বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

প্রশাসনকে বৈঠকে ডেকেও
গরহাজির উপাচার্য, ক্ষোভ
পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

সংবাদদাতা, বোলপুর: পূর্বপল্লির মাঠে এ বছর পৌষমেলার আয়োজনের আশা কার্যত শেষ। শনিবার শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে মেলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায় সহ পুলিস ও পুর প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। কিন্তু জেলা প্রশাসনকে বৈঠক ডেকেও শারীরিক অসুস্থতার ‘অজুহাত’ দেখিয়ে গরহাজির থাকলেন খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফলে তার অনুপস্থিতির কারণে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা বৈঠক ছেড়ে হয়ে বেরিয়ে যান। ভেস্তে যায় পৌষমেলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। উপাচার্যের এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও জেলাশাসক বিধান রায়। সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সেই ক্ষোভ চাপাও রাখেননি জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতী মেলা আয়োজন না করলেও পৌষমেলার বিকল্প স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হবে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দানেই। সেখানেই আয়োজন করা হবে মেলার।’ উপাচার্যের এমন নেতিবাচক ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, প্রাক্তনী, আশ্রমিক থেকে শুরু করে বোলপুরবাসী। 
পূর্বপল্লির মাঠ সংলগ্ন বিশ্বভারতীর জলাশয়গুলি কচুরিপানাতে পূর্ণ। সেই কারণেই মেলা আয়োজন সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তা সত্বেও এবছর পৌষমেলা নিয়ে প্রথম থেকেই সদর্থক মনোভাবে নিয়ে এগিয়েছিল বোলপুর পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। জলাশয় সংস্কার থেকে মেলা পরিচালনা সব কিছুর দায়িত্ব নিতে তারা রাজি ছিল। কিন্তু, প্রথম থেকেই মেলার বিষয়ে গড়িমসি করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুরসভা ও শান্তিনিকেতন বাঁচাও কমিটি বারবার চিঠি দেওয়ার প্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আহ্বান করে বিশ্বভারতী। তারই প্রেক্ষিতে এদিন বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী ও জেলাশাসক সহ বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সুরজিৎ কুমার দে এবং পুরসভার প্রতিনিধিরা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিস বাহিনীও মোতায়েন ছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে উপাচার্য বার্তা পাঠান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বৈঠকে যোগদান করতে পারবেন না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে মন্ত্রীসহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। জেলাশাসক বলেন, ‘আমরা ওঁর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছি। এমনকী, ফোনও করেছি। কিন্তু ন্যূনতম সৌজন্য দেখিয়ে সাড়া দেননি। নিরাপত্তা নিয়ে ওঁর আশঙ্কা অমূলক ও ভিত্তিহীন। প্রচুর পুলিস মোতায়েন ছিল। ওঁর আচরণ অবমাননাকর। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তবে মেলা হবে। এবং তা রবীন্দ্র ঐতিহ্য মেনেই করা হবে।’ 
চন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘আমরা জানি উনি মেলা করতে চাননি। তাই ওঁর একটা অজুহাত খাঁড়া করার দরকার ছিল। সেজন্য বৈঠক ডেকে নিজেই ঘরে বসে থাকলেন। উপাচার্য ও তাঁর উপরে যারা রয়েছেন, তাঁরা পৌষমেলা, বসন্ত উৎসবের মত ঐতিহ্যগুলি নষ্ট করতে চাইছেন। বাংলা থেকে বিশ্বভারতীকে আলাদা করার চক্রান্ত আজ পরিষ্কার হয়ে গেল। তবে আমরা তৈরি রয়েছি। ডাকবাংলো ময়দানে মেলা আয়োজন করব। তবে উপাচার্য যদি ফের আন্তরিকতার সঙ্গে আহ্বান করেন, আমরা  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।

27th     November,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ