দক্ষিণবঙ্গ

শহরে ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ গেল বৃদ্ধের, ‘কুম্ভকর্ণ’ কাটোয়া পুরসভা

সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া শহরের রাস্তা দখল করে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোরু, ষাঁড়। ব্যস্ততম রাস্তায় তাদের দাপাদাপিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পথচারী থেকে গাড়ির চালকরা। একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনাও। ষাঁড়ের তাণ্ডবে প্রায়ই জখম হচ্ছেন মানুষজন। এবার কাটোয়া স্টেশন রোডে ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ গেল এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর। শুক্রবার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁকে গুঁতো মারে ষাঁড়টি। জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। গোরু, ষাঁড় নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা, অথচ প্রশাসন নির্বিকার ‘কুম্ভকর্ণ’। 
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হাজি বদরে আলম চৌধুরী (৬৫)। তাঁর বাড়ি কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম আবাসন পাড়ায়। প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে স্টেডিয়াম পাড়ায় পোস্টার সাঁটিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমেও সোচ্চার হচ্ছেন অনেকে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ হাজি সাহেব পেনশন তুলে কাছারি রোড ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী ছিলেন। স্টেশন বাজার এলাকায় আসতেই তাঁকে একটি ষাঁড় গুঁতো মারে। তাঁর ডান চোখ ও বুকে গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাজি সাহেবের প্রতিবেশী শেখ আতর আলি বলেন, ওই এলাকা ষাঁড় ও গোরুতে ভর্তি। রাস্তায় চলাফেরা করতে ভয় লাগে। আমরা ষাঁড়ের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চাই।
কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা বলেন, আমরা শীঘ্রই ষাঁড় নিয়ে ব্যবস্থা নেব। ষাঁড়ের গুঁতোয় মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ইতিমধ্যেই বারাসতের এক এনজিও-র সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে সেখানে ষাঁড়টিকে পাঠানো যায়। আর গোরুগুলি নিয়ে আমরা থানায় পুলিসের সঙ্গে কথা বলব। 
বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত রাস্তা থেকে গোরু সরাতে ব্যবস্থা নিক পুরসভা। স্টেডিয়াম আবাসন এলাকার বাসিন্দা সুব্রত চৌধুরীও এর আগে ষাঁড়ের গুঁতোয় জখম হয়েছিলেন। তিনি তখনই পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ষাঁড়ের গুঁতোয় শহরে ২০ জনের বেশি জখম হয়েছেন। কেউ কেউ মৃত্যুর সঙ্গে এখনও লড়াই করছেন। তবে ষাঁড়কে ধরার এক্তিয়ার বনদপ্তরের নেই বলে জানা গিয়েছে।  কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজার, কাছারি রোডে গোরুর জন্য প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, কাটোয়া স্টেশন ঢুকতে সন্ধ্যা নামলেই গোরুর পাল দখল নেয় এলাকার। রাতের অন্ধকারে রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকায় ভুগতে হচ্ছে পথচলতি মানুষকে। কাটোয়া শহরের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, গোরুগুলি রাস্তা আগলে থাকায় অ্যাম্বুলেন্সের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের ‘কুম্ভকর্ণ নিদ্রা’ কবে ভাঙবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা।  কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজারের রাস্তায় এভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে গোরু ও ষাঁড়।-নিজস্ব চিত্র
7Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা