বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

কন্ট্রোল রুম খুলে প্রস্তুতি প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর, তমলুক ও ঝাড়গ্রাম: পুজোর আগেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায়। বৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে সুবর্ণরেখা, শিলাবতী, কংসাবতীর জল। প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১২০০ ত্রাণ শিবির প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিসের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ঘাটাল ব্লকের মনশুকা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, ঘাটাল পুরসভার ১০টি ওয়ার্ড, চন্দ্রকোণা-১, ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঝুমি নদীর জলস্ফীতির কারণে বহু রাস্তঘাট ডুবে গিয়েছে। রূপনারায়ণ নদে জলের স্রোত ক্রমশ বাড়ায় বন্দর খেয়াঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলি জেলার একাংশের বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। মঙ্গলবার ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি ও পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার। 
তাঁরা বলেন, পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রেখেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ঘাটাল ছাড়াও কেশপুর, সবংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় যেতে শুরু করেছে। সুবর্ণরেখার জল বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি, দাঁতন, মোহনপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, পাঁশকুড়া, তমলুক, নন্দকুমার, কোলাঘাট ও ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল এলাকায়। এদিকে মঙ্গলবার দিনভর প্রবল বৃষ্টিতে একাধিক মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের শ্যামগঞ্জে একটি তিনতলা মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। মাটির দেওয়াল ধসে যাওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় ২৭টি পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার প্রজাবাড় ও রামচন্দ্রপুরে কংসাবতী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায়। তাতে নদীপথে ময়না-পাঁশকুড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চণ্ডীয়া নদীতে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। সেই কারণ ময়নার বিস্তীর্ণ এলাকায় নিকাশি ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টির জমা জলে তিন জেলার বহু রাস্তাঘাট, চাষের জমি জলের তলায় গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ফুল চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তানভির আফজল বলেন, আমরা ২৪ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খুলেছি। প্রশাসন সব রকমভাবে প্রস্তুত। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। প্রতিটি দপ্তরের অফিসাররা জেলাশাসকের অফিসের কন্ট্রোল রুমে বসছেন। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তিন জেলায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৮৭০টি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় তিনশোর বেশি ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় এক লক্ষ ও পূর্ব মেদিনীপুরে পায় ৯০ হাজার ত্রিপল মজুত রয়েছে। এছাড়াও তিন জেলাতেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিম। সাপের কামড়ে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত প্রতিষেধক মজুত রাখা হয়েছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল প্রস্তুত রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।  বাড়ছে কাঁসাইয়ের জল।-নিজস্ব চিত্র

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ