সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
ব্র্যান্ডেড কোম্পানি বা যেকোনও বুটিকে হাল ফ্যাশনের পোষাক বানানোর জন্য যেমন কারিগর প্রয়োজন হয় , তেমনই তার ডিজাইন তৈরি করার জন্যও ফ্যাশন ডিজাইনার দরকার। বাচ্চা থেকে বড় মানুষ সবাই হাল ফ্যাশন করতে চায়। সে কারনে ফ্যাশন ডিজাইনারদের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফ্যাশন ডিজাইনিং এর মধ্যে শুধুমাত্র পোষাক সংক্রান্ত বিষয় থাকে এমন নয়। এর মধ্যে থাকে লেদার ডিজাইন, অ্যাকসেসরি ডিজাইন, টেক্সটাইল ডিজাইন, নিটওয়্যার ডিজাইন সহ ফ্যাশন কমিউনিকেশনের মতো বিষয়গুলি। আবার ফ্যাশন টেকনোলজির মধ্যে রয়েছে কেমন ধরনের পোষাক আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন হবে, কোন ধরনের অনুষ্ঠানে সেটি ব্যবহার করা যাবে প্রভৃতি। যদিও ফ্যাশন টেকনোলজি হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পড়িয়ে থাকে।
উচ্চমাধ্যমিক পড়া শেষে বৃত্তিমূলক কাজের মধ্য থাকতে চাইলে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের উপর কোন কোর্স করে নেওয়া যায়। আর এক্ষেত্রে রঙ সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান থাকলে কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা মেলে। ফ্যাশনকে পেশা হিসাবে নিয়ে এবং তার বাণিজ্যকরন করেন ফ্যাশন বিপননকারীরা। এর মধ্যে থাকে কেতাদুরস্ত জামা কাপড় আবার কস্টিউম জুয়েলারি, ব্যাগ, ঘড়ি প্রভৃতি। এধরনের ব্যবসায়ী হতে গেলে হালফিলের ফ্যাশন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখতে হবে। ফ্যাশন ডিজাইনার হতে গেলে বা ফ্যাশন মার্চেনডাইজার হতে গেলে এরাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি কোর্স করে নেওয়া যায়। এরাজ্যে বেশ কতগুলি বেসরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন ডিজাইন এবং অ্যাপারেল ডিজাইন নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন বছরের ব্যাচেলর অব ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাপারাল ডিজাইন পড়ানো হয়। ভর্তির জন্য প্রয়োজন যেকোনও শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশ। ভোকেশনালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হলেও অবেদন করা যায়। মাধ্যমিক পাশ করে ফ্যাশন ডিজাইনিং-এর ডিপ্লোমা কোর্সও করে নেওয়া যায়। কোর্সের মধ্যে থাকে বিশেষতঃ প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের পোষাক, গয়না বা অনুসঙ্গিক উপকরণ তৈরি, ফ্যাশন ইলাস্ট্রেশন, প্যাটার্ন মেকিং, গার্মেন্ট অ্যাসেম্বব্লিং, কম্পিউটার গ্রাফিক্স সহ বহুবিধ বিষয়।
স্বনির্ভর হয়ে কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করে ফ্যাশন ডিজাইন। ফ্যাশন হাউজগুলিতে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায়। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক পোষাক তৈরি করে যেসব ইউনিটগুলি সেখানেও কাজের সুযোগ মেলে। এসব জায়গায় কাজের সুযোগ রয়েছে প্রোডাকশন ম্যানেজার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসাবে। এছাড়াও ফ্যাশন মার্কেটিং, প্রোডাকশন প্ল্যানিং এবং কোয়ালিটি কন্ট্রেোল, ফ্যাশন স্টাইলিং, ফ্যাশন ইলাস্ট্রেশন এবং ফ্যাশন ফটোগ্রাফির মতো জায়াগায় কাজ করা যায়।