জি বাংলা সারেগামাপা-এর জন্য এবার কলম ধরলেন শ্রীজাত। এর আগে শ্রীজাত বাংলা ছবি কিংবা অ্যালবামের জন্য গান লিখেছেন। কিন্তু সারেগামাপাতে তো সাধারণত জনপ্রিয় বা প্রচলিত গানই গাওয়া হয়।
হেঁসেলকে হাতিয়ার করে হনলুলু থেকে হংকং, হায়দরাবাদ থেকে হাতিবাগান, সাততারা হোটেল বা সাবেক পলেস্তরা খসা রেস্তোরাঁ, প্রায় সব জায়গাতেই এখন মহিলারাও পুরুষ শেফদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রসনা-বিপ্লব ঘটাচ্ছেন।
জঙ্গলের পরিবেশ। একটা ঘরের সামনে দুটো গাছে টান করে গোলাপি রঙের একটা দোলনা টাঙানো। তাতে পা ঝুলিয়ে বসে দোল খাচ্ছেন ঊষসী চক্রবর্তী। তাঁর পরনেও গোলাপি রঙের পোশাক। না, এটা কোনও ছবির দৃশ্য নয়। প্রবল গরমে যখন শহরবাসীর নাভিঃশ্বাস উঠছে, তখন উত্তরাখণ্ডের ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল পরিবেশে ছুটি কাটাচ্ছেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী।
একটা বা দুটো নয়, চলতি মাসে সায়নী ঘোষ অভিনীত তিনটে ছবি মুক্তি পেতে চলেছে— ‘রং নাম্বার’, ‘অতিথি’ ও ‘সাক্ষী’। এখন আর আগের মতো ছবির বাজার নেই। অভিনেতারাও বেছে বেছে ছবি করেন। সেখানে একই মাসে নির্দিষ্ট অভিনেতার তিনটে ছবি মুক্তি পাওয়াটা সুখবরই বটে।
আজ থেকে ১২ বছর আগে দর্শক কাঁপানো সেই কমেডি থ্রিলারের কথা মনে আছে? ঠিকই অনুমান করেছেন। ‘ভুল ভুলাইয়া’র কথাই হচ্ছে। ছবিতে অসামান্য অভিনয় করেছিলেন অক্ষয়কুমার, বিদ্যা বালন, শাইনি আহুজা, আমিশা প্যাটেল এবং তাঁদের সঙ্গে অভিনয়ে পাল্লা দিয়েছিলেন পরেশ রাওয়াল, মনোজ জোশি, রাজপাল যাদব, বিক্রম গোখলে প্রমুখ।
উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এই দেব আর রাজনীতিতে নবাগত নন। বরং অনেক পরিণত। রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে যখন শাসক আর বিরোধী দু’পক্ষেরই তরজা চরমে, তখন ঘাটাল থেকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসা দীপক অধিকারীর সৌজন্যবোধের প্রশংসা সকলের মুখে। গত রবিবারই তাঁর কেন্দ্রে গন্ডগোলের জেরে কেশপুরের নাম উঠে এসেছে সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায়। আপাতত দেবের ভাগ্য বন্দি স্ট্রংরুমে। খানিকটা চাপ মুক্ত হয়েও তাঁর নতুন চাপ ‘কিডন্যাপ’। না, বিরোধী দলের কাউকে অপহরণের অভিযোগ ভেবে বসবেন না যেন। ভোটের রেজাল্ট আউটের পরেই রাজা চন্দর ‘কিডন্যাপ’ তাঁর নতুন পরীক্ষা। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলের সুইটে বসে সান্ধ্য আড্ডায় ভোটে হিংসা থেকে টলিপাড়া নিয়ে সোজাসাপ্টা জবাব দিলেন দেব।
একটা মজার প্রশ্ন দিয়ে আড্ডা শুরু করা যাক!
একটা মজার প্রশ্ন! মানে বাকিগুলো খুব সিরিয়াস প্রশ্ন হবে মনে হচ্ছে (হাসি)।
রুক্মিণী ‘বর্তমান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যদি ওঁকে কেউ কিডন্যাপ করে তাহলে ওঁর দাদাকে ফোন করবে। আপনাকে নয়। কারণ দেব খুব ব্যস্ত। এখন ব্যস্ততা কতটা কমল?
ব্যস্ততা তো ছিলই। ভোট প্রচার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যস্ততা থাকে একটা নির্বাচনে। ভোট মিটে গিয়েছে। খানিকটা হাল্কা। কাজে (ছবি) ফিরে এসেছি। এখন কাজের ব্যস্ততা।
কাজের ব্যস্ততা বলতে এই মুহূর্তে ‘কিডন্যাপ’-এর প্রোমোশন। দেবের ছবির প্রচার মানেই অভিনবত্ব। এবার প্রচারে কী নতুনত্ব থাকছে?
এখনও তো ভোট শেষ হয়নি। তাই এখনও সবাই ভোটের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। তাই যাকে জমিয়ে প্রোমোশন বলে, সেটা এখনও শুরু করতে পারিনি। গণতন্ত্রের উৎসব নিয়েই সবাই মাতোয়ারা। কে ক’টা আসন পেতে পারে এসব নিয়ে জল্পনা চলছে। আমার পরিকল্পনা আগামী ১৯ তারিখ থেকে জমিয়ে প্রোমোশন শুরু করব। ওইদিনই ‘কিডন্যাপ’-এর অফিসিয়াল ট্রেলার বেরবে। ভোটের রেজাল্টটা বেরিয়ে গেলে মানুষ আবার প্রাত্যহিক জীবনে ফিরে আসবেন, আর আমরা ছবির প্রচার সারব।
ভোটের প্রচারে দেব কতটা অভিনবত্ব আমদানি করতে পেরেছিল?
ভোটের প্রচারের থেকে ছবির প্রচার অনেক বেশি শক্ত। ঘাটালে আমার প্রচারের একটা হাতিয়ার ছিল রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ, শালীনতাবোধ। এবার ভোটে যা দেখলাম, কে জয় শ্রীরাম বলছে, কে বন্দেমাতরম বলছে, কে আবার রাজীব গান্ধীকে চোর বলছে..তার উপর কুকথার স্রোত বয়ে গিয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল। ভারতী ঘোষ (বিজেপি প্রার্থী) যা যা বলছিলেন, তার পাল্টা জবাব তো আমাকে দিতে হয়েছে। কিন্তু একটা জায়গায় দেখাতে পারবেন না দেব কুকথা বলেছে। আমাকে নিয়ে তো সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি হাসাহাসি হয়, আমি জানি। এত বড় নির্বাচন হয়ে গেল, একজন কেউ আমাকে নিয়ে ট্রোল করতে পারেনি। আসলে আমি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি, ভালোবাসা দিয়ে, সৌজন্যবোধ দিয়ে ভোট করা যায়, ভোটে জেতা যায়। সৌজন্যবোধ বিসর্জন দিয়ে প্রচার করতে পারব না। প্রার্থীর বিচার হবে তাঁর কাজ দিয়ে। যদি গত পাঁচ বছরে কাজ করে থাকতে পারি, মানুষ ভোট দেবেন। না করে থাকলে ভোট দেবেন না। চিৎকার চেঁচামেচি করে কী করব!
সৌজন্যের কথা বলছিলেন। গতবার লোকসভা ভোটে আপনি সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানার বাড়ি গিয়ে সৌজন্যের নজির সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।
ঠিক কথা। রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অনেকদিন চালাচ্ছি।
তারপরও তো আপনার কেন্দ্রের কেশপুরে এত গন্ডগোল হল?
কেশপুরের ইতিহাস যাঁরা জানেন, তাঁরা জানেন ওখানে ভোটে কী রকম গন্ডগোল হতো। এ বছর তো তেমন কিছুই হয়নি। তাই উল্টে বলব, আমার জন্য ওখানে গন্ডগোল অনেক কমেছে। ভারতীদি (ঘোষ) বাইরের লোক বোঝাই করে ৩০টা গাড়ি নিয়ে ওখানে ঢুকেছিলেন। তাঁকে আটকাতে গিয়েই যত গন্ডগোল। এর জবাব আমি দেবো না। মানুষ দেবেন। একজন আমাকে একটা দামি কথা বলেছিলেন। এই লড়াইটা ভোটে জেতার জন্য নয়, মানুষের কাজ করার জন্য। মানুষ যদি ভোট না দেন, তাঁদের পাশে কি আমি থাকব না? যাঁরা আমাকে ভোট দেবেন না, তাঁদের পাশেও দেব থাকবে। আমি ছবিতে অভিনয় করি। সেটা তো মানুষকেই দেখানোর জন্য। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দেবের একটা বড় ভূমিকা আছে, আজকে দাঁড়িয়ে সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমি একটা রাজনৈতিক দল করি মানে বাকি দলের মানুষগুলো আমার শত্রু, এই মতাদর্শে আমি কখনও বিশ্বাস করি না।
তাই ভোটের দিন বিজেপির পোলিং এজেন্টের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন?
নিশ্চয়ই। লোকটি এগিয়ে এসে বললেন, আমি বিজেপির পোলিং এজেন্ট। কিন্তু একটা ছবি তুলব। আমি বললাম, আমার দলের লোক নন তো কী হয়েছে, ছবি তুলুন। আমি রাজনৈতিক শত্রুতার মিথটাকে ভাঙতে চাই। আপনার মনে হয়েছে, বিজেপি বেশি কাজ করবে, তাই ওদের দল করেন। আমার মনে হয়েছে, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বেশি কাজ করবেন, তাই তাঁকে সমর্থন করি। আমি তো তৃণমূলকে দেখে রাজনীতি করি না। আমি দিদিকে দেখে রাজনীতি করি। এ রাজ্যের কেউ আঙুল তুলে বলতে পারবে না, দীপক অধিকারী গত পাঁচ বছরে কোনও রাজনৈতিক সুযোগ নিয়েছে। পদের জোরে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। অভিনেতা দেবকে এ রাজ্যের মানুষ অনেক দিয়েছেন।
সামনে দু’টো রেজাল্ট। ২৩ মে (ভোটের ফল) আর ৬ জুন (কিডন্যাপ মুক্তি)। কোনটা নিয়ে বেশি টেনশন?
৬ তারিখটা নিয়ে। কারণ ২৩ তারিখের ফলটা আমার জীবনে টেম্পোরারি। আমি জানি না কতদিন রাজনীতিতে থাকব। কিন্তু অভিনয় আমার জীবন। তাই অভিনয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি।
বললেন, জানি না কতদিন রাজনীতিতে থাকব। এ বছর সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন আপনি নিজের সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেছিলেন, ‘সংসদে আমার শেষ দিন’। পাঁচ মিনিটের মধ্যে পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিলেন। কেন? দলের চাপ ছিল?
আমি আসলে পোস্ট করতে চেয়েছিলাম আমার এই এমপি টার্মের শেষদিন। ওই নিরীহ পোস্ট ঘিরে পাঁচ মিনিটে এত ফোন আসতে শুরু করল, আমি কি ভোটে দাঁড়াচ্ছি না? দল কি টিকিট দিচ্ছে না? দলের কোনও ব্যাপার ছিল না। বুঝতে পারলাম অযথা বিতর্ক হবে। তাই ডিলিট করে দিয়েছিলাম।
৬ তারিখের টেনশন বলছিলেন। এবার তো টেনশন একটু কম। এই ছবিতে প্রযোজনার দায়িত্ব কাঁধে নেই। ‘অ্যামাজন অভিযান’ মানে প্রায় দু’বছর পর অন্যের প্রযোজনায় কাজ করলেন।
আমার তো উল্টো। অন্যের প্রযোজনায় বেশি টেনশন হয়। নিজের প্রযোজনায় লোকসান হলে এক রকম। অন্য কেউ প্রযোজক হলে তাঁর টাকাটা ঘরে ফেরত দেওয়ার টেনশন থাকে। এটুকু দায়িত্ব তো একজন সুপারস্টারকে নিতেই হবে।
‘কিডন্যাপ’ মানুষ কেন দেখবেন?
ছবির গল্প মানবপাচার। এ দেশে নারীর নিরাপত্তা নেই সেটা ফুটে উঠেছে। দুটো বাস্তব ঘটনাকে মিলিয়ে এই ছবির স্ক্রিপ্ট তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বিষয়টা রিয়েলেস্টিক তুলে ধরা হবে না লার্জার দ্যান লাইফ দেখানো হবে? এ ক্ষেত্রে রানেদা (প্রযোজক নিশপাল সিং রানে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। উনি লার্জার দ্যান লাইফ করার পক্ষপাতী ছিলেন। তার জন্য উনি বাজেটও বরাদ্দ করেন। দুবাই, ব্যাঙ্ককে গিয়ে শ্যুটও করি। পুরোপুরি কমার্শিয়াল ছবি, তবুও খানিকটা রিয়েলিস্টিক অ্যাক্টিং করার চেষ্টা করেছি।
নারীপাচারের গল্প বলছেন। এমনই পাচার নিয়ে ন’য়ের দশকে তপন সিংহ একটা বিখ্যাত ছবি তৈরি করেছিলেন ‘অন্তর্ধান’। ছবিটি দেখেছেন?
না, দেখিনি।
এবার তো ইদে আপনার ছবিকে জিতের ছবি আর সলমনের ‘ভারত’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আলাদা টেনশন?
আমার তো সারা জীবন কারও না কারও সঙ্গে টক্কর। আসলে এবার ইদে ছবি রিলিজ করতে আমি চাইছিলাম না। জিতের সঙ্গে কথা হয়েছিল, ওর ছবি ইদে রিলিজ করুক, আর আমার ছবি পুজোতে। আমার পরের ছবি ‘পাসওয়ার্ড’-এ পরম যে রোলটা করছে ওটা জিতের করার কথা ছিল। জিৎই হঠাৎ বলে ও পুজোতে অন্য ছবি নিয়ে আসবে। তখন বাধ্য হয়ে আমি ইদে ‘কিডন্যাপ’ নিয়ে এলাম। ও জানাল, এতে ওর কোনও আপত্তি নেই। নাহলে ১৫ আগস্ট এই ছবি মুক্তি পেত।
এই গোঁফটা কি ‘পাসওয়ার্ড’-এর লুক? এই ছবির কাজ কতদূর?
হ্যাঁ। ৮০ শতাংশ শ্যুট হয়ে গিয়েছে। ভোটের রেজাল্টের পর আবার শ্যুট শুরু হবে।
অভিযোগ উঠছে বিগ বাজেট বলিউড ছবি সিনেমা হলগুলোর প্রাইম টাইম দখল করে নিচ্ছে। বাংলা ছবি পাত্তা পাচ্ছে না। আপনি তো শাসকদলের লোক। আপনার তো দায়িত্ব রয়েছে, সমস্যা সমাধানে।
দু’বছর ধরে তো আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমারও দাবি, বাংলা ছবির শো বেশি পাওয়া উচিত। শুধু বলিউড সমস্যা করে না। এখানেও এমন প্রযোজক আছেন, যিনি সব শো দখল করে নিলেন। অন্যের ছবি আর দেখানো গেল না। এইটুকু তো একটা ইন্ডাস্ট্রি, সবাইকে নিয়ে বাঁচতে হবে।
এমপি প্রসঙ্গ এল। অনেক সময় সেলিব্রিটিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এমনকী আপনার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে— দেবের সংসদে উপস্থিতি কম। তেমন ভোকাল নয়। কী বলবেন?
কেউ সফল হলে অভিযোগ থাকবেই। মোদিজির বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি বারাণসী যান না। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি আমেঠি যান না। অনেকে বলেন, মুনমুন সেন সংসদে যান, কিন্তু বাঁকুড়া যান না। এ ক্ষেত্রে একটাই উত্তর দেবো, তুমি যাঁদের জন্য পার্লামেন্টে পৌঁছেছ তাঁদের জন্য কী কাজ করতে পেরেছ? আমি সংসদে দাঁড়িয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরব হয়েছিলাম। সেচদপ্তরের সঙ্গে মিটিংও করেছি। বালিচকের ব্রিজ স্যাংশন করিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক কাজ ঘাটালের জন্য করিয়েছি। তাই তো ঘাটালের মানুষ আমাকে চেয়েছেন বলে দল আমাকে দ্বিতীয়বার টিকিট দিয়েছে। দিদিকে আমি প্রথমেই বলেছিলাম, আমার একটা কেরিয়ার আছে, তাই পার্লামেন্টে হয়তো অতটা সময় দিতে পারব না। তবে, ঘাটালের মানুষের জন্য ১০০ শতাংশ সময় দিয়েছি। এর উত্তর নিন্দুকরা ২৩ তারিখ পেয়ে যাবে।
এমপি ল্যাডের টাকা খরচের ক্ষেত্রেও আপনার সুনাম আছে।
ভাবুন, আমি প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলাম। রাজনীতির অত জ্ঞানও ছিল না। তাও মানুষের জন্য কাজ করতে পেরেছিলাম। ঘাটালে যখন বন্যা হয়েছিল ওখানকার মানুষের পাশে থেকেছি।
দ্বিতীয়বার এমপি হলে কী কী প্ল্যান আছে?
অনেকগুলো কাজ বাকি। ঘাটালের রেলওয়ে লাইনটা ইউপিএ আমলে পাশ হয়েছিল। এনডিএ আমলে কাজ হয়নি। ওটা শুরু করাতে হবে। অনেকগুলো ব্রিজ বন্যায় ভেঙে গিয়েছে, ওগুলো করাতে হবে। পাঁচ বছরে অনেকটা না হলেও কিছুটা রাজনৈতিক জ্ঞান দেবের হয়েছে। আমি জানি, আমি একটা বেফাঁস মন্তব্য করলে তৃণমূলকে তার জন্য হেয় হতে হবে। মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলে কাজগুলো করতে পারব, সঠিক জায়গায় দরবার করতে পারব।
জোড়া রেজাল্টের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ।
অয়নকুমার দত্তছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়
