অমৃতকথা

ভক্ত

ঈশ্বর মন দেখেন। তিনি ভাবগ্রাহী জনার্দন। ভক্তের অন্তরের আকুতিটি তাঁর বড় প্রিয়। সেটি তাঁর চরণে ঠিক মত সমর্পিত হলে, তা সে যত দীনই হোক না কেন, তিনি প্রসন্ন হয়ে সে দীন নিবেদন গ্রহণ ক’রে ভক্তকে ধন্য করেন। আর তাঁর সেই প্রসন্নতাই ভক্তের অন্তরে সঞ্চার করে দিব্য আনন্দের স্পন্দন। ভক্ত হৃদয় তখন অকল্পনীয় পাওয়ার আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে। আমরা কত সময় কত দান উপহার গ্রহণ করি। কিন্তু নিবেদনকারীর অন্তরকে এমন ‘সব পেয়েছি’র স্বর্গীয় আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারি কি? তাই receive বা গ্রহণ করা কথাটা সহজ মনে হলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বড় শক্ত কথা। গ্রহণের মধ্য দিয়ে শূন্য ঘট পূর্ণ করতে তিনিই পারেন। মানুষের অসাধ্য। ভগবানের পক্ষেই তা সম্ভব। আর সেই অলৌকিক সম্ভবের কত না জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত দেখার ও অনুভব করার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল ভগবান সত্যানন্দের চরণতলে বসে তাঁর প্রকট লীলা বিলাস দর্শন কালে। আজ তারই দু’একটি স্মৃতিচারণ ক’রে মনটাকে আবার সেই পরম পাওয়ার অনিন্দ্য আনন্দে ভ’রে তোলারই এখানে বিনম্র প্রয়াস।
বরানগর আশ্রম। রাত্রের আরতির পর গঙ্গার ধারের বারান্দায় বসে সেদিন ঠাকুর কথামৃত পাঠ ও আলোচনার অবসরে ডেস্কের ওপর প্যাডের কাগজে কিছু লিখছেন একটি ছোট্ট ঝর্ণা কলম দিয়ে। ডেস্কের পাশে রাখা আছে একটি কলমের বড় বাক্স। লেখার শেষে বলছেন ঠাকুর, “কলমের ওপর আমার খুব সখ ছিল ছোটবেলায়। তো দেখ, এখন কত রকমের দামী দামী সব কলম এসে গেছে। সবই ভক্তরা present করেছে। শুধু এদেশের নয়, বিদেশেরও কত নামী দামী সব সুন্দর সুন্দর কলম। এই দেখ, বলে আনন্দ ক’রে এক একটা তুলে তুলে দেখাচ্ছেন ভক্তদের। একটা কলমের ডগায় একটা ছোট্ট ঘড়ি ফিট্ করা। ওটা দেখিয়ে বললেন, “দেখছ, কেমন ঘড়ি ফিট্ করা রয়েছে! কলমটাতে ছিল না। আলাদা ভাবে করিয়ে নিয়েছি স্যাকরাকে দিয়ে। একদিন ভাবলাম কলমের সঙ্গে যদি একটা ঘড়ি থাকে তো লেখার সময়, সময় দেখার জন্য ঘড়ির খোঁজ করতে হয় না। তাই এরকম একটা করিয়ে নিলাম। এ ধরণের কলম আবিষ্কার হলে কত সুবিধা বল তো?” এর বহু বছর পরে প্রবাসী এক ভক্ত যাদবপুর দেবায়তনে এসে শ্রীঅর্চনা মাকে ইলেকট্রনিক ঘড়ি ফিট্ করা সুন্দর একটি কলম উপহার দিয়ে গেলেন। কলমটি দেখা মাত্র ঠাকুরের সেদিনের স্মৃতিটি মনে ভেসে উঠল। আর ভেবে অবাক হলাম যে, সত্যানন্দব্রহ্ম-মনে কত বছর আগে ঠিক এমনি একটি কলম রূপ নিয়েছিল যা বাস্তবায়িত হল এতদিনে। যাক্, যে কথা বলছিলাম। এসব নানা ধরণের সুন্দর সুন্দর কলম দেখাবার পর ঠাকুর যে ছোট্ট কলমটি দিয়ে লিখছিলেন সেটী এবার হাতে নিয়ে খুব আনন্দ ক’রে বলছেন, “আর এই ছোট্ট কলমটা দেখছ, এটা খুব সুন্দর। দিশী কলম। 
স্বামী হীরানন্দের ‘আলোর দেবতা সত্যানন্দ’ থেকে
11d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৬ টাকা১১১.৮৬ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা