উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
আলিয়াদের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর তুলনায় সিক্যুয়েল অত্যন্ত দুর্বল। এই ছবি কিন্তু কলেজ জীবনের স্মৃতি রোমন্থনে পুরোপুরি ব্যর্থ। রয়েছে কেমিস্ট্রির অভাবও। শ্যুটিং লোকেশন ভালো। তবে বস্তাপচা চেনা ছকেই বাজিমাত করতে চেয়েছেন পরিচালক। প্রথমার্ধের কিছুটা দেখেই কে হিরো বা ভিলেন তা বোঝা যাবে। পাশাপাশি ছবির গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধেও একটা সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। যা মোটেই কাম্য নয়। অর্থাৎ কার সঙ্গে কার প্রেম হতে চলেছে, কে ডিগনিটি কাপ জিতে স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার হতে চলেছে তা সহজেই অনুমেয়। ছবিতে একটি দৃশ্য ছাড়া আর কোনও চমক নেই। দুর্দান্ত চেহারা, নাচে বাজিমাত করেও ফের ফ্লপের তকমা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ‘ফ্লাইং জাট’ টাইগার শ্রফকে। কারণ দুঃখ, আনন্দ, বিরহে তাঁর ভাবলেশহীন অভিনয়। বরং ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হয়েও নজর কেড়েছেন চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা। সাবলীল ছন্দে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। স্বল্প হলেও এই স্টার কিডের মধ্যে রয়েছে আগামী দিনে বলিটাউনে সুপ্রিতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। অন্যদিকে ছবিতে একটি দৃশ্য ছাড়া সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি তারা সুতারিয়া। নাচে পারদর্শী হলেও অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পথে তাঁর বেশ কিছু খামতি রয়েছে। ছবিতে প্রিন্সিপালের চরিত্রে একেবারেই মানায়নি সমীর সোনিকে। তিনি ট্রাস্টিবোর্ডের দলদাসে পরিণত হয়েছেন। তাঁর মধ্যে শিক্ষকসুলভ কোনও আচরণই চোখে পড়েনি। বরং পার্ট ওয়ানে এই রোলে অনেক বেশি নজর কেড়েছিলেন ঋষি কাপুর। স্পোর্টস কোচের চরিত্রে গুল পানাগকেও আর একটু ব্যবহার করা যেত। আলিয়াদের ছবির তুলনায় সিক্যুয়েলের গানও তেমন সাড়া জাগানো নয়। এই ছবির ভরাডুবির জন্য পরিচালকের ব্যর্থতার পাশাপাশি মূলত কেমিস্ট্রির অভাব এবং দুর্বল কাস্টিংকেই দায়ী করা চলে। এরপর কেউ যদি ছবিটি দেখতে যান তা শুধুমাত্র এই ছবির নাম এবং সেন্ট টেরেসায় আসা আলিয়াদের উত্তসূরীদের দেখার জন্যই।