দক্ষিণবঙ্গ

ছোট সভাস্থল, মোদিকে এক ঝলক দেখেই অনেকে ধরলেন ফেরার পথ

অগ্নিভ ভৌমিক, কৃষ্ণনগর: বসন্তের আবহাওয়া বদলে গিয়েছে। কাঠাফাটা রোদে গ্রীষ্মের ছোঁয়া। কিছুক্ষণ বাদেই সভাস্থলে এসে হাজির হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর কাটছে। দর্শকাশনের পাশ দিয়েই হুডখোলা গাড়ি চেপে পৌঁছবেন মঞ্চে। প্রায় আড়াইবছর পর প্রধানমন্ত্রীকে দেখেতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকরা আসছেন কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে। সভাস্থল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই ছোট করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে সভাস্থলে ঢুকতে না পারায় হতাশ হয়েছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা কর্মী-সমর্থকরা। কৃষ্ণনগর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কোনও কথা শুনতে না পাওয়ায় তাঁদের হতাশা আরও বেড়েছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ১১টা। মাঠে তখন করতালি আর উচ্ছ্বাস। রাস্তায় দাঁড়ানো লোকজনও বুঝতে পারলেন, নরেন্দ্র মোদি এসে গিয়েছেন। কলেজের মাঠের পাঁচিলের ফাঁক দিয়ে কোনওরকমে একঝলক দেখলেন তাঁরা। কেউ আবার পাশের লোকের মুখের কথাতেই মোদির আগমন নিয়ে আশ্বস্ত হলেন। ব্যাস, তারপরই বদলে গেল সভার বাইরের ছবিটা। মাঠের ভিতরে যখন ‘স্বাগতম মোদি’র স্লোগান উঠছে। আর বাইরে সটান উল্টো দিকে হাঁটা লাগাচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। সকলেরই যেন ফিরে যাওয়ার তাড়া। ভীমপুর থেকে এসেছিলেন নিমাই মণ্ডল। 
তিনি বলেন, যা ভিড় সভাস্থলে তো ঢোকাই যাবে না। আর বাইরে থেকেও কিছু দেখা যাবে না। মাঠ ছোট করে দিয়েছে। তাই চলে যাচ্ছি।  
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময়েও মাঠের বিভিন্ন গেটে সেই একই ছবি। গভর্নমেন্ট কলেজ সংলগ্ন মাঠের গেট দিয়ে বহু মানুষকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তাঁদের অনেকেই জানান, মোদিকে দেখতে এসেছিলেন। ভিড়ের মধ্যে দূর থেকে কোনওরকমে দেখেই ফিরে যাচ্ছেন। 
মোদির ভাষণেও এদিন জেলার জন্য কোনও চমক ছিল না। যা কর্মী-সমর্থকদের আরও হতাশ করেছে। জেলা বিজেপির অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেললাইনের প্রসঙ্গ শোনা যাবে। কিন্তু, আদতে তা হয়নি। এমনকী সিএএ নিয়েও কিছু বললেনি, যা কর্মীদের পাশাপাশি নেতৃত্বকেও আশাহত করেছে। নদীয়ার বিজেপির এক নেতার কথায়, আমরা ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী কিছু বার্তা দেবেন। কিন্তু, সেরকম কিছুই বললেন না। শুধু বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল দুর্নীতি মানুষের কাছে তুলে ধরতে বলেছেন। তেমনটাই করব। 
শনিবার সকালেই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করেন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। করিমপুরের দোকানে ডালপুরি খেতে তিনি আহ্বান জানন। তিনি লেখেন, ‘মাই ফেভারিট প্রধানমন্ত্রীজি, আসুন না একটু খেয়ে যান!’ এব্যাপারে মহুয়া মৈত্র বলেন, সারা বছর পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় না‌। শীতকাল এলে বিভিন্ন ঝিলে তাদের উড়তে দেখা যায়। ভোট এলে মোদিজিও বাংলা শিখতে বাংলায় আসেন। তারপর আর দেখা পাওয়া যায় না।
4Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা