দক্ষিণবঙ্গ

ধান কেটে ঝাড়িয়ে বস্তাবন্দি করছে যন্ত্র 

সংবাদদাতা, কাটোয়া: আমন ধান কাটার মরশুম শুরু হয়েছে পুরোদমে। সেই  কাজে হারভেস্টর মেশিনের ব্যবহার বাড়ছে। জমিতে নিমেষের মধ্যে বিঘার পর বিঘা জমির ধান কেটে ফেলছে এই মেশিন। ফলে কাজ হারাচ্ছেন শ্রমিকরা। কাটোয়া স্টেশন চত্বরে শ্রমিক হাটে শ্রমিকের ভিড় থাকলেও দেখা মিলছে না চাষিদের। ধান কাটার মরশুমে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভিন জেলার শ্রমিকরা। অল্প খরচে হারভেস্টর যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কাজ কমছে শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, ফি বছর কৃষিকাজের জন্য মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া থেকে শ্রমিকরা কাটোয়া স্টেশনে এসে জড়ো হন। কাটোয়ায় এটাই কার্যত অলিখিতভাবে ‘শ্রমিক হাট’ নামে পরিচিত। আর পূর্ব বর্ধমান জেলার পাশাপাশি বীরভূম, হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাষিরা এখান থেকেই শ্রমিকদের কাজের জন্য নিয়ে যান। মজুরি সহ সমস্ত কিছু মৌখিক চুক্তি করে এখান থেকেই শ্রমিকদের বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। আমন ধান কাটার মরশুমে এবার ভিন জেলা থেকে প্রচুর শ্রমিক এসেছেন। তবে সেই তুলনায় চাষিদের দেখা মিলছে না। আর তাতেই শ্রমিকদের দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকার বুদুরপাড়া গ্রামের শ্রমিক মিনারুল ইসলাম, ডোমকল থানা এলাকার শ্রমিক সৌরভ মণ্ডল, হাবিবুর বিশ্বাস বলেন, আগে যা চাষি আসত। সেই তুলনায় শ্রমিক মিলত না। আর এখন সেই ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে। শ্রমিক এলেও চাষিদের দেখা মিলছে কম। তার কারণ একটাই, সবাই মেশিনে ধান কাটছেন। ধান কাটা থেকে ঝাড়াই মেশিনেই হয়ে যাচ্ছে। আবার মাঠ থেকে ট্রাক্টরে ঝাড়াই ধান চাষির বাড়িতে চলে আসছে। তাই আর আমরা সেভাবে কাজ পাচ্ছি না। যেসব জমিতে মেশিন যাওয়ার সুযোগ নেই৷ শুধু সেইসব এলাকার চাষিরা আসছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার আরেক শ্রমিক রহমান বিশ্বাস বলেন, আমরা বেশির ভাগই কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করি। কিন্তু নভেম্বর মাস কেরলে বর্ষা। তাই এখন সেখানে কাজ হয় না। সেই কারণে এই দু’মাস আমরা চাষের কাজের খোঁজে কাটোয়াতে আসি। কিন্তু আগামী দিনে মনে হচ্ছে আমাদের আর দরকার হবে না।  জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমায় ফি বছর গড়ে প্রায় ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটের চাষিদের একাংশ জানান, মেশিনে ধান কাটতে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১২০০ টাকা। আর সেই জায়গায় শ্রমিক দিয়ে বিঘা প্রতি ধান কাটতে খরচ হয় সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। কারণ বিঘা প্রতি জমিতে ধান কেটে জড়ো করতে শ্রমিক লাগে ১০ থেকে ১২ জন। তাছাড়া এখন শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দৈনিক ৪০০, ৪৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি দাবি করছেন শ্রমিকরা। চাষের খরচ বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় ধানের দাম বাড়ছে না। তাই বিকল্প হিসাবে মেশিনে ধান কাটার দিকেই ঝুঁকছেন বেশির ভাগ চাষি। 
কাটোয়া স্টেশনে শ্রমিক হাটে শ্রমিকের খোঁজে আসা চাষি শেখ বদরুদ্দোজা, রাজেশ ঘোষ বলেন, ধান রোয়ানোর জন্য শ্রমিক নিয়ে যাই। তবে মাঠে বেশির ভাগ জমির ধান আমরা মেশিনে কেটে ফেলেছি। শুধু জোলের মাঠে মেশিন ঢুকবে না বলে কাঠা খানেক জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিক নিতে এসেছি। চাষের খরচ কমাতেই মেশিন ব্যবহার করছি।
8Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা