সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পরের শটের জন্য জায়গা বদল করবে ক্যামেরা। মনিটরের সামনে বসে চিত্রনাট্যে চোখ বোলাতে বোলাতে রবি জানালেন, সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘মিস কল’। খবরের কাগজে পড়েছিলেন ঘটনাটা। বললেন, ‘একটি মিস কল থেকে কাহিনীর সূত্রপাত। কৃষ্ণ আর লীলার পরিচয় সেই সূত্রেই। তারপর বন্ধুত্ব, প্রেম এবং বিয়ে। বিয়ের পর একটি একান্নবর্তী সাংসারিক জীবনের আনন্দ-আবেগ, দুঃখ-হতাশা, সংকট-বিপদকে সঙ্গে করে এক অল্প বয়সী দম্পতির স্ট্রাগলই এই ছবির মুখ্য বিষয়।’ শ্যুটিং হয়েছে কলকাতাতেই। সরল, মধ্যবিত্ত, পাশের বাড়ির মেয়ের ঘরোয়া ‘লুক’-এর জন্য ঋত্বিকাকে নায়িকার চরিত্রে নেওয়া। সোহমের মধ্যেও সেই ব্যপারটা আছে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গল্প। সোহম-ঋত্বিকার জুটিটা তাই দর্শকের মন ছুঁতে পারবে বলেই পরিচালকের বিশ্বাস।
‘লীলা’ ঋত্বিকারও একই মতো। কারণ, ‘সেই ছোটবেলা থেকে রবিজির ছবিতে কাজ করছি। উনি অনেক ভেবে চিন্তেই লীলা চরিত্রের জন্য আমাকে নির্বাচন করেছেন।’ তাই গ্ল্যামারহীন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে কোনও অসুবিধা হয়নি বলে জানালেন ঋত্বিকা। তাঁর মতে, ‘চরিত্রটা পাশের বাড়ির মেয়ের মতো। মিষ্টি সরল মেয়ে লীলা। এতদিন দর্শক আমাকে ক্লাসিক্যাল লুকে, বিবাহিত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছেন। এই ছবিতে বিবাহিত মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরনির চরিত্রে দেখতে পাবেন। আমার সব সময়ই ইচ্ছে থাকে পর্দায় নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরার। লীলা সেই দিক দিয়ে একদম অন্যরকমের চরিত্র।’ হরনাথ চক্রবর্তীর ‘ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড’-এও অন্য রকম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে ‘মিস কল’ নিয়ে ঋত্বিকার অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসের কারণ, এই প্রথম তিনি কোনও ছবিতে সিঙ্গল হিরোইন হিসেবে কাজ করছেন।
ইদানীং সোহমকে বেশ কিছু ছবিতে ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। সে কথা মনে করাতে সোহম বলেন, ‘ছবিতে কমার্শিয়াল আর প্যারালাল বিভাজনটা আমারাই তৈরি করেছি। সব চরিত্রই কঠিন। তবে কৃষ্ণ চরিত্রটা একেবারে আলাদা। চ্যালেঞ্জিং। আলাদা করে হোমওয়ার্ক করতে হচ্ছে। আমি সব সময় চেষ্টা করি এমন চরিত্রে অভিনয় করতে, যাতে দর্শকরা রিলেট করতে পারেন। এই চরিত্রটা তেমনই আবেগভরা, নাটকীয় চরিত্র। এই রকম চরিত্রে অভিনয় করতে আমার সবসময় ভালো লাগে।’
ছবির চিত্রনাট্য পরিচালকের নিজের। সুরিন্দর ফিলস প্রযোজিত ছবিটির সুরকার স্যাভি। অন্যান্য চরিত্রগুলিতে আছেন সুপ্রিয় দত্ত, স্বাগতা বসু, বোধিসত্ত্ব মজুমদার প্রমুখ। ক্যামেরায় আছেন মুরলী।
প্রিয়ব্রত দত্ত
ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়