানিক চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা ধর্তব্যে আনা হয়নি। কারণ, জওহরলাল নেহরু তখন বিশ্ব নাগরিক। রাষ্ট্রনেতা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির আঙিনায় লাল কার্পেট পাততে তিনি বেশি ব্যস্ত। বাংলার শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এখানকার মানুষ উদ্বাস্তু সমস্যায় ভুগছে, বা খেতে পাচ্ছে না... কিছুই আসে যায়নি তাঁর। একটি শব্দই তখন বাংলার মানুষের হাড়েমজ্জায় ঢুকে গিয়েছিল—বঞ্চনা। হাস্যকর বিষয় হল, এই শব্দটা এখনও বাঙালির পিঠে বেতাল হয়ে ঝুলছে। সে হাসছে আর বলছে, সঠিক তথ্য না দিলেই গলা কাটব। আর দিলে? এক ছুট্টে আবার ওই ‘অপ্রাপ্তি’র গাছের ডালে ঝুলে পড়ব। তখন শুরু করতে হবে আবার শূন্য থেকে। 
নামটাই শুধু বদলেছে। ৭৫ বছর আগে ছিল জওহরলাল নেহরু। আর এখন নরেন্দ্র মোদি। বাংলা ও বাঙালির হাল দুয়োরানির পর্যায় থেকে কিছুতেই উন্নীত হয়নি। হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। সেই একই পদ্ধতি... প্রাপ্য ছেঁটে দেওয়া, বকেয়া টাকা আটকে রাখা, অন্য রাজ্যকে পাইয়ে দিয়ে বাংলার জন্য উচ্ছিষ্ট বজায় রাখা এবং কোনও একটা অজুহাত পেলেই তিলকে তালগাছ বানিয়ে বিশ্ব দরবারে নিলামে তোলা। এটাই কি ঐক্য? নাকি বৈচিত্র্যের নামে স্বজনপোষণ? সেটাই বা বলি কীভাবে। বাংলার এই হালের জন্য যে বাঙালির থেকে বেশি দায়ী আর কেউ নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী জমানায় না হয় বাংলার হয়ে দরবার করার মতো তেমন কেউ ছিল না। প্রত্যেকেরই মেরুদণ্ড তলপেটে সেঁধিয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে এক-দু’জন সাংসদ এসেছেন। শরৎচন্দ্র বোস, ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গণি খান চৌধুরী, কিংবা আটের দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু ‘সরকারি এমপি’ হওয়া সত্ত্বেও সরকারের বিরুদ্ধে, নিজের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কারণ, তাঁদের কারও লক্ষ্য শুধুই নিজের আখের গোছানো ছিল না। বাংলার কথা, বাঙালির কথা তাঁরা ভেবেছিলেন। আর এখন? বাংলায় বসে যাঁরা রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করেন, তাঁদের অবস্থা মনিবের প্যান্টে মুখ ঘষা মার্জারের মতো। প্যান্টে গু লেগে থাকলেও তাঁদের পরোয়া নেই। যদি মনিব মাথাটা একটু থাবড়ে দেন, তাতেই স্বর্গপ্রাপ্তি। চুলোয় যাক বাংলা। উচ্ছন্নে যাক বাঙালি। তাতে তাদের কিছুই আসে যায় না। তাঁরা বিশ্বের দরবারে বাংলাকে জুতো মারতে বেশি আগ্রহী। কেন? কারণ একটাই—তাঁদের পার্টি এই রাজ্যে সরকার চালায় না। সন্দেশখালি নামে একটি দ্বীপে তিনটি ব্যক্তিকে ঘিরে বিক্ষোভের আঁচে তাঁরা গোটা বাংলাকে সেদ্ধ করতে মরিয়া। একটি দ্বীপ, দু’টি ব্লক, ১৬টা গ্রাম পঞ্চায়েত, মেরেকেটে সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। সমগ্র বাংলার বিচার এর নিরিখে হতে পারে? নাকি হওয়া উচিত? অন্য রাজ্যে তো বটেই, বিদেশে থাকা আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবরা কথা হলেই এখন মন্তব্য করছেন, ‘তোমাদের বাংলায় তো আগুন জ্বলছে! রেপ হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ...।’ সত্যি কি তাই? যে বাবুরা এই প্রচারের ধামা ধরে তৃণমূল সরকারের জামাকাপড় টানাটানি করছেন, তাঁরা একবারও ভাবার দরকার মনে করছেন না যে, এতে হেয় হচ্ছে বাংলা। বাঙালি। এবং তাঁরা নিজেরাও। ওই তথাকথিত রাজনীতিবিদরা ভাবছেন, গলায় উত্তরীয় ঝুলিয়ে, আর ভুঁড়ি দুলিয়ে ‘রাষ্ট্রপতি শাসন চাই’ বলে কুকথার ফুলঝুরি ছোটালেই কেল্লা ফতে। তাঁরা এ কথা বলবেন, আর তাঁদের মোসাহেব কিছু সংবাদমাধ্যম তা প্লেটে সাজিয়ে গুছিয়ে দুনিয়াদারির সামনে পেশ করবে... এটাই তো এখনকার ঘোর বাস্তব! মার্কেটিংয়ে একটা কথা আছে—বারবার মিথ্যেকে নিপুণভাবে পরিবেশন করতে থাকলে সেটাও দিনের শেষে সত্যি বলে মনে হয়। মাথায় খানিক স্নেহের থাবড়া পাওয়ার আশায় বঙ্গ বিজেপির হর্তাকর্তারা সেই ডিমেই তা দিয়ে চলেছেন। তাঁদের তোষামোদকারী কিছু মাধ্যম সন্দেশখালি যাচ্ছে, বিক্ষুব্ধ মানুষের হাতে স্ক্রিপ্ট ধরাচ্ছে আর বলছে, ‘এটা বলুন... টিভিতে আপনাকে তাহলে দেখানো হবে।’ মাধ্যমওয়ালারাও ভাবছে, 
এই তো টিআরপি বাড়ছে, এই তো ‘ভিউ’ চড়ছে স্টোরির। কিন্তু কীসের বিনিময়ে? তাঁর জন্ম এবং কর্মভূমির সম্মানের বদলে নয় কী? ক্ষমতাপ্রাপ্তির নেশায় ছুটতে থাকা বঙ্গ বিজেপি বুঝছে না, এতকিছুর পরও উনিশের লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান 
তাঁরা ছুঁতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা বাংলার কমেনি। আগামী কয়েক বছরে কমবে বলেও মনে হয় না। তাই চব্বিশের ভোটে মোদি 
হাওয়া আরও একবার বাড়াতে পারলেও বিজেপির আসন সংখ্যা ১১-১২’র উপর যাবে না। 
সন্দেশখালিতে যে প্রশাসনিক দুর্বলতা গত চার পাঁচ বছরে বেড়েছিল, সে ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। পুলিস-প্রশাসন যদি অভিযোগ নিত, জমি নিয়ে যে মাফিয়াগিরি শুরু হয়েছিল, তার শিকড়ে আঘাত হানত, বিক্ষোভের বিস্ফোরণ এমন হতো না। ঘুণপোকা বাড়তে দিলে ঘরের সর্বত্র তার অবাধ বিচরণ হবেই। খেয়ে নেবে সে একের পর এক সম্পদ। সেটাই হয়েছে। আজ ওই এলাকায় যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা কেউ আরএসপি, কেউ সিপিএম, কেউ আইএসএফ, কেউ বিজেপি, আবার কেউ তৃণমূল। তিনমূর্তি প্যাঁচে পড়তেই মানুষ সেখানে একজোট হয়েছে। সাহস পেয়েছে মাথা তুলে দাঁড়ানোর। এখানে রাজনীতি নেই, আছে শুধু অধিকারের লড়াই। আর একটা আর্তি, ‘দিদি একবার নীচের দিকে তাকান। আমাদের দিকে তাকান।’ 
কিন্তু না, মাননীয় কিছু ভেকধারীর এখানে রাজনীতি চাইই চাই। তাঁরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন, কলকাঠি করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন, চোর স্লোগানে গলা ফাটিয়েছেন, তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মজবুত ইস্যু খাড়া করতে পারেননি। সন্দেশখালি তাঁদের কাছে সেই অস্ত্র। বাংলা বা বাঙালি নয়, রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধিই তাঁদের জন্মের উদ্দেশ্যে। তাই দু’টি ব্লক দিয়ে তাঁরা গোটা রাজ্যের বিচার করেন এবং মানব সমাজের সামনে বাংলার হেনস্তায় আমোদ পান। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলে, দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ধর্ষণ হয় রাজস্থানে। ২০২১ সালে সংখ্যাটা ছিল ৬ হাজার ৩৩৭টি। মনে রাখতে হবে এগুলো পুলিসের খাতায় নথিভুক্ত। এমন বহু ঘটনা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে ঘটে চলেছে, যার খবর থানা পর্যন্ত পৌঁছয় না। বা পৌঁছলেও পুলিস তা নিতে চায় না। খুনের হিসেব কষলে উত্তরপ্রদেশকে টেক্কা দেওয়া মুশকিল। কারণ কী? জমি বিবাদ, পারিবারিক সমস্যা, নারীঘটিত ঝামেলা, সম্মান রক্ষার অজুহাতে খুন। এরপরও কি এই নেতারা একবারের জন্য রাজস্থান বা উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান? বাংলার পরিস্থিতি কি তার থেকেও খারাপ? আসলে তা নয়। বঙ্গ বিজেপির ওই শ্রেণিটি বাঙালি সম্পর্কে চিরকালীন প্রবাদটা প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁরা তেড়েফুঁড়ে বলতে চাইছেন, ‘আমরা কাঁকড়ার জাত। ভালোটা কিছুতেই দেখব না।’ জাতীয় গড়ের চেয়ে বাংলার বেকারত্বের হার কম? তাতে কী? এই রাজ্যের মানুষের হাতে টাকার জোগান আছে, অর্থনীতি ধুঁকছে না, স্কুলছুট কমেছে, কন্যাদায়গ্রস্ত বাবারা দরজায় দরজায় মাথা কুটছে না, তাতে ঢাক পেটানোর কিছু আছে নাকি! আমরা মুখে জওহরলাল নেহরুর নিন্দা করতে পারি, বাস্তবে তাঁরই বাধ্য ছাত্র। কোনও শুভ কাজে নামার আগে বাংলার গায়ে কয়েকটা আঁচড় কেটে দাও। ঠিক যেমনটা কংগ্রেস ৭৫ বছর আগে ক্ষমতায় এসেই করেছিল। 
মাথাপিছু আয়ে যে বাংলা স্বাধীনতার সময়ও দেশের মধ্যে এক নম্বরে ছিল, বঞ্চনার অভিঘাতে কয়েক বছরেই সেই রাজ্য নেমেছিল তিন নম্বরে। আর তারপর ছয়। চতুর্থ যোজনা কমিশনে বাংলার জন্য মাথাপিছু খরচ ধরা হয়েছিল ৬৯ টাকা। জাতীয় গড়ের তুলনায় ১০০ টাকা কম। নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বঙ্গের অনুগত দাসানুদাসদের এরপরও নেহরুর সুযোগ্য ছাত্র বলব না? নেহরু আন্তর্জাতিক নেতা হয়েছিলেন। দেশের অসহায়, বেকার, খেতে না পাওয়া মানুষগুলোর তুলনায় তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পেত আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য নিয়ে ভাষণ দেওয়া। আমাদের নরেন্দ্র মোদিও আজ রাষ্ট্রগুরু। বিশ্বগুরু। আর বাংলা এখনও পড়ে আছে বঞ্চনার সেই পাঁকেই। কৃষি, পাট, চা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি নয়... সোনার বাংলা দেশ আর বিদেশের কাছে প্রচার পেয়েছে মিছিল, ধর্মঘট, লক আউটের রাজ্য হিসেবে। আর তারপর নকশাল আমল। ৫০ বছরেও সেই নেতিবাচক প্রচারের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পাইনি। সেই আন্দোলন না হয় সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু সন্দেশখালি?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি ছবি গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বছর দশেকের ছেলেটি হেঁটে চলেছে। আর তার পিঠে বাঁধা একরত্তির দেহ। সৈনিক তাকে বলেছিলেন, অনেক দূর যেতে হবে। কেন মৃতদেহ বয়ে বেড়াচ্ছ? নামিয়ে দাও। ছেলেটি উত্তর দিয়েছিল, মৃতদেহ নয়, ও আমার ভাই। কেঁদে ফেলেছিলেন সেই সৈনিক। মৃতদেহ আর ভাইয়ের মধ্যে যে ফারাকটা যে আকাশ আর পাতালের, সেটা জাপানের একটা ১০ বছরের শিশুও বোঝে। তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও জাপান ঘুরে দাঁড়ায়। উন্নতির শিখরে ওঠে মাত্র কয়েক দশকে। আর আমরা? রাজনীতি করি। ‘ভাই’ হয় আমাদের ধর্মে, প্রয়োজনে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়াই করি না। কেউ উপরে উঠলে তার পা কামড়ে নীচে টেনে নামাই। কাঁকড়ার চরিত্র কোথায় যাবে? তাই গামলার ডালা খোলা রাখলেও অসুবিধা নেই। নেত্রী উঠতে চাইলে দাদা তাঁকে টেনে নামাবেন। আর বাংলা থাকবে অন্ধকারেই। ততক্ষণ আমাদের বিশ্বগুরুরা মন্দির বানাবেন, আর প্রদীপ জ্বালাবেন। এ দেশে ভোট এখনও যে হয় ধর্ম আর জাতপাতেই!
5Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা